কোথায় গেল একুশের সেই চেতনা? - দৈনিকশিক্ষা

কোথায় গেল একুশের সেই চেতনা?

দৈনিকশিক্ষা ডেস্ক |

মাঝে মাঝে মনে হয় আমরা বোধহয় বরাবরই আত্মপ্রবঞ্চক জাতি। যুগ যুগ ধরে অনেক মহৎ ইতিহাস গড়েছেন আমাদের পূর্বপুরুষরা। উত্তর পুরুষ আমরা পূর্বপুরুষের সৃজিত চেতনাকে ক্রমাগত লাঞ্ছিত করেছি।

খ্রিস্টপূর্ব যুগে আমাদের পূর্বপুরুষরা বিদেশি আর্য আগমন রুখে দিয়েছিলেন অসাধারণ বীরত্বে, অন্যদিকে উত্তর ভারতের মৌর্য ও গুপ্ত রাজাদের আক্রমণ প্রতিহত করতে তেমন ভূমিকা রাখেননি। সাত শতকে শত বছরব্যাপী মাৎস্যন্যায়ের অন্ধকার আমরাই সৃষ্টি করেছি। মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) যুগান্তর পত্রিকায় প্রকাশিত এক নিবন্ধে এ তথ্য জানা যায়। 

নিবন্ধে আরও জানা যায়, আবার গণতান্ত্রিক বোধ সৃষ্টির মধ্য দিয়ে পাল রাজত্বের পত্তনের পেছনে এ বাঙালিই গৌরবময় ভূমিকা রেখেছে। এগারো শতকে বিদেশি সেন ব্রাহ্মণদের আধিপত্যবাদী ক্ষমতা দখলকে যে পূর্বপুরুষ নীরবে মেনে নিয়েছিলেন, তাদেরই উত্তর পুরুষ আত্মরক্ষার জন্য মুসলিম শাসকদের আগমনকে স্বাগত জানিয়েছেন।

ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনে যে বাঙালি পূর্বপুরুষ বীরত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন, তাদেরই উত্তর পুরুষ ইংরেজ শাসনের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়েছেন। আর এ দ্বিচারিতার নষ্ট ঐতিহ্য এখনও বয়ে বেড়াচ্ছি।

মুক্তিযুদ্ধের আগের কথা বলছি। আমার এক আত্মীয় একটি হাইস্কুলের হেডমাস্টার। বেশ জনপ্রিয়। তার একটি বক্তব্য এখনও আমার মনে রেখাপাত করে আছে। তিনি বলেছিলেন, ‘ইংরেজি ভালো না জানলে তাকে আমি শিক্ষিতই বলব না।’ আমি সেই ছোট বয়সে ভারি অবাক হয়েছিলাম।

একটি ভাবনা এসে মাথায় জট পাকিয়েছিল। আমরা তখন বড়দের সঙ্গে একুশে ফেব্রুয়ারির ভোরে ফুল হাতে নগ্নপায়ে প্রভাতফেরিতে যাই। বাংলা ভাষার পক্ষে কত বিজ্ঞজন কত বক্তৃতা করতেন। বায়ান্নর ভাষা আন্দোলনের কথা মনে পড়ে।

ইংরেজি ছাড়া যদি শিক্ষিত হওয়া না যায় তবে ভাষাসৈনিকরা মায়ের ভাষা বাংলার জন্য জীবন দিলেন কেন? আবার সংবিধানে মাতৃভাষায় উচ্চশিক্ষার কথা বলা হলেও ইংরেজি মাধ্যম স্কুল আর বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়াশোনোর ভাষা কেবল ইংরেজি হবে কেন? এমন নানা বিচারবোধ দেখে মনে হয় আমরা প্রকৃতপক্ষেই যেন একুশের চেতনা থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাচ্ছি।

২০১৬তে প্রথম প্যারিস যাই। দু’দিনের মধ্যেই বেশ বিরক্ত হয়ে গেলাম। কোথাও ইংরেজির চল নেই। ফ্রেঞ্চ বা স্প্যানিশ না জানলে চলা মুশকিল। কেউ একবর্ণ ইংরেজি দিয়ে এ পরদেশিকে সাহায্য করে না। রাস্তার সাইনবোর্ড থেকে খাবারের প্যাকেট কোথাও ফরাসি ভাষার বাইরে কিছু লেখা নেই।

সবচেয়ে বিরক্ত হলাম বিশ্ববিখ্যাত ল্যুভ জাদুঘরে গিয়ে। প্রদর্শনীতে রাখা সুবিখ্যাত চিত্রশিল্পী ও ভাস্করদের সৃষ্টি দেখে চোখ জুড়িয়ে যায়। অথচ সব পরিচিতি ফরাসি ভাষায়। সন্ধ্যায় আমার হোটেলের ম্যানেজারের সঙ্গে কথা বললাম। চৌকস শিক্ষিত ফরাসি মঁসিয়ে। বললাম তোমরা এত রক্ষণশীল কেন?

