‘ক্লাস টেন ‍স্টুডেন্ট ৮৮’ যখন ‘দশম শ্রেণিতে ৮৮ জন শিক্ষার্থী আছে’র ইংরেজি - দৈনিকশিক্ষা

শিক্ষার মানের বাস্তব চিত্র‘ক্লাস টেন ‍স্টুডেন্ট ৮৮’ যখন ‘দশম শ্রেণিতে ৮৮ জন শিক্ষার্থী আছে’র ইংরেজি

মাছুম বিল্লাহ |

গত ২৭, ২৮ ও ২৯ জুন খুলনা, যশোর ও সাতক্ষীরা বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ঘুরে দেখেছি, শিক্ষকদের সাথে কথা বলেছি, শিক্ষার্থীদের শ্রেণিকক্ষে কথা বলেছি ও ক্লাস নিয়েছি তাদের অবস্থা বোঝার জন্য। একটি বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখলাম  শিক্ষক শিক্ষার্থীদের  ‘Tag Question’এর ওপর ক্লাস নিচ্ছেন এবং বোর্ডে শিক্ষার্থীদের এই বাক্যগুলো লিখে দিয়ে বলছেন যে, এগুলোর ‘Tag Question’তৈরি করো। (i) Everybody loves them----? (ii)  the mother rose in her----(iii) He is a presenter----(iv) How nice the school is---- (v) There is little water in the field---? দেখলাম কোন শিক্ষার্থীই করতেও পারছেন না, কেউ কোনও কথাও বলছেন না, শিক্ষককে কিছু জিজ্ঞাসাও করছেন না। শিক্ষক শুধু বলছেন, এগুলো করে ফেলো। বাক্যগুলো লেখার পর সেগুলো নিজের পড়তে হয়, শিক্ষার্থীদের দ্বারা পড়াতে হয়। তারপর একটি দুটি উদাহরণ দিয়ে একই ধরনের বাক্য দিয়ে শিক্ষার্থীদের এক্সারসাইজ করানো উচিত। তা না হলে কেউ বুঝবে না। পরে আমি একই ধরনের বাক্য দিয়ে স্বল্প সময়ের মধ্যে কয়েকটি  'Tag Question' এর করানোর চেষ্টা করলাম। কয়েকজন শিক্ষার্থী পেরেছেন, সবাই তখনও পারেননি। বুঝলাম এ ধরনের প্রাকটিস শ্রেণিকক্ষে করানো হয় না। করালে প্রায় সব শিক্ষার্থীই মোটামুটি বিষয়টি আয়ত্ত করতে পারতেন।

অন্য একটি বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণিতে গেলাম। এ শ্রেণির শিক্ষার্থীরা  কোভিডের সময় অষ্টম শ্রেণিতে ছিলেন। তাদের জিজ্ঞেস করলাম অষ্টম শ্রেণিতে ইংরেজি বইয়ে কী কী পড়েছেন । কেউ বলতে পারলেন না। আমি যখন বললাম , নকশীকাঁথা পড়েছেন কিনা। তখনই বললেন, পড়েছেন। নকশীকাঁথা প্রবন্ধের অধিকাংশ বাক্যই Passive Voice -এ লেখা। বিষয়টি শিক্ষার্থীদের মুখ থেকে শোনার জন্য বহু চেষ্টা করলাম, কেউ বলতে পারলেন না। অবশেষে আমি বলে দিলাম। তারপর এই বাক্যটি বোর্ডে লিখলাম ‘Nakshikantha is sold outside the country’ শিক্ষার্থীদের জিজ্ঞেস করলাম এটি ‘active form’ এ না  ‘passive form’এ আছে। ওরা বললেন, ‘active form’এ আছে। বললাম তাহলে এটিকে ‘passive’ করেন। যেহেতু বিষয়টি চিনতেই পারেননি, কিভাবে করবে? একই ধরণের আরও একটি বাক্য দিলাম ‘Medicine is sold in this shop’ বললাম এটি ‘active form’ এ না ‘passive’এ আছে। একই ধরনের উত্তর দিলেন। পরে বললাম, আমাদের ক্লাসে ৮৮ জন শিক্ষার্থী আছেন - এই বাক্যটি ইংরেজি করুন। একজন মাত্র বললেন, 'class ten student 88.’ এই হচ্ছে শিক্ষার বাস্তব চিত্র। 

