মহামাররি সঙ্কেটে বিলম্বিত ২০২১ খ্রিষ্টাব্দের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় মোট জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ লাখ ৮৩ হাজার ৩৪০ জন। গতবার জিপিএ-৫ পেয়েছিল ১ লাখ ৩৫ হাজার ৮৯৮ জন। এবার এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় গড় পাস করেছে ৯৩ দশমিক ৫৮ শতাংশ শিক্ষার্থী। গতবার এই পাসের হার ছিল ৮২ দশমিক ৮৭ শতাংশ।
বৃহস্পতিবার (৩০ ডিসেম্বর) সকালে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত অনুষ্ঠান গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে মাধ্যমে এসএসসি ও সমমানে পরীক্ষার ফল প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এসময় মূল অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি ও শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল।
এবার মোট পরীক্ষার্থী ছিল ২২ লাখ ৪০ হাজার ৩৯৫ জন। এর মধ্যে পাস করেছে ২০ লাখ ৯৬ হাজার ৫৪৬ জন। গতবার মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল পরীক্ষার্থী ছিল ২০ লাখ ৪৭ হাজার। গতবার পাস করেছিল ১৬ লাখ ৯০ হাজার ৫২৩ জন পরীক্ষার্থী।
জানা গেছে, ৯টি সাধারণ বোর্ডে এসএসসিতে পাসের হার ৯৪ দশমিক ০৮ শতাংশ। এসএসসিতে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ লাখ ৬৩ হাজার শিক্ষার্থী। গতবার এই পাসের হার ছিল ৮৩ দশমিক ৭৫ শতাংশ। গতবার শুধু এসএসসিতে জিপিএ-৫ পেয়েছিল ১ লাখ ২৩ হাজার ৪৯৭ জন পরীক্ষার্থী।
মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে ২০২১ খ্রিষ্টাব্দের দাখিল পরীক্ষায় ৯৩ দশমিক ২২ শতাংশ শিক্ষার্থী পাস করেছে। গতবার এই পাসের হার ছিল ৮২ দশমিক ৫১ শতাংশ। এবার মোট জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৪ হাজার ৩১৩ জন। গতবার জিপিএ-৫ পেয়েছিল ৭ হাজার ৫১৬ জন পরীক্ষার্থী। এবার দাখিলে পাসের হার ও জিপিএ-৫ বেড়েছে।
কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এসএসসি ও দাখিল ভোকেশনাল পরীক্ষায় ৮৮ দশমিক ৪৯ শতাংশ শিক্ষার্থী পাস করেছে। গতবার এই পাসের হার ছিল ৭২ দশমিক ৭০ শতাংশ। এবার মোট জিপিএ-৫ পেয়েছে ৫ হাজার ১৮৭ জন। গতবার জিপিএ-৫ পেয়েছিল ৪ হাজার ৪৮৫ জন পরীক্ষার্থী।
মূল অনুষ্ঠানটি হয় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে। বেলা ১১টায় সেখানেই সংবাদ সম্মেলন করে এবারের ফলাফলের বিস্তারিত তুলে ধরেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইট ও মোবাইল ফোনে এসএমএসের মাধ্যমে ফল পাওয়া যাবে।
বেশ কয়েক বছর ধরে দেশে ফেব্রুয়ারিতে মাধ্যমিকের পরীক্ষা হয়ে আসছিল। কিন্তু কোভিড পরিস্থিতিতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় এবার নয় মাস পিছিয়ে ১৪ নভেম্বর এ পরীক্ষা শুরু হয়।
আরও পড়ুন : দৈনিক শিক্ষাডটকম পরিবারের প্রিন্ট পত্রিকা ‘দৈনিক আমাদের বার্তা’
দেশে করোনাভাইরাসের প্রকোপ শুরু হলে ২০২০ খ্রিষ্টাব্দের মার্চে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। তাতে দশম শ্রেণিতে আড়াই মাস শ্রেণিকক্ষে ক্লাস করার সুযোগ পায় এবারের এসএসসি পরীক্ষার্থীরা। অনলাইনে ক্লাস চললেও ১২ সেপ্টেম্বর থেকে স্কুল-কলেজ খুলে দেয়ার পর দেড় মাস শ্রেণিকক্ষে ক্লাস করে এসএসসি পরীক্ষায় বসতে হয়েছে তাদের।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণের ঝুঁকি কমাতে এ বছর পরীক্ষাও হয়েছে সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে। তিন ঘন্টার পরিবর্তে পরীক্ষা হয়েছে দেড় ঘন্টায়। কেবল তিনটি নৈর্বচনিক বিষয়ের পরীক্ষায় বসতে হয়েছে শিক্ষার্থীদের।
চলতি বছর এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় ২২ লাখ ৪০ হাজার ৩৯৫ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিয়েছিল। গতবছর এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় মোট পরীক্ষার্থী ছিল ২০ লাখ ৪৭ হাজার ৭৭৯ জন।
দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব ও ফেসবুক পেইজটি ফলো করুন