১৬তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার চূড়ান্ত ফল তৈরির কাজ অনেকটাই গুছিয়ে আনা হয়েছে। আজ রোববার বা কাল সোমবার ফল প্রকাশ করা হতে পারে বলে আশা প্রকাশ করেছেন কর্মকর্তারা। বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) কর্মকর্তারা দৈনিক আমাদের বার্তাকে তাদের আশার কথা জানান।
গত ২১ সেপ্টেম্বর প্রার্থীদের ভাইভা শেষ হয়েছে। প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী ভাইভা শেষ হওয়ার ১ মাসের মধ্যে শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষা চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করতে হয়। আগামী ২১ অক্টোবর সে সময় শেষ হচ্ছে। ২১ অক্টোবরের মধ্যে এ নিবন্ধন পরীক্ষার চূড়ান্ত ফল প্রকাশের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে এনটিআরসিএ।
সংস্থাটির সচিব ওবায়দুর রহমান গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় দৈনিক আমাদের বার্তাকে বলেন, চূড়ান্ত ফল প্রকাশের কাজ অনেকটাই গুছিয়ে এনেছি। আমারা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা চাইবো। মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা পেলে রোববার বা সোমবার যে কোনো সময় ফল প্রকাশ করা হতে পারে।
তিনি আরও বলেন, ‘প্রচলিত নিয়ম মেনে আমরা ২১ অক্টোবরের মধ্যেই ১৬ তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার চূড়ান্ত ফল প্রকাশের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছি। আশা করছি, ২১ অক্টোবরের মধ্যে ফল দিতে পারবো।’
এনটিআরসিএর পরীক্ষা শাখার কর্মকর্তারা বলেন, ফল দিতে সব প্রস্ততি নেওয়া হচ্ছে। চলতি অক্টোবর মাসেই ফল প্রকাশ করা হবে বলে আশা করছি।
১৬তম শিক্ষক নিবন্ধনের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয় ২০১৯ খ্রিষ্টাব্দের ২৩ মে। প্রিলিমিনারি পরীক্ষা হয় ওই বছরেরই ৩০ আগস্ট, ফল প্রকাশ করা হয় ৩০ সেপ্টেম্বর। লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় ১৫ ও ১৬ নভেম্বর। সর্বোচ্চ দুই মাসের মধ্যে লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশের কথা থাকলেও তা প্রকাশ করা হয় এক বছর পর ২০২০ খ্রিষ্টাব্দের ১১ অক্টোবর।
লিখিত পরীক্ষায় মোট ১ লাখ ৫৪ হাজার ৬৬৫ জন অংশ নেন। এর মধ্যে উত্তীর্ণ হন ২২ হাজার ৩৯৮ প্রার্থী। এতে স্কুল-২ পর্যায়ে ১ হাজার ২০৩ জন, স্কুল পর্যায়ে ১৭ হাজার ১৪০ জন এবং কলেজ পর্যায়ে ৪ হাজার ৫৫ জনসহ সর্বমোট ২২ হাজার ৩৯৮ জন উত্তীর্ণ হয়ে মৌখিক পরীক্ষার জন্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। এরপর ২ ডিসেম্বর ভাইভা নেওয়া শুরু হয়। কিন্তু করোনার কারণে দেশে বিধিনিষেধ ঘোষণা করা হলে ভাইভা স্থগিত হয়। অবশেষে গত ২৪ আগস্ট থেকে স্থগিত মৌখিক পরীক্ষা নেওয়া আবার শুরু হয়। ২১ সেপ্টেম্বর ভাইভা শেষ হয়। এখন ফলের অপেক্ষায় আছেন প্রার্থীরা। মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নেওয়া প্রার্থীরা দ্রুত ১৬তম শিক্ষক নিবন্ধনের চূড়ান্ত ফল প্রকাশের দাবি জানিয়েছেন।