বরগুনার তালতলী তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে ২২ চীনা নাগরিক করোনা আক্রান্ত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৭ অক্টোবর) সকালে তাদের করোনা পজেটিভ আসে। এরা সবাই দেড়মাস আগে চীন থেকে তালতলীতে এসেছেন।
বৃহস্পতিবার সকালে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের কাছে তাদের করোনার প্রতিবেদন পাঠানো হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়, নমুনা দেওয়া ৩৭ জনের মধ্যে ২২ জন চীনা নাগরিক করোনা পজিটিভ আসে। তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের মধ্যেই তাদেরকে আইসোলেশনে রাখা হয়েছে। স্বাস্থ্য বিভাগ সার্বক্ষণিক নজরদারিতে রেখেছেন।
বরগুনার সিভিল সার্জন ডা. মারিয়া হাসান দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, করোনা উপসর্গ নিয়ে গতকাল বুধবার তালতলী তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে কর্মরত ৩৭ জন চীনা নাগরিক তালতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে করোনা পরিক্ষার জন্য নমুনা দেয়। সেখান থেকে নমুনা বরিশাল পিসিআর ল্যাবে পাঠানো হয়।
তালতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. কাওসার হোসেন জানান, করোনা শনাক্ত হওয়া চীনা নাগরিকদের তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের মধ্যেই আইসোলেশন সেন্টারে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা দিয়ে রাখা হয়েছে। তাদেরকে আলাদা কেয়ার্টারে আইসোলেশনে রাখা হয়েছে। করোনা আক্রান্ত নাগরিকদের জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স প্রস্তুত রাখা হয়েছে। কেউ গুরুতর অসুস্থ হয়ে পরলে তাদের তাৎক্ষণিক চিকিৎসার জন্য পরিবহন ও অক্সিজেন প্রস্তত রয়েছে৷
তিনি আরও বলেন, নির্মাণাধীন এই বিদ্যুৎকেন্দ্রে বাংলাদেশি ১ হাজার ১০০ শ্রমিক কাজ করেন। তারা সবাই সুস্থ্য রয়েছেন। তারপরেও বাড়তি সতর্কতা হিসেবে সব শ্রমিককে করোনা টেস্ট করানো হবে। দুপুরে ৩০০ রেপিড এন্টিজেন্ট কিট উপজেলা প্রশাসনের একটি দল স্বাস্থ্য বিভাগকে সাথে নিয়ে বিদ্যুৎকেন্দ্রে গিয়েছেন। বৃহস্পতিবার থেকেই টেস্ট শুরু হবে। বাংলাদেশি শ্রমিকরা যদি করোনা আক্রান্ত হয় তাহলে বিদ্যুৎকেন্দ্রের কাজ স্থগিত করে কেন্দ্রটি লকডাউন করার জন্য জেলা প্রশাসকের কাছে অনুমতি চাওয়া হবে।
বরগুনার জেলা প্রশাসক মো. হাবিবুর রহমান দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, যেহেতু এটি উন্নয়ন প্রকল্প তাই এখনই কাজ বন্ধ করে লকডাউন করা ঠিক হবেনা। চীনা নাগরিকরা যারা আক্রান্ত হয়েছেন তারা কেউই বাংলাদেশি শ্রমিকদের সংস্পর্শে আসেনি। তবে, তারপরেও যদি শ্রমিকরা করোনা আক্রান্ত হয় তবে লকডাউনের বিকল্প নেই। বিষয়টি সম্পর্কে সব সময় খোঁজ রাখছি।