নির্ধারিত সময়ের ৮ মাস পার হলেও মেহেরপুরের গাংনীর চাঁন্দামারী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নির্মাণ কাজ শেষ হয়নি। চলতি বছরের মার্চ মাসে কাজ শেষ করার কথা থাকলেও ঠিকাদার ও দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্তৃপক্ষের গাফিলতির কারণে ভবন নির্মাণ করা সম্ভব হয়নি বলে দাবি শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের। এ নিয়ে তাদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। এ ঘটনায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি করেছেন তারা।
জানা গেছে, ধানখোলা ইউনিয়নের চাঁন্দামারী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পুরোনো ভবনটি জরাজীর্ণ হওয়ার কারণে প্রায় ৭৮ লাখ ৩৩ হাজার ৩২৭ টাকা ব্যায়ে দ্বিতল ভবন নির্মাণের জন্য কুষ্টিয়া জেলার মিরপুর উপজেলার মেসার্স ইউনিক ট্রের্ডাসের মালিক মো. আনোয়ার হোসেনকে কার্যাদেশ দেয়া হয়। কার্যাদেশ পাওয়ার পর ২০১৯ খ্রিষ্টাব্দের ৮ জুন কাজ শুরু ও চলতি বছরের ৫ মার্চ কাজ শেষ করার বাধ্যবাধকতা থাকলেও নীচতলায় ৩টি রুমের ছাদ ঢালাই করে ফেলে রাখা হয়েছে। প্রধান শিক্ষক তৌয়ব আলী দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান,নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজ শেষ না হওয়ায় তারা চরম বিড়ম্বনায় পড়েছেন। নির্মাণ কাজ শেষ না হওয়ায় জেলা ও উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। নির্মাণ কাজের অগ্রগতির ছবি কর্তৃপক্ষ চাওয়ায় তাদের কাছে ছবি সরবরাহ করা হয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করার তাগিদ দিয়েছেন তিনি।
চাঁন্দামারী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পরিচালনা পরিষদের সভাপতি আশরাফুল হক দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নির্মাণ কাজ শেষ করার জন্য বারবার তাগাদা দিলেও ঠিকাদার কর্ণপাত করেনি উল্টো নানা অজুহাতে সময় সময় পার করছেন। স্কুল মাঠে ছেলেরা খেলাধুলা করতো নির্মাণ সামগ্রী থাকার কারণে তারা খেলাধুলাও করতে পারেনা। এছাড়া টানা বর্ষায় নির্মাণাধীন স্কুলের রডসহ ভবনের ক্ষতি হয়েছে। এছাড়া গাথুনি ইটসহ বিভিন্ন স্থানে ছত্রাক জমে গেছে। এ বিদ্যালয়ের দীর্ঘকাল নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন তিনি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঠিকাদার মো. আনোয়ার হোসেন দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, দু এক দিনের মধ্যে চাঁন্দামারী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কাজ শুরু হবে। অন্যান্য কাজ চলছে এ কারণে কিছুটা বিলম্ব হলেও ঢাকা থেকে কাজের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে।
গাংনী উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো: আলাউদ্দীন দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজ শেষ না করাটা দুঃখজনক। তবে দ্রত কাজ শেষ করার জন্য ঠিকাদারকে বলা হয়েছে।
গাংনী উপজেলা এলজিইডির প্রকৌশলী গোলাপ আলী শেখ দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, পড়ে থাকার কারণে বৃষ্টির পানিতে কম বেশি সমস্যা তো হবেই। তবে যেসব স্থানে সমস্যা হবে সেগুলো ঠিক করা হবে। এছাড়া রডের কোন সমস্যা হলে সেগুলোও ‘ওয়াস’ করে নেয়া হবে। বর্ধিত মেয়াদের মধ্যেই কাজ শেষ করা হবে।