অটোপাসের দাবিতে শিক্ষকদের রিট করা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান বলেছেন, এসব রিট কোন ব্যপার না। ৩০ টাকা হলেই মামলা করে দেয়া যায়। কিছু লোক বসে আছে রিট করে নিজেদের নাম-ধাম করার জন্য। কোর্ট-কাচারীতে উকিলরা বসে থাকেন রিট করার জন্য। যে বিষয়গুলোতে সিদ্ধান্ত হয়ে গেছে সে বিষয়গুলো নিয়ে এসব করে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করার কোন দরকার নেই।
গতকাল বৃহস্পতিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) রাতে একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলের টকশোতে ‘এবার অটোপাস চাইলেন ৩৪ হাজার শিক্ষক’ শিরোনামে দৈনিক শিক্ষাডটকমে প্রকাশিত প্রতিবেদন নিয়ে কথা বলার সময় তিনি এসব কথা বলেন। টকশোতে আরো অংশ নেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রোভিসি অধ্যাপক আবদুস সামাদ, শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর শহীদুর রহমান, দৈনিক শিক্ষার সম্পাদক সিদ্দিকুর রহমান খান ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অ্যধাপক ছিদ্দিকুর রহমান।
করোনা মহামারির অজুহাতে এবার অটোপাস চেয়েছেন ৩৪ হাজার শিক্ষক। প্রাইমারি টিচার্স ট্রেনিং ইনস্টিটিউটের (পিটিআই) ডিপ্লোমা ইন প্রাইমারি এডুকেশন (ডিপিএড) কোর্সের চূড়ান্ত লিখিত পরীক্ষায় অটোপাস চেয়েছেন তারা। যদিও এসএসসি পরীক্ষার্থীরা অটোপাসের দাবি জানালে তা নিয়ে শিক্ষক ও শিক্ষাবিদরা নানা কথা বলছেন। অটোপাস পাওয়া ২০২০ খ্রিষ্টাব্দের এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের নিয়েও নানা কথা বলছেন অনেকে। এরই মধ্যে করোনার অজুহাতে জ্ঞানগুরুদের অটোপাসের আবদান নিয়ে অনেকেই হাসাহাসি করেছেন।
আগামী ২২ ফেব্রুয়ারি থেকে ডিপিএড কোর্সের চূড়ান্ত লিখিত পরীক্ষা গ্রহণের তারিখ নির্ধারণ করে পরীক্ষার সূচি প্রকাশ করেছে জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা একাডেমি (নেপ)। সে পরীক্ষা স্থগিত চেয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ে লিগ্যাল নোটিশও পাঠানো হয়েছে। নোটিশে করোনা পরিস্থিতি বিবেচনা করে ২২ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য পরীক্ষা পেছানোর জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে। একইসাথে উকিল নোটিশে অটোপাসের দাবির কথাও উল্লেখ করেছেন আইনজীবী। একইসাথে নোটিশে, ডিপিএড ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে প্রায় ৩৪ হাজার পরীক্ষার্থীর শারীরিক উপস্থিতি ছাড়া কাঠামোগত মূল্যায়ণের মাধ্যমে চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করতে বলা হয়েছে।
আর উকিল নোটিশ ও আটোপাসের লোভ দেখিয়ে কয়েকজন শিক্ষক নেতা নিরীহ সাধারণ শিক্ষকদের কাছ থেকে অনৈতিকভাবে আর্থিক সুবিধা নিয়ে নিজেদের পকেট ভারি করছেন।
যদিও পরীক্ষা পেছানো বা অটোপাস দেয়া হবে না বলে জানিয়েছেন জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা একাডেমির (নেপ) মহাপরিচালক মো. শাহ আলম। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘পরীক্ষা পেছানো হচ্ছে না। ২২ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হবে। বিভিন্ন এলাকায় শুধুমাত্র ২৮ ফেব্রুয়ারি পৌরসভা নির্বাচনের ছুটি থাকায় ওইদিনের পরীক্ষার পেছানো হবে।’
পরীক্ষা না নেয়ার অবদার সম্পর্কে মহাপরিচালক মো. শাহ আলম বলেন, ‘শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছুটির সঙ্গে এর কোনও সম্পর্ক নেই। দেশের সব ইনস্টিটিউট চলছে। শিক্ষকরা বললেই হবে নাকি?”
শিক্ষার সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক শিক্ষার ইউটিউব চ্যানেলের সাথেই থাকুন। ভিডিওগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।
দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।