আন্তর্জাতিক ভাষা ইংরেজি, একে জাদুঘরেও জায়গা দাওনি! উত্তরটি মনে গেঁথে গেল। বলল, দেখো আমাদের যে উন্নত বিশ্বের দেশ বলো, তা তো আমাদের ভাষা ও সংস্কৃতির কারণে। আমরা নিজ ভাষা ও সংস্কৃতি চর্চার কারণেই আজকে উন্নত বিশ্বের একটি দেশের গর্বিত অধিবাসী।

আমাদের আশঙ্কা, আজ যদি আন্তর্জাতিক ভাষার অজুহাতে ইংরেজি ব্যবহারের সুযোগ দেই তবে দুর্বল হয়ে পড়বে আমার ভাষা ও সংস্কৃতি। আর এতে দুর্বল হবে আমাদের দেশ। এমন ঝুঁকি আমরা নিতে পারব না।

চকিতে মধ্যযুগের বিশ্বসভ্যতার কথা মনে পড়ল আমার। সে যুগের গল আজকের ফ্রান্স তখন গভীর গ্রাম। সামান্য প্রাথমিক শিক্ষাও ছিল না। পরে ৯ শতকে শার্লামেন নামের একজন রাজা বসলেন গলের সিংহাসনে।

তিনি প্রথমে চার্চগুলোর ভেতরে প্রাথমিক স্কুল খুললেন। শিক্ষার যাত্রা শুরু হল। দশ শতকের শেষ বা এগারো শতকের শুরুতে প্যারিস বিশ্ববিদ্যালয়ের যাত্রা শুরু হয়। এরপর মাতৃভাষাকে মর্যাদা দিয়ে এগিয়ে চলা।

মনে পড়ল আমাদের ইতিহাস। ফ্রান্সে যখন প্রাথমিক বিদ্যালয় গড়ে ওঠে, এর সহস্র বছর আগে আমাদের প্রাথমিক শিক্ষার দ্বার উন্মুক্ত হয়েছিল। আর ৯ শতকের মধ্যে আমাদের দেশে একাধিক বৌদ্ধবিহারকেন্দ্রিক বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে ওঠে।

অথচ এরপর থেকে আমরা ধীরে ধীরে স্বাজাত্যবোধকে বিসর্জন দিয়েছি। নানা জাতির আক্রমণ-আধিপত্যে প্রতিরোধ যেমন গড়েছি- আবার নিজ ভাষা ও সংস্কৃতিকে লাঞ্ছিতও করেছি। সবচেয়ে বড় সংকট হয়েছে ইংরেজ ঔপনিবেশিক আমলে। ওরা ইংরেজি ভাষাকে শিক্ষিত এলিট শ্রেণির মগজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে ঢুকিয়ে দিয়েছিল।

শিখিয়েছিল ইংরেজি ছাড়া মুক্তি নেই। আর তা প্রবলভাবে বহন করছি এ যুগেও আমরা। শুধু আমরা নই, পৃথিবীর যত দেশে ইংরেজরা উপনিবেশ বানিয়েছিল, সব দেশের মানুষের ‘শিক্ষিত’ এলিট শ্রেণির বড় অংশ এভাবেই ইংরেজির দাসত্ব মেনে নিজ ভাষা ও সংস্কৃতিকে বিকৃত করছে।

কেউ কেউ বলছেন, দ্বিতীয় একটি ভাষা শেখায় অন্যায় তো নেই, লাভ আছে বরঞ্চ। বিলক্ষণ, এতে কারও আপত্তি থাকার কথা নয়; কিন্তু নিজ ভাষা ও সংস্কৃতির চর্চাকে সর্বাধিক মূল্য না দিয়ে অন্য ভাষা চর্চাকে অধিক গুরুত্ব দেয়ায় একটি অসুস্থ ও স্বার্থপর মানসিকতা কাজ করে।

আর অমন মানসিকতার বীজ উপ্ত হয়েছিল ঔপনিবেশিক শাসন আমল থেকেই। যে কারণে আমার সেই আত্মীয় হেডমাস্টার ইংরেজি না জানা মানুষকে শিক্ষিতই বলতে চাননি।

আজকে অমন অসুস্থ মানসিকতার ধারাবাহিকতা যারা বহন করেন তাদের কাছে জানতে ইচ্ছে হয় আমাদের অনেক পরে সভ্যতা গড়ে তোলা ফ্রান্স, স্পেন, জার্মানির মতো দেশগুলো নিজ ভাষা ও সংস্কৃতি লালন করে এগিয়ে যাচ্ছে কেমন করে?