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ অন্যান্য ভর্তি পরীক্ষায় যখন দেখি, ৮ কিংবা ১০ শতাংশ শিক্ষার্থী কৃতকার্য হয় বাকিরা অকৃতকার্য তখন, অনায়াসে বুঝতে পারি শিক্ষার প্রকৃত চিত্র এটিই। 

একটি মাদরাসার নবম শ্রেণিতে গেলাম। দেখলাম শিক্ষক  ‘narration’ পড়াচ্ছেন। শিক্ষক মোটামুটি ইংরেজি বলছেন যেটি একটি ভাল দিক কিন্তু ‘narration’ পড়াচ্ছেন পুরো পুরনো স্টাইলে।   ‘direct speech', কাকে বলে, ‘indirect speech’, কাকে বলে, একটি থেকে আর একটিতে পরিবর্তনের প্রচুর নিয়মাবলী পড়াচ্ছিলেন,  নিয়ম কানুন ব্যাখ্যা করছেন কিন্তু কোনও এক্সারসাইজ করতে দেননি। শিক্ষক যেভাবে তার ছাত্রজীবনে  ‘narration’ পড়েছেন নিজ শিক্ষকদের কাছে সে ভাবেই পড়াচ্ছেন। 

এখন এসব পড়ানোতে অনেক  পরিবর্তন এসেছে, নিয়ম মুখস্থ করানোর চেয়ে সরাসরি বাক্য ও পরিবর্তন করে দুটির মধ্যে তফাৎ দেখানো এবং শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে কি পরিবর্তন হয়েছে, কেন পরিবর্তন হলো ইত্যাদি বিষয়গুলো শিক্ষার্থীদের কাছ থেকেই শুনতে হয়। এভাবে তাদের এনগেজ করতে হয় এবং তাদের চিন্তা করার সুযোগ দিতে হয়। বোঝা গেলো এসব বিষয় শিক্ষকের অজানা এবং এ ধরণের পড়ানোর সাথে তার পরিচিতি নেই। একই অবস্থা করোনার আগেও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গিয়ে দেখেছি। তাহলে  এটিকে কী আমরা করোনার লার্নিং লস বলবো, নাকি বেসিক জায়গাতেই সমস্যা বলবো নাকি আধুনিক উপায়ে গ্রামার পড়ানো বা ল্যাংগুয়েজ পড়ানোর সমস্যা বলবো? যাই বলি না কেন, সমস্যা আছেই। 

করোনা মহামারির কারণে ২০২০ খ্রিষ্টাব্দের মার্চ থেকে টানা প্রায় ১৮ মাস সব ধরণের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সরাসরি পাঠদান বন্ধ ছিল। তবে বন্ধের ওই সময়ে টেলিভিশন, রেডিও ও অনলাইনে ক্লাস নেওয়াসহ নানাভাবে শিক্ষার্থীদের শেখানোর কার্যক্রম অব্যাহত রাখার চেষ্টা ছিল। যদিও এসব কার্যক্রমে সব এলাকার সব শিক্ষার্থী সমানভাবে অংশগ্রহণ করতে পারেননি। এ অবস্থায় শিক্ষার্থীদের কতটুকু শিখন ঘাটতি তৈরি হয়েছে তা নিরূপণের উদ্যোগ নেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এ জন্য  ‘বাংলাদেশ পরীক্ষা উন্নয়ন ইউনিট’ বা বেডুর মাধ্যমে একটি  গবেষণা করানো হয়। 

২০২১ শিক্ষাবর্ষে অষ্টম শ্রেণিতে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের বাংলা, ইংরেজি ও গণিতে কী মাত্রায় শিখন ঘাটতি তৈরি হয়েছে তা উঠে এসেছে এই গবেষণায়। এসব শিক্ষার্থী এখন নবম শ্রেণিতে পড়েন। তারা ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দে এসএসসি পরীক্ষা দেবেন। 

দৈবচয়ন প্রক্রিয়া অনুসরণ করে দেশের প্রায় ১৪ হাজার শিক্ষার্থী ও প্রায় ছয় হাজার শিক্ষকের ওপর গবেষণাটি করা হয়েছে। শিক্ষার্থীরা ওই তিন বিষয়ে অনলাইন পরীক্ষায় অংশ নেয়। এ ছাড়া এ তিন বিষয়ে শিক্ষার্থীদের শিখন ঘাটতি সম্পর্কে শ্রেণি শিক্ষকের মতামত নেওয়া হয়। মাত্রা বিবেচনায় শিক্ষার্থীদের শিখন ঘাটতিকে স্বল্প, মধ্যম ও উচ্চ - এ তিন ধাপে বিভক্ত করা  হয়েছে। এটিও একটি ভালো দিক। 

