১০ শতাংশ চাঁদা কর্তনের প্রতিবাদ - দৈনিকশিক্ষা

১০ শতাংশ চাঁদা কর্তনের প্রতিবাদ

নিজস্ব প্রতিবেদক |

অবসর সুবিধা বোর্ড ও কল্যাণ ট্রাস্টের নামে ১০ শতাংশ চাঁদা কর্তনের প্রতিবাদে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন করেছে বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি (বিটিএ)। একই সঙ্গে মাধ্যমিক শিক্ষা সরকারিকরণ, পূর্ণাঙ্গ উৎসব ভাতা ও বাড়ি ভাড়া বৃদ্ধির দাবি জানিয়েছেন শিক্ষক সমিতির নেতারা। মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির ব্যানারে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

মানববন্ধন শেষে প্রেসক্লাবের সামনে থেকে কদম ফোয়ারা পর্যন্ত বিক্ষোভ মিছিল করেন শিক্ষক সমিতির নেতারা। পরে বিটিএর সভাপতি বজলুর রহমান মিয়া ও সাধারণ সম্পাদক কাওছার আলী সেখের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল ঢাকার বিভাগীয় কমিশনারের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।

প্রধানমন্ত্রী এবং শিক্ষামন্ত্রীকে দেয়া স্মারকলিপিতে শিক্ষক নেতারা বলেন, ২৬ হাজার ১৯৩টি রেজিস্টার্ড প্রাথমিক বিদ্যালয়কে সরকারিকরণ করে সকলের জন্য প্রাথমিক শিক্ষা গ্রহণের সুযোগ করে দিয়েছেন। আমরা মনে করি, প্রাথমিক শিক্ষার মতো মাধ্যমিক শিক্ষাকেও সরকারিকরণ করা হলে প্রাথমিক শিক্ষার ন্যায় সকলের জন্য মাধ্যমিক শিক্ষা গ্রহণের সুযোগ এবং উচ্চ শিক্ষার দ্বার উন্মোচিত হবে।

স্মারকলিপিতে আরও বলা হয়, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের ৮ম জাতীয় পে-স্কেলের অন্তর্ভুক্ত করেছেন। বার্ষিক ইনক্রিমেন্ট ও বৈশাখী ভাতা প্রদান করেছেন। কিন্তু যখন সারা দেশের বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীরা যখন মাধ্যমিক শিক্ষা সরকারিকরণ, পূর্ণাঙ্গ উৎসব ভাতা এবং ন্যায্য বাড়ি ভাড়া ও চিকিৎসা ভাতা প্রাপ্তির প্রত্যাশায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার অপেক্ষায় অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন। গত ২০১৭ খ্রিষ্টাব্দের ১৫ জুন কল্যাণ ট্রাস্ট এবং ২০ জুন অবসর সুবিধা বোর্ডের জন্য বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন থেকে ১০ শতাংশ কর্তনের পৃথক দু’টি প্রজ্ঞাপন প্রকাশ করা হয়। যা সারা দেশের শিক্ষক-কর্মচারীদের আন্দোলনের ফলে স্থগিত করা হয়েছিল। পরবর্তী সময়ে ২০১৮ খ্রিষ্টাব্দের ১৭ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাত্র কয়েকদিন আগে ১০ শতাংশ কর্তনের জন্য পুনরায় একটি আদেশ জারি করা হয়। সেটিও শিক্ষক-কর্মচরীদের অসন্তোষের প্রেক্ষিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. সোহরাব হোসাইন ভুল স্বীকার করে তাৎক্ষণিকভাবে প্রত্যাহার করে নেন। তিনি গত ৯ জানুয়ারি অবসর সুবিধা বোর্ডের সভায় উপস্থিত সদস্যদের সামনে অতিরিক্ত ৪ শতাংশ কর্তন না করার অভিমত ব্যক্ত করেন। কিন্তু গত ২০১৯ খ্রিষ্টাব্দের ১৫ এপ্রিল এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচরীদের বেতন থেকে অতিরিক্ত ৪ শতাংশসহ মোট ১০ শতাংশ চাঁদা কর্তনের জন্য মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে লিখিত আদেশ প্রদান করা হয়। এ আদেশের ফলে সারা দেশের শিক্ষক-কর্মচারীরা মর্মাহত ও ক্ষুব্ধ। তাই, স্মারকলিপিতে মাধ্যমিক শিক্ষা সরকারিকরণ, বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের উৎসব ভাতা, বাড়ি ভাড়া ও চিকিৎসা ভাতা প্রদানসহ এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন থেকে ১০ শতাংশ কর্তনের প্রজ্ঞাপনটি বাতিলের দাবি জানিয়েছেন শিক্ষক নেতারা।

মানববন্ধনে আরও উপস্থিত ছিলেন সংগঠনটির প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ আবু বকর সিদ্দিক, সিনিয়র সহ-সভাপতি অধ্যক্ষ মো. আবুল কাশেম, বেগম নুরুন্নাহার, অধ্যক্ষ আতিয়ার রহমান প্রামাণিক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আবু জামিল, মো, সেলিম, ফাহমিদা রহমান, শাহানা বেগম প্রমুখ।

 

 

 

ছুটি না বাড়ালে বাড়ি যেতে হতে পারে ঈদের দিন - dainik shiksha ছুটি না বাড়ালে বাড়ি যেতে হতে পারে ঈদের দিন হাইস্কুলে কমেছে দশ লাখের বেশি শিক্ষার্থী - dainik shiksha হাইস্কুলে কমেছে দশ লাখের বেশি শিক্ষার্থী জালিয়াতি করে পদোন্নতি শিক্ষা ক্যাডার গ্যাঁড়াকলে - dainik shiksha জালিয়াতি করে পদোন্নতি শিক্ষা ক্যাডার গ্যাঁড়াকলে রুয়েটের সাবেক উপাচার্য-রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে মামলা - dainik shiksha রুয়েটের সাবেক উপাচার্য-রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে মামলা উপবৃত্তির জন্য সংখ্যালঘু কোটার তথ্য চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় - dainik shiksha উপবৃত্তির জন্য সংখ্যালঘু কোটার তথ্য চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি - dainik shiksha প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি উপবৃত্তির জন্য সংখ্যালঘু কোটার তথ্য চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় - dainik shiksha উপবৃত্তির জন্য সংখ্যালঘু কোটার তথ্য চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় হাইস্কুলে কমেছে দশ লাখের বেশি শিক্ষার্থী - dainik shiksha হাইস্কুলে কমেছে দশ লাখের বেশি শিক্ষার্থী please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0030629634857178