‘জিয়ার লাশের নামে বাক্স সাজিয়ে-গুছিয়ে আনা হয়েছিল’ - দৈনিকশিক্ষা

‘জিয়ার লাশের নামে বাক্স সাজিয়ে-গুছিয়ে আনা হয়েছিল’

নিজস্ব প্রতিবেদক |

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সংসদ নেতা বলেছেন, ‘জিয়াউর রহমানের লাশের নামে চট্টগ্রাম থেকে একটি বাক্স সাজিয়ে-গুছিয়ে আনা হয়েছিল।’

তিনি বলেন, ‘ওই বাক্সে জিয়াউর রহমানের লাশ ছিল না, এ বিষয়টি বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর শওকত ও তৎকালীন সেনাপ্রধান মরহুম রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ স্বীকার করেছেন।’ প্রধানমন্ত্রী বৃহস্পতিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) একাদশ জাতীয় সংসদের চতুর্দশ অধিবেশনের সমাপনী বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, জিয়াউর রহমানের কবর নিয়ে কথা উঠছে। আমি এ বিষয়ে আর কিছু বলতে চাই না। ৪০ বছর পরে নয়, জিয়ার মৃত্যুর সংবাদের পর তার লাশ খুঁজে পাওয়া যায়নি। গায়েবানা জানাজা হয়েছিল। কয়েকদিন পরে একটি বাক্স আনা হলো। এখানে কেউ একটা বুদ্ধি দিয়েছিল, আর জেনারেল এরশাদ তো এ বিষয়ে বেশি পারদর্শী। তিনি সাজিয়ে-গুছিয়ে একখানা বাক্স নিয়ে এসে দেখালেন।

শেখ হাসিনা বলেন, তখন এ পার্লামেন্টে বারবার প্রশ্ন এসেছে, যদি লাশ পাওয়া যায় তার ছবি থাকবে না কেন? লাশ শনাক্ত করেছিল মীর শওকত। মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে তাকে চিনতাম। আমি তাকে জিজ্ঞাসা করেছিলাম সত্যি কথা বলেন তো? বলেছিলেন, লাশ কোথায় পাবো? জেনারেল এরশাদ সাহেবকে আমি বললাম, আপনি যে একটা বাক্স আনলেন? লাশটা কই? আমাকে তিনি বললেন, বোন লাশ পাবো কোথায়? আর কী বলবো।

তিনি বলেন, লাশের কথা আমরা বারবার জানতে চেয়েছি। তখনকার বিএনপির নেতারাও ছিলেন। তারা কী করে গেছেন, সেটা আপনারা দেখেন।

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘জিয়াউর রহমান মুক্তিযোদ্ধা, বঙ্গবন্ধু তাকে খেতাব দিয়েছেন। তা সবই সত্য। কিন্তু তার অবদানটা কী? মুক্তিযোদ্ধা চলাকালে কর্নেল আসলাম বেগ তাকে চিঠি লিখেছিল। ওই চিঠি আমার কাছে আছে। এ সংসদে সেটা তুলে ধরবো। সংসদের প্রসেডিংসের পার্ট হয়ে থাকা দরকার।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘কর্নেল আসলাম বেগ মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে জিয়াকে একটি চিঠি দেয়, সেই চিঠিতে সে লিখেছিল, আপনি খুব ভালো কাজ করছেন। আমরা আপনার কাজে সন্তুষ্ট। আপনার স্ত্রী-পুত্রকে নিয়ে চিন্তা করবেন না। আপনাকে ভবিষ্যতে আরও কাজ দেওয়া হবে।’

‘খালেদ মোশাররফ যখন আহত হয়ে যান, তখন মেজর হায়দার দায়িত্ব নিয়েছিলেন। জিয়াউর রহমান সেক্টর কমান্ডার হয়নি। অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। সে (জিয়া) তো একটা সেক্টরের অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন, সেক্টর কমান্ডার নয়’ বলেন প্রধানমন্ত্রী।

‘মিডিয়া কী লিখলো ওসব নিয়ে দেশ পরিচালনা করি না’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘মিডিয়াতে কে, কী লিখল আর টকশোতে কী বললো, ওসব নিয়ে আমি দেশ পরিচালনা করি না। আমি দেশ পরিচালনা করি অন্তর থেকে।’

তিনি বলেন, ‘আমার বাবা এ দেশ স্বাধীন করেছেন। দেশের দরিদ্র মানুষের জন্য বছরের পর বছর তিনি জেল খেটেছেন। নিজের জীবনটাকে উৎসর্গ করেছেন, সেই মানুষগুলোর জন্য কী কাজ করতে হবে, যেটা শিখেছি আমার বাবার কাছ থেকে মায়ের কাছ থেকে, আমি সেটাই কাজে লাগাই। মানুষ তার সুফল পাচ্ছে কি-না, সেটা যাচাই করি। কে কী বললো, ওটা শুনে হতাশ হওয়া বা উৎসাহিত হওয়া আমার সাজে না, আমি করিও না। এটা হলো বাস্তবতা।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের মানুষের একটা বদ অভ্যাস হয়ে গেছে, কথায় কথায় হতাশ হওয়া। আর যতই কাজ করি তারপরেও বলবে এটা হলো না কেন, ওটা হলো না কেন? আমি একটু বলব; এটা না বলে আগে কী ছিল আর কী আছে, সেটা দেখলেই তো হয়ে যায়। সেটা দেখতে পারবে না।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আছে কিছু লোক, আছে না? যাকে দেখতে নারী, তার চলন বাঁকা, এ অবস্থায় কিছু লোক ভোগে। আর কিছু লোক আছে হতাশায় ভোগে। সেটা নিয়ে আমার কোন.. ই নেই।’

ছুটি না বাড়ালে বাড়ি যেতে হতে পারে ঈদের দিন - dainik shiksha ছুটি না বাড়ালে বাড়ি যেতে হতে পারে ঈদের দিন হাইস্কুলে কমেছে দশ লাখের বেশি শিক্ষার্থী - dainik shiksha হাইস্কুলে কমেছে দশ লাখের বেশি শিক্ষার্থী জালিয়াতি করে পদোন্নতি শিক্ষা ক্যাডার গ্যাঁড়াকলে - dainik shiksha জালিয়াতি করে পদোন্নতি শিক্ষা ক্যাডার গ্যাঁড়াকলে রুয়েটের সাবেক উপাচার্য-রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে মামলা - dainik shiksha রুয়েটের সাবেক উপাচার্য-রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে মামলা উপবৃত্তির জন্য সংখ্যালঘু কোটার তথ্য চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় - dainik shiksha উপবৃত্তির জন্য সংখ্যালঘু কোটার তথ্য চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি - dainik shiksha প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি উপবৃত্তির জন্য সংখ্যালঘু কোটার তথ্য চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় - dainik shiksha উপবৃত্তির জন্য সংখ্যালঘু কোটার তথ্য চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় হাইস্কুলে কমেছে দশ লাখের বেশি শিক্ষার্থী - dainik shiksha হাইস্কুলে কমেছে দশ লাখের বেশি শিক্ষার্থী please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0068709850311279