ইউরোপের অনেক দেশ কি শুধু অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির আশায় যুগে যুগে আমাদের দেশে আসেনি? প্রাচীন বাংলায় চীনের অনেক শিক্ষার্থী উচ্চশিক্ষার জন্য আমাদের বিহারকেন্দ্রিক বিশ্ববিদ্যালয়ে কি পড়াশোনা করেনি? চীন-জাপানের মতো দেশগুলো এ যুগেও নিজ ভাষা চর্চা করে বিশ্বকে অর্থনৈতিকভাবে শাসন করছে না?

নিজ ভাষাকে অবজ্ঞা করে অন্য ভাষায় দক্ষ হয়েও প্রাজ্ঞ হওয়া যায় না। প্রাজ্ঞ বাঙালিও ঘুমের মধ্যে স্বপ্ন দেখেন বাংলায়, নানা ভাবনা পরিকল্পনাও মগজের কোষে কোষে বাংলাতেই ছুটোছুটি করে। পরে তিনি তা প্রকাশ করতে চান বিদেশি ভাষাতে।

স্বাধীনতার পর থেকে এ দেশের বেশিরভাগ শিক্ষার্থী সনাতন ধারায় বাংলা মাধ্যমেই পড়াশোনা করেছেন। তাদের মধ্যে মেধাবীরা উচ্চশিক্ষার জন্য পৃথিবীর নানা বিশ্ববিদ্যালয়ে, নানা প্রতিষ্ঠানে গিয়ে সাফল্য দেখিয়ে আসছেন। নিজ ভাষায় সবল থাকলে অন্য ভাষা, বিশেষ করে আমাদের সবচেয়ে চেনা ভাষা ইংরেজি আয়ত্তে আনা কঠিন না। এর জন্য বাংলা বিসর্জন দিয়ে সম্ভ্রান্ত হওয়ার তেমন কারণ নেই।

২২ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটিতে ইতিহাস একাডেমি, ঢাকার উদ্যোগে আন্তর্জাতিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হল। একটি সেশনে আমি সভাপতিত্ব করছিলাম। কলকাতার তিনজন গবেষক প্রবন্ধ পড়লেন।

আমি বাংলা ভাষায় লেখা একজনের প্রবন্ধের ভাষা ও বানান ভুল নিয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলাম। কমন উত্তর পেলাম। বাংলা বেশি চর্চা করা হয় না তাই...। বললাম মাতৃভাষাতে দুর্বল থেকে আপনি অন্যের ভাষায় কী করে সবল হবেন?

নানা ভাষা শিখতে পারা তো কৃতিত্বের বিষয়। বাংলা ভাষায় জড়িয়ে থাকা প্রচুর বিদেশি শব্দ আমার ভাষাকে সমৃদ্ধ করেছে। তাই বলে নিজের ভাষা শিক্ষাকে অবজ্ঞা করে যারা আত্মপ্রসাদ লাভ করতে চান তাদের দশা তো হবে- না ঘরকা, না ঘাটকা।

আজকাল টিভি চ্যানেল ও নানা নামের রেডিওতে বাংলা ও ইংরেজির অদ্ভুত মিশেলে অনেক অনুষ্ঠান উপস্থাপন করে বণিকবুদ্ধির মিডিয়া পরিচালকরা বাংলা ভাষার বক্ষবিদীর্ণ করছেন। মহামান্য উচ্চ আদালত রায় দিলেও এদের নিবৃত্ত করা যাচ্ছে না।

বিভিন্ন চ্যানেলের নাটকের ভাষা থেকে এখন প্রমিত কথ্য ভাষা তো উঠেই গেছে বলা যায়। দেশের নানা অঞ্চলে অনেক আঞ্চলিক ভাষা রয়েছে। সেসব ভাষা রক্ষা করা জরুরি।

এরপরও যা সত্য তা হল, একটি জাতীয় প্রমিত ভাষা থাকতে হয়। এখন তা-ও ভুলিয়ে দিচ্ছে টিভি চ্যানেল। অথচ এসবের দেখভাল করার কেউ নেই। এসব কারণে ঐতিহ্য চর্চায় আমরা হোঁচট খাচ্ছি।

আমি অনেকদিন থেকে ঐতিহ্য বিকৃতি আর ইতিহাস হারিয়ে ফেলার কথা বলে আসছি। আমি যখন বঙ্গবন্ধু, মওলানা ভাসানী প্রমুখ নেতার একুশের প্রত্যুষের ছবি দেখি, তখন বুঝতে পারি তারা বাঙালি সংস্কৃতির নিয়ম মেনে প্রত্যুষকে একুশের প্রথম প্রহর জানতেন আর নগ্নপায়ে প্রভাতে প্রভাতফেরি নিয়ে শহীদ মিনারে যেতেন।

