২১ লাখ টাকা আত্মসাৎ ও নানা অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগে সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলার বেতিল স্কুল ও কলেজের অধ্যক্ষ আখতারুজ্জামানকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে স্কুল ফান্ডের ২০ লাখ টাকা ও কলেজ ফান্ডের ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগের প্রমাণ পেয়েছে প্রতিষ্ঠানের গভর্নিং বডির অডিট কমিটি।
একই সাথে প্রতিষ্ঠানটির সহকারী প্রধান শিক্ষক হাফিজুর রহমানকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে প্রতিষ্ঠানের গভর্নিং বডির পক্ষ থেকে দৈনিক শিক্ষাডটকমকে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
আরও পড়ুন : দৈনিক শিক্ষাডটকম পরিবারের প্রিন্ট পত্রিকা ‘দৈনিক আমাদের বার্তা’
যদিও বরখাস্ত হওয়া অধ্যক্ষ আখতারুজ্জামান দৈনিক শিক্ষাডটকমের কাছে নিজেকে নির্দোষ দাবি করেছেন।
গভর্নিং বডির সদস্যরা দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, বেতিল বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ে অধ্যক্ষ পদে আখতারুজ্জামান যোগদানের পর থেকে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতি ও সেচ্ছাচারীতার সঙ্গে যুক্ত হয়ে পড়েন। বিশেষ করে স্কুল ও কলেজের খরচের নামে ভুয়া বিল ভাউচার দিয়ে নানা সময়ে বিপুল পরিমানে টাকা আত্মসাৎ করেন। শিক্ষক-কর্মচারীদের সঙ্গে তার অশোভনীয় আচারণ এলাকায় ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি হয়।
এ নিয়ে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেছেন গভর্নিং বডির সদস্যরা। পরে বিধি মোতাবেক প্রতিষ্ঠানের গভর্নিং বডি মিটিং করে ৫ সদস্য বিশিষ্ট অডিট কমিটি গঠন করে। ২৩ থেকে ২৬ মে অডিট কার্যক্রম চলে।
অডিট কমিটির আহ্বায়ক ও প্রতিষ্ঠানের গভর্নিং বডির সদস্য রফিকুল ইসলাম জানান, তদন্তে অধ্যক্ষ আখতারুজ্জামান কর্তৃক বিদ্যালয় থেকে ২০ লাখ ১১ হাজার ৪১২ টাকা ও কলেজ শিক্ষকদের বেতন বাবদ ১ লাখ ৩১ হাজার ৫০০ টাকা আত্মসাতের প্রমাণ পাওয়া গেছে।
দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব ও ফেসবুক পেইজটি ফলো করুন
গভর্নিং বডির সদস্যরা দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে অভিযুক্ত অধ্যক্ষকে ৩ বার চিঠি পাঠিয়ে তার সাথে বারবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি কর্ণপাত করেনি। তিনি চিঠির কোন উত্তর দেয়নি। পরে বিধি মোতাবেক বুধবার ম্যানেজিং কমিটির সভায় সকলের সিদ্ধান্ত মোতাবেক অধ্যক্ষ আখতারুজ্জামানকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
এ বিষয়ে বেতিল বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি শেখ আবদুস ছালাম দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, অর্থ আত্মসাৎ করে অধ্যক্ষ প্রতিষ্ঠানের সমস্ত চাবি নিয়ে আত্মগোপনে রয়েছে। এতে করোনার সময় অনলাইন ক্লাসসহ দাপ্তরিক কার্যক্রম বিঘ্ন ঘটছে। তদন্তে দুর্নীতি প্রমাণিত হওয়ায় তাকে সাময়িক বরখাস্তের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এছাড়া অফিস কক্ষের চাবিসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্রাদি হস্তান্তরের নির্দেশ দেয়া হয়।
যদিও নিজেকে নির্দোষ দাবি করে অধ্যক্ষ আখতারুজ্জামান দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, সাময়িক বরখাস্তের বিয়য়ে শুনেছি। কিন্তু আমি ১ টাকার অনিয়ম বা দুর্নীতি করিনি। আমি নতুন করে তদন্ত চাইবো।
এ ব্যাপারে জানতে চৌহালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আফসানা ইয়াসমিন দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, অভিযোগের বিষয়ে মৌখিকভাবে জেনেছি। সাময়িক বরখাস্তের কপি এখন হাতে পায়নি কিন্তু বিভিন্ন মাধ্যমে বিষয়টি জানতে পেরেছি।
শিক্ষার সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক শিক্ষার ইউটিউব চ্যানেলের সাথেই থাকুন। ভিডিওগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।
দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।