নীলফামারী জেলার ডোমারে একটি নির্মাণাধীন স্কুলঘর রাতের আধারে চুরি করে নিয়ে গেছে দৃর্বত্তরা। সেইসাথে স্কুলের শ্রেণিকক্ষে ঢুকে নতুন বই, স্কুলের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও ফরম বিক্রির গচ্ছিত টাকা ড্রয়ার ভেঙ্গে নিয়ে গেছে সেইসব দৃর্বত্তরা। শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) ভোর রাতে উপজেলার পাঙ্গা মটুকপুর ইউনিয়নের মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি বিজরিত মটুকপুর সপ্তর্ষী নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে এই ঘটনা ঘটে।
স্কুলের নৈশ প্রহরী রশিদুল ইসলাম দাবি করেন, ‘রাতে স্কুল পাহাড়া দেয়ার সময় স্থানীয় মনতাউ,হামিদুর,শামীম ও বাবলু স্কুলে প্রবেশ করে জানতে চায় স্কুলে রাতে কে কে থাকে। আমি একাই থাকি স্কুলে বলার পর তারা স্কুল থেকে চলে যায়। এর একঘন্টা পর স্কুলে জোরে জোরে শব্দ শুনতে পাই। আমি টর্চ লাইট নিয়ে স্কুলের পাশে নির্মানাধীন স্কুল ঘরের কাছে গিয়ে দেখতে পাই প্রায় ত্রিশ থেকে চল্লিশ জনের একটি দল স্কুলঘরটি ভেঙ্গে নিয়ে যাচ্ছে। সেই সাথে স্কুলের সাইনবোর্ডটি উপড়ে ফেলে তারা। আমাকে দেখতে পেয়ে মনতাউ ,শুভ,হামিদুর ও শামীম আমাকে এখান থেকে চলে যেতে বলে তানাহলে আমাকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। আমি ভয়ে সেখান থেকে পালিয়ে দাতা সদস্য দুলাল হোসেনকে ঘুম থেকে জেগে তুলে ঘটনা জানাই।দুলাল হোসেন স্থানীয় পাহাড়াদার নবিজুল ও হালিমকে সাথে নিয়ে ঘটনাস্থলে আসেন। নদীর ধারে বিদ্যালয়টি টিন.বেড়া পরে থাকতে দেখা যায়।’
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অভয় চন্দ্র রায় দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানায়, স্কুলটি বর্তমানে মটুকপুর বারোগোলা দূর্গা ও কালী মন্দিরের জায়গায় ভাড়া নিয়ে চলছে। স্কুলটি নিজস্ব জায়গায় তাদের স্কুলঘড় নির্মাণ করছে। এরেই জের ধরে স্থানীয় কিছু দুবৃত্তরা রাতের আধারে স্কুলের নির্মাণাধীন ঘড়টি উপরে ফেলে চুরি করে নিয়ে যায়। এই ঘটনার বিচার দাবি করেছেন।
ডোমার থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) বিশ্বদেব রায় দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, ঘটনার বিষয়ে শুনেছি। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।