বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে এখন উপাচার্য (ভিসি) পাওয়া মুশকিল। কারণ ভিসি নিয়োগের জন্য তিনজনের নামের তালিকা জমা দিতে হয়। জমা দেয়া ওই তিনজনকেই ভিসি পদের জন্য যোগ্য হতে হবে। এটি এমন নয়, একজন যোগ্য বাকিরা অযোগ্য হলেও চলবে। তালিকা জমা দেয়ার পর মন্ত্রণালয় যাচাই-বাছাই করে। এরপর ওই তিনজনের মধ্য থেকে একজনকে উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়। কিন্তু যাচাই-বাছাইয়ে অযোগ্য প্রমাণ হলে তালিকা ফেরত পাঠিয়ে দেয়। এ নিয়ে ভীষণ ঝামেলাও হয়। আসলে ভিসি পদে যোগ্য লোকের অভাব রয়েছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমিতির সভাপতি শেখ কবির হোসেন। বুধবার (১৩ জানুয়ারি) ভোরের কাগজ পত্রিকায় প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা যায়।
তিনি বলেন, সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকদের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য পদে নিয়োগ দেয়া হয়। কর্মরত অধ্যাপকদের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ দিতে চাইলে তারা অনেক টাকা বেতন চান। কিন্তু বহু বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় এত টাকা বেতন দিতে পারে না। টাকা না দিতে পারার কারণেও উপাচার্য নিয়োগ দেয়া সম্ভব হয় না।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ভূমিকার কথা উল্লেখ করে শেখ কবির বলেন, বেশ কয়েকটি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে কোষাধ্যক্ষ পদে কলেজ শিক্ষকদের নিয়োগ দেয় মন্ত্রণালয়। অথচ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের বেলায় সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষককে উপাচার্য, উপ-উপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষ নিয়োগ দিতে হয়। তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের বেলায় এক আইন, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের বেলায় আরেক আইন কেন? এটি নিরসনে আমরা বহুবার বলেছি। কিন্তু কেউ আমাদের কথা রাখছেই না।