‘অধ্যক্ষের গাফিলতিতে’ এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের ফরম পূরণে গুনতে হচ্ছে অতিরিক্ত টাকা!
কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার গৌরীপুর মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষের গাফিলতির কারণে এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের ফরম পূরণে গুনতে হচ্ছে অতিরিক্ত টাকা।
সোমবার সন্ধ্যায় কলেজের সামনে গণমাধ্যমকর্মীদের ডেকে এমন অভিযোগ করেন ওই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী ও অভিভাবকেরা।
পরীক্ষার্থীরা জানান, ২০২০ খ্রিষ্টাব্দে এসএসসি পরীক্ষায় পাশ করার পর মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ দিপু মনি ম্যাডাম আমাদেরকে এখানে ভর্তি করান। পরে যখন আমরা দেখি যে বরকোটা স্কুল অ্যান্ড কলেজের নামে আমাদের ভর্তির ম্যাসেজ আসছে, তখন তাকে জিজ্ঞেস করলে বলে মাইলস্টোন হলো বরকোটা কলেজের দ্বিতীয় শাখা। মাইলস্টোনে মাসিক দুই হাজার টাকা বেতনসহ অন্যান্য আনুষঙ্গিক টাকা পরিশোধ করেছি আমরা।
এখন এইচএসসি পরীক্ষার জন্য ফরম পূরণ করার শেষ সময়ে আমাদের বরকোটা স্কুল অ্যান্ড কলেজে যেতে বলেন দিপু মনি ম্যাডাম।
সোমবার সেখানে গেলে ওই কলেজের অধ্যক্ষ আমাদের দুই বছরের বেতনসহ অন্যান্য ফি বাবদ প্রায় ৪০ হাজার টাকা বকেয়া রয়েছে বলে জানান।
সেগুলো পরিশোধ করা হলে আমাদের ফরম পূরণ করার সুযোগ দেবেন। তাহলে আমরা মাইলস্টোনে যে টাকা পরিশোধ করেছি সেগুলো কোথায় গেলো? এখন আমরা এতো টাকা কোথায় পাবো?
‘আমরা প্রতারণার শিকার হয়েছি কিনা বুঝতে পারছি না। আমরা বোর্ড নির্ধারিত ফি দিয়ে ফরম পূরণের সুযোগ দেয়ার দাবি জানাচ্ছি।’
মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ দিপু মনি বলেন, বরকোটা কলেজের অধ্যক্ষের মৌখিক অনুমতি নিয়েই এখানে শিক্ষার্থীদের ক্লাস করিয়েছি। এখন ফরম পূরণের সময় প্রতি পরীক্ষার্থীর কাছে প্রায় ৪০ হাজার টাকা দাবি করছে। এত টাকা আমার বা পরীক্ষার্থীরা দিতে পারছে না বলেই একটু সমস্যা হচ্ছে।
বরকোটা স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ মো. জসিম উদ্দিন বলেন, বরকোটা কলেজের নামে কাউকে পাঠদানের অনুমতি দেয়ার প্রশ্নই উঠে না। ২৩ জন পরীক্ষার্থী কলেজে ভর্তি হওয়ার পর দুই বছরের বেতন, সেশন ফি, মূল্যায়ন ফি, অ্যাসাইনমেন্ট ফি জরিমানাসহ আনুষঙ্গিক প্রায় ৪০ হাজার টাকা কলেজে বকেয়া। দুই বছর তারা কোথায় বেতন দিয়েছে সেটা আমার দেখার বিষয় না। শিক্ষার্থীদের বলেছি অভিভাবক নিয়ে আসতে, আলোচনা করে সমাধান করা হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মহিনুল হাসান বলেন, স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীর কাছ থেকে বিষয়টি শুনেছি। পরীক্ষার্থীদের ফরম পূরণ নিশ্চিত করতে উভয় প্রতিষ্ঠান প্রধানের সঙ্গে কথা বলেছি। আর শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কোন ধরনের প্রতারণার বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।