এখন তাদেরই উত্তরসূরিরা অর্থাৎ আওয়ামী লীগের গুরুত্বপূর্ণ অংশ পাশ্চাত্যের প্রথা মেনে মধ্যরাতকে একুশের প্রথম প্রহর মানছেন। মধ্যরাতে ‘প্রভাতফেরি’ করে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করছেন। এরশাদ যখন নিজ নিরাপত্তার স্বার্থে প্রভাতফেরিকে প্রভাত থেকে মধ্যরাতে নামিয়ে আনলেন, তখন অনেকেই হায় হায় করেছিলাম।

অথচ ক্ষমতাবানরা এরপর থেকে অবলীলায় স্বৈরাচারকেই অনুসরণ করতে থাকলাম। অথচ একবারও ভাবলাম না এতে একুশের ঐতিহাসিক সত্য ও সংস্কৃতি বিকৃত হয়ে যাচ্ছে।

প্রভাতফেরি নামটি থেকে যাচ্ছে অথচ নতুন প্রজন্ম প্রভাত খুঁজে পাচ্ছে না। আরও সংকট বড় হয়েছে একুশে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়া পর। স্বাভাবিকভাবেই বিশ্বের মানুষ ভাষা দিবস উদযাপনের সময় উৎস দেশটিকে অনুসরণ করতে চাইবে।

আমরা মধ্যরাতের প্রভাতফেরির ভুল সংস্কৃতি নির্দেশ করছি। একটি মাত্র জাতীয় দিবস, যার সঙ্গে ‘প্রভাতফেরি’ শব্দটি জড়িয়ে আছে। আমরা স্বাধীন দেশে অচেনা করে দিচ্ছি এ সংস্কৃতিটিকে।

অথচ কী আশ্চর্য, এতে অস্বস্তি প্রকাশ করছেন না ভাষাসৈনিক, সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতাকর্মীরা, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। চাইলেও স্থানীয় প্রশাসন-স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান প্রভাতে প্রভাতফেরি করতে পারছে না। কারণ তাদের প্রশাসনের মাথারা মধ্যরাতে আসেন।

আমি বহু অনুরোধ-উপরোধ আর দাবি জানিয়ে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সামান্য মন গলিয়েছিলাম। মধ্যরাতের আনুষ্ঠানিকতা শেষ করেও জাবি প্রশাসন জনা কয়েক হলেও রেজিস্ট্রারের নেতৃত্বে আমাদের সঙ্গে প্রভাতফেরি করে আসছেন।

শিক্ষার্থীদেরও উদ্বুদ্ধ করার চেষ্টা করেছি। মধ্যরাতের আয়োজন সম্পন্ন করে সংখ্যায় অল্প হলেও কোনো কোনো সংগঠনের ছেলেমেয়েরা প্রভাতফেরি করছে; কিন্তু চেতনা খুব জাগাতে পেরেছি মনে হয় না। কারণ মধ্যরাতকে ওরা বর্জন করতে পারেনি।

ছাত্র সংগঠনগুলোর ছেলেদের মুখেই শুনেছি বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় ভিসি নাকি কথা দিয়েছিলেন এবার চেষ্টা করবেন মধ্যরাতের বদলে প্রভাতেই প্রভাতফেরি করতে; কিন্তু বাস্তবতায় দেখলাম ‘চেষ্টায়’ তিনি সফল হননি।

আমাদের পূর্বপুরুষ বুকের রক্ত দিয়ে ঐতিহ্য গড়ে দিলেও আমরা সচেতনভাবেই যেন একুশের চেতনাবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ছি।

লেখক: ড. এ কে এম শাহনাওয়াজ, অধ্যাপক, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়

শিক্ষায় বরাদ্দ বেড়েছে, আরো বাড়বে: শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী - dainik shiksha শিক্ষায় বরাদ্দ বেড়েছে, আরো বাড়বে: শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সমাবর্তনের অজুহাতে সনদ আটকে রাখা যাবে না - dainik shiksha সমাবর্তনের অজুহাতে সনদ আটকে রাখা যাবে না হিটস্ট্রোকে স্কুলছাত্রীর মৃত্যু - dainik shiksha হিটস্ট্রোকে স্কুলছাত্রীর মৃত্যু চুয়েটে আন্দোলন স্থগিত, সড়কে যান চলাচল শুরু - dainik shiksha চুয়েটে আন্দোলন স্থগিত, সড়কে যান চলাচল শুরু প্রাথমিকের প্রশ্ন ফাঁসে অল্পদিনে কয়েকশ কোটি টাকা আয় - dainik shiksha প্রাথমিকের প্রশ্ন ফাঁসে অল্পদিনে কয়েকশ কোটি টাকা আয় রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম সংবিধানবিরোধী নয়: হাইকোর্ট - dainik shiksha রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম সংবিধানবিরোধী নয়: হাইকোর্ট কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0081651210784912