ভাইভা পরীক্ষা শেষ না হলেও ১৬তম নিবন্ধনের প্রার্থীরা ৫৪ হাজার শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় আবেদনের সুযোগ দাবি করেছেন। তাদের কয়েক দিনের ভাইভা পরীক্ষা করোনার ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণ রোধে সরকার ঘোষিত লকডাউনের কারণে স্থগিত করা হয়েছে। সে পরীক্ষাগুলোর নতুন তারিখ এখনও ঘোষণা করেনি এনটিআরসিএ। যদিও আগামী ৩০ এপ্রিল ৩য় দফায় শিক্ষক নিয়োগের আবেদনের সময় শেষ হচ্ছে। এ পরিস্থিতিতে গণবিজ্ঞপ্তি তে আবেদনের সুযোগ দাবি করে রোববার (২৫ এপ্রিল) সংবাদ সম্মেলন করেছেন ১৬তম নিবন্ধনের প্রার্থীরা।
জানা গেছে, ৫৪ হাজারের বেশি শিক্ষক পদে নিয়োগ সুপারিশ করতে আবেদন গ্রহণ চলছে। সংবাদ সম্মেলনে প্রার্থীরা শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় আবেদনের সুযোগ চেয়েছেন। তারা দাবির পক্ষে নিজেদের যুক্তি তুলে ধরেছেন সংবাদ সম্মেলনে।
প্রার্থীরা বলেছেন, আমাদের ভাইভা শেষ হওয়ার মাত্র ৭ দিন বাকী থাকতেই শিক্ষক নিয়োগের ৩য় গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। অথচ ১৪তম শিক্ষক নিবন্ধন প্রার্থীদের ২য় গণবিজ্ঞপ্তিতে ভাইভা সম্পন্ন করেই রেজিস্ট্রেশন নম্বর দিয়ে আবেদনের সুযোগ দেয়া হয়েছিল। প্রার্থীরা আরও বলেন, ১৫তম শিক্ষক নিবন্ধন প্রার্থীদের ১ বছর ১ মাসের মধ্যে প্রিলি, রিটেন ও ভাইভা শেষ করা হয়েছিল, সেখানে আমাদের ১৬তম শিক্ষক নিবন্ধন প্রার্থীদের প্রায় আড়াই বছর চলে গেলেও এখনো ভাইভা শেষ করতে পারছেন না এনটিআরসিএ।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে প্রার্থীরা কয়েক দফা দাবি তুলে ধরেন। তাদের দাবিগুলো হলো, যেহেতু বয়স ৩৫ বছরের বেশি বয়সীদের বিবেচনায় নেয়া হয়েছে, সেহেতু ১ মাস সময় বৃদ্ধি করে আমাদের ৩য় গণবিজ্ঞপ্তিতে আবেদনের সুযোগ দেয়া হোক। বাকি মৌখিক পরীক্ষা দ্রুততম সময়ে বা ভার্চুয়াল মাধ্যমে শেষ করা হোক। ১৪তমদের মত নিবন্ধন সনদের রেজিস্ট্রেশন নাম্বার প্রার্থীদের মোবাইল নম্বরে পাঠিয়ে আবেদনের সুযোগ দেয়া হোক। এক গণবিজ্ঞপ্তি থেকে আরেক গণবিজ্ঞপ্তির সময়ের পার্থক্য হয় আড়াই বছর। এ গণবিজ্ঞপ্তিতে সুযোগ না পেলে অধিকাংশ প্রার্থীর বয়স ৩৫ বছরের বেশি হয়ে যাবে বলেও জানান প্রার্থীরা।
তারা আরও বলেন, এনটিআরসিএর বিপক্ষে চারশতাধিক মামলার কারণে ৪র্থ গণবিজ্ঞপ্তি কবে হবে তা নিশ্চিত করে বলা যায় না। করোনা মহামারির জন্য যেহেতু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কবে খুলবে তা নিশ্চিত করে বলা যায় না, সেহেতু গণবিজ্ঞপ্তিতে ১মাস আবেদনের সময় বাড়িয়ে দিয়ে আমাদের আবেদনের সুযোগ দেয়া হোক।
এদিকে ১৬ তম শিক্ষক নিবন্ধনের প্রার্থীদের দাবি বিষয়ে জানতে চাইলে এনটিআরসিএর কর্মকর্তারা বলছেন, তাদের আবেদনের সুযোগ দেয়ার পরিকল্পনা নেই। তাদের পরীক্ষাই শেষ হয়নি লকডাউনের কারণে। পরীক্ষা শেষে ফল প্রক্রিয়ার জন্যও সময় লাগবে। আর শিক্ষক নিয়োগেরর আবেদনের সময় বাড়ানোর কোন পরিকল্পনাই নেই। ১৬তম প্রার্থীদের আশ্বস্ত করে কর্মকর্তারা আরও বলেছেন, তৃতীয় দফায় শিক্ষক নিয়োগের পর সেসিপের চাহিদা অনুসারে ছয় শতাধিক ট্রেড ইন্সট্রাক্টর নিয়োগ সুপারিশ করা হবে। এরপর এ বছরের আগস্টে চতুর্থ দফায় শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পরিকল্পনা করা হয়েছে।