অনলাইন পরীক্ষায় যেসব প্রশ্নের উত্তর চাওয়া হয়েছিল, সেগুলোর মধ্যে ৬০ শতাংশ বা তার বেশি না পারাকে উচ্চ মাত্রার শিখন ঘাটতি হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছে। ৫০ থেকে ৫৯ শতাংশ না পারাকে মধ্যম মাত্রার শিখন ঘাটতি হিসেবে ধরা হয়েছে। 

গবেষণার তথ্য বলছে বাংলায় ৩১ শতাংশ শিক্ষার্থীর মধ্যম মাত্রায় ও ২৪ শতাংশের উচ্চমাত্রায় শিখন ঘাটতি রয়েছে। বাংলায় স্বল্প মাত্রায় শিখন ঘাটতি থাকা শিক্ষার্থী ২৫ শতাংশ। ইংরেজিতে মধ্যম মাত্রায় শিখন ঘাটতি থাকা শিক্ষার্থী রয়েছে ৩৮ শতাংশ, উচ্চ মাত্রায় ১৮ শতাংশ এবং স্বল্প মাত্রায় শিখন ঘাটতি রয়েছে ২০ শতাংশের। গণিতে মধ্যম মাত্রায় শিখন ঘাটতি রয়েছে ১৪ শতাংশ শিক্ষার্থীর, উচ্চমাত্রার ক্ষেত্রে এই হার ৩৯ শতাংশ এবং স্বল্প মাত্রার ক্ষেত্রে ১৬ শতাংশ। 

সিলেট ও চট্টগ্রাম বিভাগে তিনটি বিষয়েই বেশি শিখন ঘাটতি দেখা গেছে। খুলনা ও রংপুর বিভাগের শিখন ঘাটতির মাত্রা সবচেয়ে কম। জেলা বিবেচনায় তিনটি বিষয়েই রাঙ্গামাটি ও খাগড়াছড়িতে ৭০ থেকে ৯০ শতাংশ পর্যন্ত উচ্চ মাত্রায় শিখন ঘাটতি শিক্ষার্থী চিহ্নিত হয়েছেন। ছেলে ও মেয়ে শিক্ষার্থীদের শিখন ঘাটতির ক্ষেত্রে তেমন কোন পার্থক্য দেখা যায়নি। তবে গ্রাম ও শহরভেদে শিখন ঘাটতির মাত্রায় বেশ ভিন্নতা রয়েছে। 

বাংলা, ইংরেজি ও গণিত বিষয়ে উচ্চমাত্রার শিখন ঘাটতি সম্পন্ন শিক্ষার্থীর হার শহরে সর্বোচচ ৩৬ শতাংশ এবং গ্রামে সর্বোচচ ৪৩ শতাংশ। সমতলের চেয়ে পাহাড়, উপকুল, চর, হাওড় অঞ্চলে বেশি শিখন ঘাটতি পরিলক্ষিত হয়েছে। অন্যদিকে সাধারণ ধারার শিক্ষার্থীদের চেয়ে মাদরাসার শিক্ষার্থীদের মধ্যে বেশি শিখন ঘাটতি তৈরি হয়েছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

মধ্যম ও উচ্চ মাত্রার শিখন ঘাটতি পূরণে অতিরিক্ত ক্লাস নেওয়া, টেলিভিশনে ক্লাস সম্প্রচার, অনলাইন ক্লাস ইত্যাদি কার্যক্রম পরিচালনার উদ্যোগ নেওয়াসহ বেশ কিছু সুপারিশ করা হয়েছে।এখানে একটি বিষয় হচ্ছে, যখন সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পুরোপুরি বন্ধ ছিল তখন এ সবের মাধ্যমে ক্লাস নেওয়ার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছিল যা প্রশংসার দাবি রাখে। তারপরও নানা সীমাবদ্ধতা, অসংগতি ও অনভিজ্ঞতার কারণে খুব কম সংখ্যক শিক্ষার্থীই এর দ্বারা উপকৃত হয়েছিলেন। যদিও শিক্ষা বিভাগের পক্ষ থেকে কোন ধরণের জোরালো যুক্তি ছাড়া বার বার বলা হতো যে, প্রায় শতভাগ শিক্ষার্থী অনলাইন ক্লাসের আওতায় এসেছেন। এটি নিয়ে কার্যকর একটি ব্যবস্থা গ্রহণ করা যেতো, যদি সরকার সে ভাবে চাইতো। সেটি কিন্তু হয়নি। 

