শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, আমরা সব সময় মনে করেছি বিকেন্দ্রীকরণ করাটাই মনে হয় ভালো। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই বিকেন্দ্রীকরণ ভালো, কিন্তু কিছু কিছু ক্ষেত্রে বিকেন্দ্রীকরণে হয়রানি বেড়ে যেতে পারে। আমাদের কাছে মনে হচ্ছে এমপিওভুক্তি বিকেন্দ্রীকরণে এ ঘটনাটিই ঘটেছে। এজন্য এনটিআরসিএ থেকে যাদের নিয়োগ সুপারিশ করা হয়, তারপর অনলাইনে শিক্ষকদের সনদ যাচাই করে ফেলতে পারলে একবারেই শিক্ষকদের এমপিওর জন্য সেটা গ্রহণ করা যাবে।
রোববার সকালে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে শিক্ষামন্ত্রী এসব কথা বলেন।
বর্তমানে প্রচলিত এমপিওভুক্তির প্রক্রিয়ায় প্রতিষ্ঠান থেকে নতুন নিয়োগ পাওয়া শিক্ষকদের আবেদন উপজেলা শিক্ষা অফিস, উপজেলা শিক্ষা অফিস থেকে জেলা শিক্ষা অফিস, জেলা শিক্ষা অফিস থেকে আঞ্চলিক কার্যালয় এবং আঞ্চলিক কার্যালয় থেকে অনুমোদিত হয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর, মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তরে আসে। এ প্রক্রিয়ার শিক্ষকদের ঘাটে ঘাটে হয়ারানির শিকার হতে হয় বলে অভিযোগ আছে। এমপিওর আবেদন অগ্রায়নের প্রতিটি অফিসে ৫ থেকে ১০ হাজার টাকা করে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ঘুষ বাবদ শিক্ষকদের ব্যয় করতে হয়। এসব বিষয়ে জানতে চাইলে সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি স্বীকার করেছেন শিক্ষামন্ত্রী।
মন্ত্রী আরও বলেন, আমরা এসব বিষয়ে চিন্তা ভাবনা করেছে। আমরা আশা করি আমরা একসাথে বসে, এনটিআরসিএর আরও কিছু কিছু সমস্যা আছে। সে সমস্যগুলো আশা করছি এক-দেড় মাসের মধ্যে বিষয়গুলো সমাধান করতে পারবো।
২০১৫ খ্রিষ্টাব্দে নুরুল ইসলাম নাহিদ শিক্ষামন্ত্রী থাকাকালে ব্যক্তির এমপিওভুক্তি বিকেন্দ্রীকরণ হয়। নাহিদ একজন সাবেক ছাত্র ইউনিয়ন নেতা এবং দীপু মনি একই সংগঠনের সাবেক কর্মী। দুজনই সাবেক কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরীর স্নেহধন্য।
বিকেন্দ্রীকরণে ঘুষের পরিমাণ ও হয়রানি বেড়েছে বলে গত কয়েক বছরে দৈনিক শিক্ষাডটকম এর একাধিক প্রতিবেদনে তুলে ধরা হয়।
শিক্ষার সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক শিক্ষার ইউটিউব চ্যানেলের সাথেই থাকুন। ভিডিওগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।
দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।