১৪ ফেব্রুয়ারির পর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন কিন্ডারগার্টেন ও সমমান স্কুলের একটি সংগঠন। তা না হলে তারা নিজেদের দায়িত্বে কিন্ডারগার্টেন ও সমমান স্কুল খুলতে চায়।
আজ বৃহস্পতিবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে কিন্ডারগার্টেন ও সমমান স্কুল রক্ষা জাতীয় কমিটি আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলা হয়। সংগঠনটি কিন্ডারগার্টেন ও সমমানের স্কুলের শিক্ষক-পরিচালকদের নিয়ে গঠিত।সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য দেন সংগঠনের সদস্যসচিব জি এম জাহাঙ্গীর কবির। তিনি বলেন, দেশে প্রায় ৪০ হাজার কিন্ডারগার্টেন ও সমমান স্কুল আছে। এই স্কুলগুলো দেশের প্রাথমিক শিক্ষাব্যবস্থায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলছে।
জাহাঙ্গীর কবির বলেন, করোনা মহামারির কারণে সরকারি সিদ্ধান্তে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান দীর্ঘ ১১ মাস ধরে বন্ধ রয়েছে। এই সময়ে সরকারি প্রাথমিকের শিক্ষকেরা সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছেন। কিন্তু কিন্ডারগার্টেনের প্রায় ১০ লাখ শিক্ষক-কর্মচারী তাঁদের বেতনসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
জাহাঙ্গীর কবির বলেন, বেশির ভাগ কিন্ডারগার্টেন বাড়ি ভাড়া করে চলছে। করোনাকালে বাড়িভাড়াসহ অন্যান্য খরচ বহন করতে প্রতিষ্ঠানের মালিক-পরিচালকদের অবস্থা নাজুক হয়ে পড়েছে। আর্থিক চাপ সইতে না পেরে বহু প্রতিষ্ঠান ইতিমধ্যে বন্ধ হয়ে গেছে। প্রায় এক বছর ধরে এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠা বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীদেরও অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে।
সংগঠনের প্রধান সমন্বয়কারী আবদুল অদুদ বলেন, দেশে এখন সবকিছুই স্বাভাবিক। করোনার সংক্রমণের হার এক অঙ্কে নেমে এসেছে। এমন অবস্থায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিয়ে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার স্বাভাবিক গতি দ্রুত ফিরিয়ে আনা প্রয়োজন। একই সঙ্গে করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত প্রায় ৪০ হাজার কিন্ডারগার্টেন ও ১০ লাখ শিক্ষক-কর্মচারীর জন্য আর্থিক সহায়তা বরাদ্দে প্রধানমন্ত্রীর সহযোগিতা চান তাঁরা।
সংবাদ সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন কমিটির আহ্বায়ক মিজানুর রহমান সরকার। সঞ্চালনা করেন জয়নুল আবেদীন।