বিচ্ছিন্নভাবে কেউ প্রাতিষ্ঠানিক কিংবা ব্যক্তি পর্যায়ে কিছু গবেষণা  করেছেন বা সার্ভে হয়েছে যার ফল খুব হতাশাজনক। সেই বাস্তবতায় টেলিভিশনের ক্লাস কতটা কাজ দেবে সেটি আবারও ভেবে দেখা প্রয়োজন। তবে, ইউটিউবে কিছু ভিডিও ছেড়ে দিলে যার যখন প্রয়োজন সেটি দেখে নিতে পারবে। এই যুক্তিটি খারাপ নয়। টেলিভিশনে চলতে পারে। তবে, সবচেয়ে জোর দিয়ে যে কাজটি করতে হবে তা হচ্ছে, নিজ নিজ শ্রেণিকক্ষেই সপ্তাহে তিন থেকে চারদিন অতিরিক্ত ক্লাস নিতে হবে। যেসব বিষয় বেশি কঠিন ও শিক্ষার্থীরা সমস্যা বেশি ফেস করে সেসব বিষয়গুলোতে, বাকীগুলোতেও কমপক্ষে একদিন অতিরিক্ত ক্লাস নিতে হবে। সেজন্য শিক্ষকদের বিদ্যালয়ের তরফ থেকে, অভিভাবকদের কাছ থেকে এবং সরকারি তরফে কিছু ফি প্রদান করতে হবে। 

সরকার ইতিমধ্যে ঘোষণা দিয়েছে  আগামী বছরও সংক্ষিপ্ত পাঠ্যসূচির ভিত্তিতে এসএসসি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এ জন্য ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দের পরীক্ষার্থীদের সামনে রেখে গবেষণাটি করা হয়, যাতে চিহ্নিত ঘাটতি পূরণে ব্যবস্থা নেওয়া যায়। উদ্যোগটিকে সাধুবাদ জানাই। করোনা মহামারির জেরে দেশের সব পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের লেখাপড়া ব্যাহত হয়েছে। মহামারিকালে অষ্টম শ্রেণির অর্ধেকের বেশি শিক্ষার্থীদের বাংলা, ইংরেজি ও গণিত বিষয়ে মধ্যম উচ্চমাত্রায় শিখন ঘাটতি তৈরি হয়েছে। বাকি বিষয়গুলোতেও কিন্তু তাদের অবস্থা ভালো নয়। সার্বিক ঘাটতি পূরণের নিমিত্তে অতিরিক্ত ক্লাস নেয়াসহ বেশ কিছু ব্যবস্থা নেওয়া এখন সময়ের দাবি।  
 
লেখক : মাছুম বিল্লাহ, কান্ট্রি ডিরেক্টর, ভলান্টিয়ারস অ্যাসোসিয়েশন ফর বাংলাদেশ (ভাব) এবং প্রেসিডেন্ট- ইংলিশ টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ ( ইট্যাব)।

হাইকোর্টের আদেশ পেলে আইনি লড়াইয়ে যাবে বুয়েট: উপ-উপাচার্য - dainik shiksha হাইকোর্টের আদেশ পেলে আইনি লড়াইয়ে যাবে বুয়েট: উপ-উপাচার্য প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ: তৃতীয় ধাপের ফল প্রকাশ হতে পারে আগামী সপ্তাহে - dainik shiksha প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ: তৃতীয় ধাপের ফল প্রকাশ হতে পারে আগামী সপ্তাহে ভূমির জটিলতা সমাধানে ভূমিকা রাখবেন নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা - dainik shiksha ভূমির জটিলতা সমাধানে ভূমিকা রাখবেন নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা সর্বজনীন শিক্ষক বদলি চালু হোক - dainik shiksha সর্বজনীন শিক্ষক বদলি চালু হোক ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের বিএসসির সমমান দিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কমিটি - dainik shiksha ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের বিএসসির সমমান দিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কমিটি রায় জালিয়াতি করে পদোন্নতি: শিক্ষা কর্মকর্তা গ্রেফতার - dainik shiksha রায় জালিয়াতি করে পদোন্নতি: শিক্ষা কর্মকর্তা গ্রেফতার কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0083010196685791