বৈশাখী ভাতার ২০ শতাংশ টাকা করোনা মোকাবেলায় প্রধানমন্ত্রীর তহবিলে অনুদান দিচ্ছেন প্রাথমিকের শিক্ষক ও কর্মকর্তারা। দুস্থ মানুষের সাহায্যের জন্য এ টাকা ব্যয় করবেন প্রধানমন্ত্রী। আর দেশের ক্রান্তিকালে সাধারণ মানুষের সাহায্যে এগিয়ে আসায় প্রাথমিকের শিক্ষক-কর্মকর্তাদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন বঙ্গবন্ধু প্রাথমিক শিক্ষা গবেষণা পরিষদ। এই উদ্যোগ বাস্তবায়নে সহায়তা করায় প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. ফসিউল্লাহকেও আন্তরিক ধন্যবাদ জানিয়েছেন পরিষদের নেতারা। রোববার (৫ এপ্রিল) দৈনিক শিক্ষাডটকমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে শিক্ষক-কর্মকর্তাদের ধন্যবাদ জানান পরিষদের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ।
জানা গেছে, অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের সাথে শিক্ষক নেতা, কর্মচারীদের সংগঠন এবং মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সাথে আলোচনায় প্রাথমিকের শিক্ষক-কর্মকর্তাদের বৈশাখী ভাতার ২০ শতাংশ টাকা করোনা মোকাবেলায় সহায়তা হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর তহবিলে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে মাঠপর্যায় থেকে অর্থ সংগ্রহ শুরু হয়েছে। প্রায় ২৪ কোটি টাকা প্রধানমন্ত্রীর তহবিলে দিচ্ছেন শিক্ষক-কর্মকর্তারা।
পরিষদের সভাপতি মো. সিদ্দিকুর রহমান এবং সাধারণ সম্পাদক সুব্রত রায় স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সবার সাথে আলোচনা করে প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে সহায়তা করার পদক্ষেপ গ্রহণ করায় প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, প্রাথমিক শিক্ষক সংগঠনসহ প্রাথমিক স্তরের সব কর্মকর্তা-কর্মচারীকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি। এ উদ্যোগ বাস্তবায়নে সহায়তা করায় প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. ফসিউল্লাহকেও আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি। দেশে পেশাজীবীদের মধ্যে সর্ববৃহৎ হল প্রাথমিক শিক্ষা পরিবার। বৈশাখী ভাতার ২০ শতাংশ টাকা প্রধানমন্ত্রীর তহবিলে দেয়ার মাধ্যমে তারা করোনা ভাইরাস নিয়ে চলমান দুর্যোগ মোকাবেলায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবেন।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, আগে তৎকালীন বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির বিভিন্ন দুর্যোগ মোকাবেলায় সহযোগিতা করার জন্য বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় বিবৃতি পাঠিয়ে শিক্ষকদের আহ্বান জানাতো। যথাযথ পদক্ষেপ নেয়ার জন্য বিবৃতি দিয়ে সরকারকে তাগিদ দিতেন শিক্ষক নেতারা। শিক্ষকদের পক্ষ থেকে জনস্বার্থে কোনো পদক্ষেপ নেয়া হলে সেটাও গণমাধ্যমকে জানানো হতো। তবে, আজকের দিনের সংগঠনগুলোর নীরব নিশ্চুপ ভূমিকা দুঃখজনক। জাতীয় স্বার্থে নেয়া পদক্ষেপগুলো শিক্ষকদের মাঝে প্রচারের জন্য সংগঠনগুলোর প্রতি অনুরোধ জানাচ্ছি।
বিজ্ঞপ্তিতে শিক্ষক নেতারা আরও বলেন, ত্রাণ তহবিলের চেক হস্তান্তরের সময় শিক্ষক নেতাদের সাথে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেখা করিয়ে দেয়ার জন্য গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী, সচিব ও মহাপরিচালকের কাছে অনুরোধ করছি। এ সময় শিক্ষকদের বৈষম্য ও দুঃখ-দুর্দশার কথা নেতারা প্রধানমন্ত্রীকে জানাতে পারবেন।
দেশে ছড়িয়ে পড়ছে করোনা ভাইরাস। ভাইরাস সংক্রমণ ঠেকাতে সব সরকারি অফিস স্কুল-কলেজ বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। জনজীবন হয়ে পড়েছে স্থবির। এই অবস্থায় সবচেয়ে বেশি ভুক্তভোগী নিম্নআয়ের দিনমজুর ও বস্তিবাসীরা।