ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলায় খুন করে গুম করার ৫ বছর পর এক যুবকের কঙ্কাল মাটির নীচ থেকে উদ্ধার করেছে অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। বুধবার বিকেলে উপজেলার কানুদাশকাঠি গ্রামের একটি মসজিদের পেছন থেকে এ কঙ্কাল উদ্ধার হয়। মাদক ব্যবসা নিয়ে বিরোধের জেরে তাকে চারজনে মিলে হত্যা করে লাশ মাটি চাপা দেয়া হয়েছিলো বলে সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছে সিআইডি।
কঙ্কাল উদ্ধারের পর ঝালকাঠি সিআইডির কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করা হয়। এতে সহকারী পুলিশ সুপার মো. এহসানুল হক জানান, খুন হওয়া মীর খায়রুল রাজাপুর উপজেলার বাইপাস মোড় এলাকার আনছার মীরের ছেলে। সে রাজাপুর বাইপাস এলাকায় একটি পরিবহন কাউন্টারের ব্যবসা করতো। ২০১৭ খ্রিষ্টাব্দের ৯ সেপ্টেম্বর তাকে বাড়ি থেকে মোবাইল ফোনে ডেকে নিয়ে ফোরকান, সোহাগ, মনির ও গিয়াস নামে একই উপজেলার ৪ যুবক মিলে হত্যা করে। পরে তার লাশ নলবুনিয়া গ্রামে মনিরের বাড়ির পাশে মাটি চাপা দেয়। এ ঘটনার এক মাস পরে ওই চারজন মিলে লাশ তুলে পাশের গ্রাম কানুদাশকাঠির একটি মসজিদের পেছনে বাঁশঝাড়ের মধ্যে পুনরায় মাটি চাপা দিয়ে রাখে।
তিনি আরও জানান, গত সোমবার (৩ অক্টোবর) রাতে কানুদাশকাঠি এলাকা থেকে মিরাজুল ইসলাম মিজু নামে এক ব্যক্তি আটক করে সিআইডি। তিনি দ্বিতীয়বার মাটি চাঁপা দেয়ার ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী। তার দেয়া তথ্যে সিআইডি নিহতের কঙ্কাল উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। তবে খুনের ঘটনায় জড়িত ওই ৪ ব্যক্তি পলাতক রয়েছে।
জানা গেছে, এ ঘটনায় নিহত খাইরুলের ছোট ভাই সিরাজুল ইসলাম সিরাজ বাদী হয়ে ২০১৭ খ্রিষ্টাব্দের ২৪ সেপ্টেম্বর রাজাপুর থানায় গুম ও খুনের অভিযোগে নামধারী ৫জনসহ অজ্ঞাতদের ৭জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেছিলেন। ওই বছরের ২৬ ডিসেম্বর মামলাটি সিআইডির কাছে হস্তান্তর হয়।