প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বেতন বৈষম্য নিরসন না করে প্রাথমিক শিক্ষকদের বেতন বৈষম্য নিরসন তথা প্রধান শিক্ষকদের ১০ গ্রেডে ও সহকারী শিক্ষকদের ১১তমগ্রেডে বেতনের দাবিতে অন্দোলনরত শিক্ষকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। এ নির্দেশ দেয়ায় ‘প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর শিক্ষকদের প্রতি বিমাতাসুলভ আচরণ করছেন’ বলে মন্তব্য করেছেন বঙ্গবন্ধু প্রাথমিক শিক্ষা গবেষণা পরিষদের নেতারা। বুধবার (১৬ অক্টোবর) দৈনিক শিক্ষাডটকমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ মন্তব্য করেন বঙ্গবন্ধু প্রাথমিক শিক্ষা গবেষণা পরিষদের সভাপতি মো. সিদ্দিকুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক সুব্রত রায়।
বিবৃতিতে আন্দোলনরত ‘শিক্ষকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশকে প্রাথমিক শিক্ষার গুণগত মান বৃদ্ধির অন্তরায়’ দাবি করে শিক্ষক নেতারা বলেন, প্রাথমিক শিক্ষকদের মধ্যে হতাশা, ক্ষোভ ও ঘৃণা নিয়ে মানসম্মত শিক্ষা বাস্তবায়ন করা কিছুতেই সম্ভব নয়। প্রাথমিক শিক্ষকদের বেতন বৈষম্য নিরসন তথা প্রধান শিক্ষকদের ১০ গ্রেডে ও সহকারী শিক্ষকদের ১১তম গ্রেডে বেতন বাস্তবায়নের ১ দফা দাবিতে দেশের প্রাথমিক শিক্ষক আজ ঐক্যবদ্ধ। এ আন্দোলনের যেসব শিক্ষক বা নেতা শিক্ষকদের স্বার্থবিরোধী কাজ করবে তারা মুক্তিযুদ্ধের আদর্শের পরিপন্থি হিসেবে চিহ্নিত হবে। সাধারণ শিক্ষকদের কাছে তারা তিরস্কৃত হয়ে থাকবে।’ একই সাথে প্রাথমিক শিক্ষকদের বেতন বৈষম্য নিরসন তথা প্রধান শিক্ষকদের ১০ গ্রেডে ও সহকারী শিক্ষকদের ১১তম গ্রেডে বেতনের দাবি মেনে নেয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।
বিবৃতিতে বঙ্গবন্ধু প্রাথমিক শিক্ষা গবেষণা পরিষদের নেতারা জানান, ‘শিক্ষকেরা রাষ্ট্রের ক্ষমতা পরিবর্তনের আন্দোলন করছে না। তারা বঙ্গবন্ধু ও জননেত্রী শেখ হাসিনার স্বপ্ন পূরণে আন্দোলন করছেন। শিক্ষকদের এ আন্দোলন প্রাথমিকে বেতন বৈষম্য দূরীকরণে প্রধানমন্ত্রীর দেয়া আশ্বাস ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহার বাস্তবায়নের আন্দোলন। বেতন বৈষম্য নিরসনের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছাড়া কারও আশ্বাসে কর্মসূচি প্রত্যাহার করবেনা শিক্ষকরা।’ বিবৃতিতে নেতারা, ‘শিক্ষকদের বেতন বৈষম্য নিরসনে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্টদের সময়ক্ষেপণ না করে সরাসরি প্রধানমন্ত্রীর দারস্থ হওয়ার আহ্বান জানান।’