রাষ্ট্রভাষা বাংলা হওয়ার ৭০ বছর পরেও বরগুনার বেতাগী উপজেলার অধিকাংশ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভাষা শহীদদের স্মরণে শহীদ মিনার নেই। ফলে ভাষা দিবসে কোথাও বাঁশ-কাঠ, কোথাও কলাগাছ ও মাটি দিয়ে অস্থায়ী শহিদ মিনার নির্মাণ করে সেখানে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।
এবারও একইভাবে শহীদ মিনার নির্মাণ করে সেখানেই পুষ্পস্তবক অর্পণ করতে হবে প্রতিষ্ঠানগুলোতে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বেতাগী উপজেলার ১৮৬টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মধ্যে মাত্র ৪৫ টিতে শহিদ মিনার রয়েছে। বাকি ১৪১টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কলাগাছ বা বাঁশ দিয়ে তৈরি শহীদ মিনার সাজিয়ে শহীদ দিবস পালন করা হবে।
জানা যায়, বেতাগী উপজেলার ১২৯টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বদনীখালী, বাসন্ডা ও পূর্ব কাউনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ মাত্র ১৬টি বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার আছে। আর ১১৩টি বিদ্যালয়ের কোথাও শহীদ মিনার নেই।
মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে আসমত আলী, কাউনিয়া, আখতার মোর্শ্বেদ কৃষি কলেজ, বেতাগী টেকনিক্যাল অ্যান্ড বিজনেস ম্যানেজমেন্ট কলেজ, কাউনিয়া বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়, পশ্চিম করুণা মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ফুলতলা বিকাশ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, মোকামিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়, রানীপুর খোন্তাকাটা নিম্নমাধ্যমিক বিদ্যালয়, সবুজ কানন মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ভোড়া আর্শ্বেদিয়া জুনিয়র মাধ্যমিক বিদ্যালয়সহ ১১টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রতিষ্ঠার দীর্ঘদিনেও শহীদ মিনার নির্মাণ করা হয়নি। এছাড়া উপজেণান ২২টি মাদরাসায় এখনো শহীদ মিনার নেই।
বেতাগী উপজেলার বাসিন্দা কামাল হোসেন খান দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, শহীদদের স্মৃতি রক্ষার্থে প্রতিটি প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার নির্মাণ বাধ্যতামূলক করা প্রয়োজন। সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার নির্মাণ করা হলে কোমলমতি শিশু ও ছোট ছোট ছেলেমেয়েরা ভাষা আন্দোলনের ব্যাপারে জানতে আরও আগ্রহ প্রকাশ করবে।
বেতাগী উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মো. মিজানুর রহমান দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, সরকারি বিধিমোতাবেক মাতৃভাষা দিবস পালনের জন্য উপজেলার সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ইতোমধ্যে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
বেতাগী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. শহীদুর রহমান দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার নির্মাণ করতে সরকারের পাশাপাশি স্কুল কর্তৃপক্ষের এগিয়ে আসা উচিত। তবে, এ বছর সরকারি নিদের্শ মোতাবেক স্বাস্থ্যবিধি মেনে উদযাপন করা হবে।