বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলেছে, করোনাভাইরাস মোকাবিলার সহজ ব্যবস্থা আমাদের হাতেই রয়েছে। এগুলো হলো মাস্ক পরা, হাত ধোয়া ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা। জনগণের ৯৫ শতাংশ মাস্ক পরলে সেখানে লকডাউনের প্রয়োজন হয় না।
সংস্থার ইউরোপের পরিচালক হান্স ক্লুগ গতকাল বৃহস্পতিবার এ কথা বলেছেন। তিনি সবাইকে এই নতুন ধারার জীবনে অভ্যস্ত হওয়ার আহ্বান জানান। এদিকে সংস্থাটির জরুরি বিষয়ক পরিচালক মাইকেল রায়ান বলেছেন, বৈশ্বিক মহামারি করোনার দ্বিতীয় দফার সংক্রমণ মোকাবিলা অবশ্যই টিকা (ভ্যাকসিন) ছাড়াই করতে হবে। কারণ, এ সময়ের মধ্যে প্রতিষেধক এসে পৌঁছাবে না।
রায়ান বলেন, কেউ কেউ ভ্যাকসিনকেই একমাত্র সমাধান বিবেচনা করছেন। কিন্তু আমরা যদি ভ্যাকসিনকেই একমাত্র সমাধান ভাবি তাহলে করোনার সংক্রমণ শূন্য পর্যায়ে পৌঁছাবে না। ভ্যাকসিনকে একক কোনো জাদুকরী সমাধান হিসেবে দেখা ঠিক হবে না। টিকা তৈরিতে সাফল্য পাওয়ার পর যে কোনো জায়গায় উল্লেখযোগ্য
পর্যায়ে সবার কাছে ভ্যাকসিন পৌঁছাতে চার থেকে ছয় মাস সময় লাগতে পারে। অনেক দেশে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ চলছে এবং তা চলবে। আমাদের ভ্যাকসিন ছাড়াই সংক্রমণের চূড়া মোকাবিলা করতে হবে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান টেড্রোস আধানম গেব্রিয়েসুসও একই সুরে কথা বলছেন। গত সোমবার তিনি বলেন, করোনার টিকা নিজে থেকে মহামারি থামিয়ে দেবে না। আমাদের কাছে যেসব সরঞ্জাম রয়েছে, টিকা তার পরিপূরক হতে পারে, প্রতিস্থাপক নয়। টিকা নিজ থেকে কখনও মহামারির সমাপ্তি ঘটাবে না। তিনি এমন সময়ে এই মন্তব্য করেন, যখন দুটি প্রতিষ্ঠান তাদের টিকার কার্যকারিতার বিষয়ে প্রাথমিক বিশ্নেষণের ফল ঘোষণা করেছে।
মাঝে খানিকটা কমে এলেও অনেক দেশে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হয়ে গেছে। এর মধ্যেই বিভিন্ন ওষুধ প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানের তৈরি টিকার কার্যকারিতা বিষয়ে আশাব্যঞ্জক তথ্য প্রকাশিত হয়েছে। সম্প্রতি ফাইজার ও বায়োএনটেক দাবি করেছে, তাদের তৈরি করোনা টিকা ৯০ শতাংশ কার্যকর। যুক্তরাষ্ট্রের আরেক বহুজাতিক কোম্পানি মডার্নার দাবি, তাদের তৈরি টিকা ৯৪ দশমিক ৫ শতাংশ কার্যকর।