টাঙ্গাইলের সখীপুরে বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি ও প্রধান শিক্ষকের দ্বন্দ্বে দুই মাস ১১ দিন ধরে সুরিরচালা আবদুল হামিদ চৌধুরী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কফিল উদ্দিনের কক্ষে তালা ঝুলছে। এতে ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা চরম বিপাকে পড়েছেন। দীর্ঘদিনেও দুই পক্ষের দ্বন্দ্ব মীমাংসা না হওয়ায় চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে শিক্ষা কার্যক্রম। শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা অপেক্ষা করছেন—কবে খুলবে এ দ্বন্দ্বের তালা!
মঙ্গলবার সরেজমিনে ওই বিদ্যালয়ে গিয়ে জানা যায়, গত ৩ নভেম্বর বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সভায় প্রধান শিক্ষক কফিল উদ্দিনকে অর্থ কেলেঙ্কারিসহ নানা অনিয়মের অভিযোগে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়। আর সহকারী শিক্ষক নূরুল ইসলামকে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব দেয়া হয়। অন্যদিকে ১৯ নভেম্বর প্রধান শিক্ষক কফিল উদ্দিন পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি ও ১০ সদস্যকে বিবাদী করে টাঙ্গাইল সহকারী জজ আদালতে মামলা করেন। এদিকে ৩০ ডিসেম্বর পরিচালনা পর্ষদ কফিল উদ্দিনকে চূড়ান্তভাবে বরখাস্ত করে। ৫ জানুয়ারি ওই চূড়ান্ত বরখাস্ত এবং পরিচালনা পর্ষদের ওপর অন্তর্বর্তীকালীন নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করলে আদালত তা মঞ্জুর করেন। এ ছাড়া সাময়িক বরখাস্তের বিষয়টি মীমাংসা না হওয়া পর্যন্ত প্রধান শিক্ষককে তাঁর দায়িত্ব পালনে বাধা দেয়া এবং চূড়ান্তভাবে বরখাস্ত করা থেকে পরিচালনা পর্ষদকে বিরত থাকতে বলা হয়। গত সোমবার আদালতের এ আদেশ পরিচালনা পর্ষদের কাছে পৌঁছে।
পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি তারিকুল ইসলাম বিদ্যুৎ বলেন, ‘আদালতের আদেশ হাতে পাওয়ার আগেই কফিল উদ্দিনকে চূড়ান্ত বরখাস্ত করা হয়েছে। এ ছাড়া আদেশের ব্যাপারে আপিল করা হবে।’ প্রধান শিক্ষক কফিল উদ্দিন বলেন, ‘আদালতের নির্দেশনা পেয়েও আমাকে দায়িত্ব পালনে বাধা দেয়া হচ্ছে। বিষয়টি আদালতকে অবহিত করা হবে।’
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মফিজুল ইসলাম বলেন, ‘আদালত কী নির্দেশনা দিয়েছেন—সে বিষয়ে অবগত নই।’