মুক্তিযোদ্ধাদের খসড়া তালিকা আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে প্রকাশ করা হবে বলে জানিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। একইসঙ্গে মুক্তিযোদ্ধাদের সহযোগীদের তালিকা করার কথাও সরকার চিন্তা-ভাবনা করছে বলেও জানান মন্ত্রী।
সোমবার (১৮ জানুয়ারি) মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ‘সেবা সপ্তাহ-২০২১’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এ কথা জানান। মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সামনের সড়কে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
মন্ত্রী জানান, মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা দুই লাখের মধ্যে থাকবে। এরমধ্যে সাধারণ মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা এক লাখ ৭৫ হাজারের বেশি হবে না। তাদের চূড়ান্ত তালিকা আগামী স্বাধীনতা দিবসে প্রকাশ করা হবে।
আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, ‘আগামী ২৬ মার্চ মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা চূড়ান্ত করা হবে। যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ নিষ্পত্তি হয়নি সেগুলো চলমান থাকবে। কিন্তু যেসব মুক্তিযোদ্ধাদের নাম বা স্বীকৃতি শতভাগ নিশ্চিত হওয়া গেছে, মহান স্বাধীনতা দিবসে সেটা (চূড়ান্ত তালিকা) প্রকাশ করব।’
মন্ত্রী আরও বলেন, ‘এর আগে ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহে খসড়া তালিকা প্রকাশ করব। একমাস তালিকা পর্যাবেক্ষণ করা হবে। যদি কোনো নামে ভুল-ত্রুটি থাকে বা কারও বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ থাকে, ঠিকানায় ভুল থাকে তা সংশোধন করা হবে । নাম-পরিচয় আমাদের ন্যাশনাল আইডির সঙ্গে পরিপূর্ণ মিল থাকতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বিদেশে যেমন পরিচয়পত্র দিয়ে একজন মানুষ সব ধরনের সার্ভিস পায়, মুক্তিযোদ্ধাদের আমরা সেই ধরনের কার্ডই দেব। তার ন্যাশনাল আইডির সঙ্গে যদি পাসপোর্ট থাকে সবগুলোর একই নম্বর থাকবে। সেই নম্বরে সব রকমের সার্ভিস একজন নাগরিক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে যাতে তিনি পেতে পারেন, তা নিশ্চিত করা হবে।’
মোজাম্মেল হক বলেন, ‘৩৪ হাজার মুক্তিযোদ্ধা, যাদের গেজেট আছে। তাদের নিয়মিত করার জন্য আগামী ৩০ জানুয়ারি উপজেলায় তাদের গেজেট যাচাই হবে। আমরা অপেক্ষা করছি হয়তো এক লাখ ৭০ হাজারের মধ্যেই এটা (মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা) সীমিত থাকবে।’