৫১ শতাংশ শিক্ষার্থী অনলাইন পাঠের সুযোগ পায়নি - দৈনিকশিক্ষা

৫১ শতাংশ শিক্ষার্থী অনলাইন পাঠের সুযোগ পায়নি

নিজস্ব প্রতিবেদক |

বাংলাদেশের তরুণ জনগোষ্ঠীর মধ্যে যারা চাকরি করেন, তাদের ৭০ শতাংশের আয় কমেছে। ২০১৯ সালের নভেম্বরের আয়ের সঙ্গে ২০২০ সালের নভেম্বরের আয়ের তুলনা করে এ চিত্র পাওয়া গেছে। স্বকর্মসংস্থানে নিয়োজিত মানুষের মধ্যে এই সময়কালে লাভ কমেছে ৮২ শতাংশের। গতকাল মঙ্গলবার প্রকাশিত এক জরিপের ফলাফলে এ তথ্য জানানো হয়।

করোনা মহামারির সময়ে ৫১ শতাংশ শিক্ষার্থী অনলাইন ক্লাসের সুযোগ পাননি। এ ক্ষেত্রে ছেলেদের তুলনায় মেয়েরা আরও পিছিয়ে। ৫০ শতাংশ ছেলে শিক্ষার্থী অনলাইন ক্লাসের সুযোগ পাননি, অন্যদিকে ৫৬ শতাংশ মেয়ে শিক্ষার্থী অনলাইন ক্লাসের সুযোগ পাননি। দেশের চারটি জেলায় এই জরিপ চালানো হয়- কুড়িগ্রাম, রাজশাহী, বরগুনা ও সাতক্ষীরা। এতে দেখা যায়, অনলাইন ক্লাসের সুযোগ পাননি এমন শিক্ষার্থীর সংখ্যা কুড়িগ্রামে ৬২ শতাংশ, সাতক্ষীরাতে ৫৬ শতাংশ, রাজশাহীতে ৩৯ শতাংশ এবং বরগুনায় ৪৬ শতাংশ। এই চার জেলার ৫২ শতাংশ ছেলে শিক্ষার্থীর কোনো ডিজিটাল ডিভাইস ছিল না, অন্যদিকে ৬৫ শতাংশ মেয়ে শিক্ষার্থীর ডিজিটাল ডিভাইস ছিল না।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চালু হলে নিয়মিত পড়াশোনায় ফিরবেন না অথবা এ বিষয়ে অনিশ্চয়তা আছে, এমন মত দিয়েছেন এই চার জেলার ৩.৯১ শতাংশ শিক্ষার্থী। ছেলে

শিক্ষার্থীর মধ্যে এই হার ৩.৫২ শতাংশ এবং মেয়ে শিক্ষার্থীর মধ্যে ৪.৩ শতাংশ। গ্রামে এই হার ৪.৪১ শতাংশ এবং শহরে ১.৬৫ শতাংশ।

করোনা মহামারির প্রভাব সম্পর্কে ধারণা পেতে সানেম ও অ্যাকশনএইড চার জেলার এক হাজার ৫৪১টি থানার ওপর গত বছরের ডিসেম্বরে ১৩ থেকে ২৭ তারিখ জরিপটি চালায়। গতকাল 'মহামারি ও যুবসমাজ : চারটি নির্বাচিত জেলা থেকে জরিপ অনুসন্ধান' শিরোনামে এক অনলাইন সেমিনারে এর ফলাফল তুলে ধরা হয়। এতে দেখা যায়, এ চার জেলায় স্বকর্মসংস্থানে নিয়োজিত মানুষের মধ্যে ৩১ শতাংশকে করোনার সময়ে ব্যবসা বা অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড সাময়িক বা স্থায়ীভাবে বন্ধ করতে হয়েছে।

