পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে ১০ ঘন্টার ব্যবধানে ভেসে এসেছে দুটি মৃত ডলফিন। গতকাল রোববার সন্ধ্যার জোয়ারে সৈকতের কম্পিউটার সেন্টার পয়েন্টে প্রায় পাঁচ ফুট লম্বা দ্বিতীয় ডলফিনটি ভেসে আসে। এর আগে সকালে লেম্বুর চর সৈকতে ভেসে আসে দশ ফুট লম্বা প্রথম মৃত ডলফিনটি। মৃত ডলফিনের কোন রকম নমুনা সংগ্রহ বা পরীক্ষা নিরীক্ষা ছাড়াই সোমবার (১০ মে) সকালে কুয়াকাটা পৌরসভার পরিচ্ছন্নকর্মীরা সৈকতের পাশেই গর্ত করে মাটি চাপা দেয়।
হঠাৎ করে কুয়াকাটা সৈকতে একের পর এক মৃত ডলফিন ভেসে আসায় উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন পরিবেশ কর্মীরা। সমুদ্রে জেলেদের গিলনেট ব্যবহার বেড়ে যাওয়ায় ওই জালে আটকা পড়ে এভাবে ডলফিন মারা যেতে পারে বলে তারা ধারণা করছেন।
কুয়াকাটায় ভেসে আসা মৃত ডলফিনের শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। গভীর সমুদ্রে জেলেদের জালে আটকা পড়া মাছ খেতে এসে জেলেদের ট্রলারের ধারালো অস্ত্রের আঘাতেও ডলফিনগুলো মারা যেতে পারে বলে স্থানীয়রা ধারণা করছেন।
তবে কলাপাড়া মৎস্য বিভাগ ও মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তারা এভাবে ডলফিন মারা যাওয়ার কারণ অনুসন্ধান বা মৃত ডলফিনগুলোর ময়নাতদন্তের উদ্যোগ নেয়নি। তবে কোন ধরনের নিয়ম ছাড়াই সৈকতের পাশে গর্ত করে ডলফিনের মরদেহ পুতে রাখায় সাগরের জোয়ারের বালুক্ষয়ে সেগুলো আবার উঠে আসবে বলে পরিবেশকর্মীরা আশঙ্কা করছেন।
কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু হাসনাত মোহাম্মদ শহিদুল হক দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, মৎস্য বিভাগকে ডলফিন মারা যাওয়ার বিষয়টি জানানো হয়েছে। যেহেতু ভেসে আসা ডলফিনগুলো পঁচে গেছে তাই সেগুলো মাটি চাপা দিতে বলা হয়েছে।