জাতীয় পার্টির সাংসদ সৈয়দ আবু হোসেন বলেছেন, স্বাধীনতার ৫০ বছর পর এসে একজন নিরপরাধ ছাত্রীর স্বাভাবিক মৃত্যুর নিশ্চয়তা দিতে রাষ্ট্র ব্যর্থ হয়েছে। কেন একজন পিতা রাষ্ট্রের কাছে বিচার চাইতে ভয় পাচ্ছেন, রাষ্ট্রকে তার জবাব দিতে হবে। আজ বুধবার জাতীয় সংসদে পয়েন্ট অব অর্ডারে দেওয়া বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।
সম্প্রতি রাজধানীর শাহজাহানপুরের আমতলা মসজিদ এলাকায় দুর্বৃত্তের এলোপাতাড়ি গুলিতে নিহত হন কলেজছাত্রী সামিয়া আফরান জামাল। এ ঘটনার পর সামিয়ার পিতা-মাতা বলেছেন, তাঁরা বিচার চান না। বিষয়টি উল্লেখ করে আজ জাতীয় সংসদে বক্তব্য দেন সৈয়দ আবু হোসেন।
ওই ছাত্রীর কী অপরাধ ছিল—এমন প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, একজন সাংসদ হিসেবে তিনি এ ঘটনায় লজ্জিত। ওই ছাত্রী রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন না। এই ঘটনার পর একজন চিকিৎসককে হত্যা করা হয়েছে। তিনিও রাজনীতিতে জড়িত ছিলেন না।
যারা এসব হত্যাকাণ্ডে জড়িত, তাদের ‘হায়েনা’ আখ্যা দিয়ে জাতীয় পার্টির এই সাংসদ বলেন, এসব হায়েনাকে চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। না হলে উন্নয়ন, অগ্রগতি সব ম্লান হয়ে যাবে। যেভাবে জঙ্গিদের দমন করা হয়েছে, সেভাবে শক্ত হাতে এসব হায়েনাকে দমন করার জন্য তিনি প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আহ্বান জানান।
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়েও সমালোচনা করেন আবু হোসেন। তিনি বলেন, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে সাধারণ মানুষের এখন ত্রাহি অবস্থা। যেকোনো মূল্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে আনতে হবে। অনেক সময় মন্ত্রীরা বলেন, ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে দাম বাড়িয়ে দেন। যদি ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে জিনিসপত্রের দাম বাড়িয়ে থাকে, তাহলে সরকার কেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে না।