সারা দেশের মত নেত্রকোনার মদনের স্কুল-কলেজগুলোতে ৫৪৪ দিন পর উৎসবমুখর পরিবেশে পাঠদান কার্যক্রম শুরু হয়েছে। করোনা প্রাদুর্ভাবের কারণে গেল বছরের ১৭ মার্চ থেকে দেশের সব ধরনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ছিল। সংক্রমণ কিছুটা কমে আসায় প্রথম ধাপে প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রোববার (১২ সেপ্টেম্বর) থেকে খুলেছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থীদের উচ্ছাস ছিলো চোখেপড়ার মত।
উপজেলার প্রতিটি বিদ্যালয় স্বাস্থ্যবিধি মেনে শ্রেণি কার্যক্রম পরিচালনা করতে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছেন প্রতিষ্ঠান প্রধানরা। প্রতিষ্ঠানের প্রবেশমুখে সারিবদ্ধভাবে শিক্ষার্থীদের তাপমাত্রা মাপাসহ হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়ে হাত জীবাণুমুক্ত করা হচ্ছে। শতভাগ শিশুদের মুখে রয়েছে মাস্ক। শিশুরাও অনেকদিন পর বিদ্যালয়ে আসতে পেরে আনন্দিত।
এ উপজেলায় ২টি প্রতিবন্ধী ও অটিজম স্কুল, ৯৪টি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ১৬টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ৮টি দাখিল মাদরাসা, ৮টি ইবতেদায়ি মাদরাসা ও ৩টি কলেজ রয়েছে। তবে, বেশ কয়েকটি বিদ্যালয়ে তুলনামূলক শিক্ষার্থীর উপস্থিতি কম লক্ষ করা গেছে। দীর্ঘ দেড় বছর পর বিদ্যালয়ে আসতে পেরে শিক্ষার্থীরা তাদের সহপাঠী সাথে কুশলবিনিময় করছে এবং আনন্দ ভাগাভাগি করছে। বিদ্যালয়গুলো যেন দীর্ঘদিন পর প্রাণ ফিরে পেয়েছে।
সরজমিনে মদন শহীদ স্মরণিকা পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে গেলে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আক্কাস উদ্দিন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সব নির্দেশনা মেনেই ক্লাস পরিচালনা করছেন বলে তিনি জানান।
প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবুল হোসেন দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, আমরা বেশ কয়েকটি বিদ্যালয় পরিদর্শন করেছি। সব বিদ্যালয় স্বাস্থ্য সুরক্ষা বজায়ে রেখে ক্লাস নিচ্ছে। শিক্ষার্থী উপস্থিতি সন্তোষজনক,তবে আরও উপস্থিতি বাড়বে।
একাডেমিক সুপার ভাইজার জ্যোস্না আক্তার দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী সব মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক ও মাদরাসাগুলো শ্রেণিকক্ষ পরিষ্কার পরিছন্ন করে ক্লাস পরিচালনা করছে। কয়েকটি বিদ্যালয় পরিদর্শন করেছি। দেড় বছর পর প্রথম দিনে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতিও ভাল।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বুলবুল আহমেদ দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, আমি বেশ কয়েকটি বিদ্যালয় পরিদর্শন করেছি। শতভাগ শিশুদের মুখে মাস্ক ও শ্রেণিতে বসার দূরত্ব বজায়ে রেখে ক্লাস করছে। বলতে গেলে দেড় বছর পর বিদ্যালয়গুলোতে উৎসবমুখর পরিবেশের আমেজ ছিল। প্রতিটি বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতিও ভাল।