যৌথভাবে এ ওয়েবিনারের আয়োজন করে সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক অন ইকোনমিক মডেলিং (সানেম) এবং অ্যাকশনএইড বাংলাদেশ। সেমিনারে জরিপের ফলাফল উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষক মাহতাব উদ্দিন। তিনি জানান, জরিপে ১৫ থেকে ৩৫ বছর বয়সীদের যুব জনগোষ্ঠী হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। জরিপের ৮৫ শতাংশ উত্তরদাতা গ্রামের এবং ১৫ শতাংশ শহরের। ১৯ শতাংশ অবিবাহিত এবং ৮১ শতাংশ বিবাহিত।

বিবাহিত নারীদের মধ্যে ৩৭ শতাংশ জানিয়েছেন, তারা স্বামীদের দ্বারা শারীরিক সহিংসতার শিকার হয়েছেন। কুড়িগ্রামে এই হার ৪১ শতাংশ, সাতক্ষীরাতে ২২ শতাংশ, রাজশাহীতে ২৮ শতাংশ এবং বরগুনায় ৫৫ শতাংশ। স্বামী ব্যতীত অন্য কারও মাধ্যমে শারীরিক সহিংসতার শিকার হয়েছেন বিবাহিত নারীদের মধ্যে ৩০ শতাংশ, অবিবাহিত নারীদের মধ্যে ২৮ শতাংশ। সহিংসতার শিকার হওয়ার পরে আইনি ব্যবস্থা নিয়েছেন ৫ শতাংশ নারী। আইনগত পদক্ষেপ না নেওয়ার পেছনে ৬৫ শতাংশ জানিয়েছেন তারা প্রয়োজন মনে করেননি। লজ্জা বা ভয়কে কারণ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন ৩২ শতাংশ, পরিবারের সদস্যদের ভয়কে কারণ হিসেবে দেখিয়েছেন ১৯ শতাংশ। ৪০ শতাংশ নারী জানিয়েছেন, তারা গণপরিবহনে যাতায়াত করতে নিরাপদ বোধ করেন। ১৪ শতাংশ নারী জানিয়েছেন, তারা ফেসবুক বা ইউটিউব ব্যবহার করতে পারেন।

স্থানীয় পর্যায়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণে যুবদের অংশগ্রহণের হার ৭.৬২ শতাংশ। কুড়িগ্রামে এ হার ৪.৬৭ শতাংশ, সাতক্ষীরায় ৬.৫৮ শতাংশ, রাজশাহীতে ১৩.৪৫ শতাংশ এবং বরগুনায় ৬.৩১ শতাংশ। অরাজনৈতিক সংগঠনে যুবদের অংশগ্রহণের হার ৬.৪ শতাংশ এবং রাজনৈতিক সংগঠনে ৩.৬ শতাংশ।

মাধবীলতা নয়, স্কুলের নাম কচুগাড়ি পুনর্বহালের দাবি - dainik shiksha মাধবীলতা নয়, স্কুলের নাম কচুগাড়ি পুনর্বহালের দাবি খুদে শিক্ষার্থীর হাতে অস্ত্র কেনো! - dainik shiksha খুদে শিক্ষার্থীর হাতে অস্ত্র কেনো! এইচএসসির ফরম পূরণ শুরু আজ - dainik shiksha এইচএসসির ফরম পূরণ শুরু আজ মেডিক্যাল ভর্তি পরীক্ষা হতে পারে জানুয়ারিতে - dainik shiksha মেডিক্যাল ভর্তি পরীক্ষা হতে পারে জানুয়ারিতে মুজিবনগর দিবসে সব স্কুল-কলেজে আলোচনা - dainik shiksha মুজিবনগর দিবসে সব স্কুল-কলেজে আলোচনা মেয়াদোত্তীর্ণ শিক্ষক নিবন্ধন সনদের ফটোকপি পোড়ানো কেমন প্রতিবাদ! - dainik shiksha মেয়াদোত্তীর্ণ শিক্ষক নিবন্ধন সনদের ফটোকপি পোড়ানো কেমন প্রতিবাদ! কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0071761608123779