মুক্তিযোদ্ধা স্বীকৃতি বাতিল করে সরকারের গেজেট স্থগিতের যে আদেশ হাই কোর্ট দিয়েছিল, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও বিমান বাহিনীর ১০৫ জনের ক্ষেত্রে তার ওপর স্থিতাবস্থা জারি করেছে আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত।
এর ফলে প্রকারান্তরে হাই কোর্টের আদেশটিই বহাল থাকছে বলে মনে করছেন আইনজীবীরা।
হাই কোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে সরকারের চারটি আবেদনের শুনানি করে বিচারপতি মো. নূরুজ্জামানের চেম্বার আদালত রোববার এ আদেশ দেয়।
আদালতে সরকারের আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সমরেন্দ্রনাথ বিশ্বাস ও তুষার কান্তি রায়। আর রিট আবেদনকারীদের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী আহসানুল করিম ও মো. আব্দুল কাইয়ূম লিটন।
মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে জারি করা ১ হাজার ১৮১ জনের গেজেট বাতিল করে গত ৭ জুন প্রজ্ঞাপন জারি করে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়।
ওই ১ হাজার ১৮১ জনের মধ্যে ১ হাজার ১৩৪ জন মুক্তিযোদ্ধা বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি); ২০০৯ সালে নাম পরিবর্তনের আগে এই বাহিনীর নাম ছিল বাংলাদেশ রাইফেলস (বিডিআর)।
তাদের মধ্যে ১৯২ জন সরকারের ওই প্রজ্ঞাপন চ্যালেঞ্জ করে হাই কোর্টে পাঁচটি রিট আবেদন করেন। তার ওপর শুনানি করে হাই কোর্ট গত ৭ জুলাই ১১৯ জনের গেজেট বাতিলের সিদ্ধান্ত স্থগিত করে করে দেয়।
এর মধ্যে ১০৫ জনের ক্ষেত্রে হাই কোর্টের আদেশ স্থগিত করতে চেম্বার আদালতে চারটি আবেদন করে মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়।
সেসব আবেদনের শুনানি করেই আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত রোববার স্থিতাবস্থা জারির আদেশ দেয়।
আইনজীবী মো. আব্দুল কাইয়ূম লিটন পরে বলেন, “মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতির গেজেট বাতিল করে সরকার যে গেজেট জারি করেছিল সেটিতে হাই কোর্ট স্থগিতাদেশ দিয়েছিল। সঙ্গে ভাতা প্রদানের আদেশ দিয়েছিল। চেম্বার আদালত হাই কোর্টের আদেশে স্থিতাবস্থা দিয়ে ভাতা প্রদান করতে বলেছে।”
আর ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সমরেন্দ্রনাথ বিশ্বাস বলেন, “হাই কোর্টের আদেশ স্টেটাস ক্যু দিয়েছেন। তার মানে হাই কোর্টের আদেশটিই বহাল আছে।”
ওই ১০৫ জনের ক্ষেত্রে সরকারের করা আবেদনের ওপর আগামী বছর ২৯ জুলাই আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির তারিখ রাখা হয়েছে।