১৭তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষা নিতে এনটিআরসিএর যে জটিলতা ছিলো তা নিরসনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এনটিআরসিএর অফিস স্পেসের জটিলতা নিরসন ও পরীক্ষার কাজ প্রক্রিয়ার জন্য সিস্টেম এনালিস্ট নিয়োগের বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির সঙ্গে আলোচনা করেছেন প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তারা। শিক্ষা মন্ত্রণালয় এ জটিলতাগুলো নিরসনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
রোববার শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির সঙ্গে এনটিআরসিএর সার্বিক বিষয় নিয়ে এক সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবুল খায়ের দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, এনটিআরসিএর কর্মকর্তারা জানিয়েছেন পরীক্ষা গ্রহণের কাজ করতে তাদের অফিস স্পেসের সংকট আছে। তাদের পরীক্ষা জন্য অনেক ট্রাংক ও কাগজপত্র রাখতে হয়। তাদের অফিস স্পেসের সংকট নিরসনের বিষয়ে সভায় আলোচনা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এছাড়া এনটিআরসিএতে সিস্টেম এনালিস্ট নেই। সিস্টেম এনালিস্ট না থাকায় তারা পরীক্ষার কাজ করতে পারছেন না বলে জানিয়েছেন। সিস্টেম এনালিস্ট নিয়োগের বিষয়ে মন্ত্রণালয় সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
১৭তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার বিষয়ে জানতে চাইলে এনটিআরসিএর চেয়ারম্যান এনামুল কাদের খান দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, আমরা আমাদের সমস্যাগুলো মন্ত্রণালয়কে জানিয়েছি। অফিস স্পেস সংকট নিরসনের বিষয়ে মন্ত্রণালয় ইতিবাচক। আর আমাদের সিস্টেম এনালিস্ট না থাকায় পরীক্ষার কার্যক্রম শুরু করা যাচ্ছে না। সিস্টেম এনালিস্ট নিয়োগের বিষয়ে মন্ত্রণালয় ব্যবস্থা নেবেন বলে সভায় জানিয়েছেন। মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের কাছে এনটিআরসিএর জন্য একজন সিস্টেম এনালিস্ট চাওয়া হবে। পরীক্ষা কার্যক্রম শুরু করতে হয়তো প্রেষণে সিস্টেম এনালিস্ট নিয়োগ হতে পারে।
কবে নাগাদ এ নিবন্ধনের প্রিলিমিনারি পরীক্ষার তারিখ নির্ধারণ হবে জানতে চাইলে সুস্পষ্টভাবে কোনো উত্তর দেননি চেয়ারম্যান। তিনি জানান, জটিলতাগুলো নিরসন হলে এনটিআরসিএ এ বিষয়ে কাজ শুরু করবে।
১৭ তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষা না হওয়ায় অপেক্ষায় আছেন ১২ লাখেরও বেশি প্রার্থী। করোনা মহামারীর প্রকোপ বাড়লে ওই পরীক্ষা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছিলো। তাই করোনা পরিস্থিতির উন্নতির পর আবেদনকারীরা পরীক্ষার মাধ্যমে নিবন্ধিত হওয়ার সুযোগ পাবেন বলে আশা করেছিলেন। কিন্তু, এখন পর্যন্ত পরীক্ষার তারিখ নির্ধারণ হয়নি। এনটিআরসিএ কর্মকর্তারা বলছেন, এ বিপুল সংখ্যক প্রার্থীর পরীক্ষা নেয়ার অফিস স্পেস না থাকায় ও সিস্টেম এনালিস্ট না থাকায় জায়গা না পাওয়ায় পরীক্ষার তারিখ নির্ধারণ করা যায় নি।
২০২০ খ্রিষ্টাব্দের ২৩ জানুয়ারি ১৭তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। সেদিনই বিকেল ৪টা থেকে আবেদন গ্রহণ শুরু হয়। এনটিআরসিএর ওয়েবসাইটে আগ্রহী প্রার্থীরা সে বছরের ১২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত আবেদন করতে পারেন। আর ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ফি জমা দিয়ে আবেদন নিশ্চায়নের সুযোগ পান। ওই পরীক্ষায় অংশ নিতে ১১ লাখ ৭২ হাজার প্রার্থী আবেদন করেন। এরপর গত ২ মার্চ গ্রন্থাগার ও তথ্য বিজ্ঞান বিষয়ের শিক্ষক এবং গ্রন্থাগার বিষয়ের প্রভাষক পদে নিবন্ধনে ১৭তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার সম্পূরক বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। তাতে ৩১ মার্চ পর্যন্ত আবেদন নেয়া হয়। বিভিন্ন স্কুল-কলেজ, মাদরাসা ও কারিগরি প্রতিষ্ঠানে গ্রন্থাগার ও তথ্য বিজ্ঞান বিষয়ের সহকারী শিক্ষক এবং কলেজ ও মাদরাসার গ্রন্থাগার ও তথ্য বিজ্ঞান বিষয়ক প্রভাষক হিসেবে নিবন্ধনে আবেদন করেন ২১ হাজার প্রার্থী। বর্তমানে সব মিলিয়ে প্রায় ১২ লাখ প্রার্থী পরীক্ষার অপেক্ষায় আছেন।
শিক্ষার সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক শিক্ষার ইউটিউব চ্যানেলের সাথেই থাকুন। ভিডিওগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।
দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।