রায়পুরে অবাধে চলছে নোট ও গাইড বই বিক্রি! - দৈনিকশিক্ষা

রায়পুরে অবাধে চলছে নোট ও গাইড বই বিক্রি!

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি |

নোট ও গাইড বিক্রি সরকারিভাবে নিষিদ্ধ হলেও রায়পুর উপজেলায় অবাধে চলছে এসব বই বিক্রি। অভিযোগ রয়েছে—একশ্রেণির অসাধু শিক্ষক পুস্তক প্রকাশকদের কাছ থেকে গোপন চুক্তি অনুযায়ী মোটা অঙ্কের কমিশনের বিনিময়ে এ সব বই কিনতে শিক্ষার্থীদের উত্সাহিত ও বাধ্য করছেন। তৃতীয় শ্রেণি থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত প্রতিটি স্কুল ও মাদ্রাসায় শিক্ষার্থীরা ওই সব শিক্ষকের পছন্দ অনুযায়ী বই কিনতে বাধ্য হচ্ছে বলে জানা গেছে।

উপজেলা মাধ্যমিক ও প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির কয়েকজন নেতা বলছেন—নোট ও গাইড বই নিষিদ্ধ। তাই কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বা শিক্ষকের পক্ষ থেকে শিক্ষার্থীদের নোট ও গাইড কিনতে বলার কথা নয়।’

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা কামাল হোসেন বলেন, ‘নোট ও গাইড বই বিক্রির সঙ্গে কোনো শিক্ষক জড়িত কি না, সে ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে না। অভিযোগ পাওয়া গেলে সংশ্লিষ্ট শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কোনো শিক্ষককে শিক্ষা নিয়ে বাণিজ্য করতে দেওয়া হবে না।’

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কার্যালয় সূত্র জানা গেছে— কোনো বিদ্যালয় অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত বোর্ডের বাইরের কোনো বই পাঠ্য করতে পারবে না। পাশাপাশি কোনো বিক্রেতা ও প্রকাশক নোট ও গাইড বই বিক্রি ও প্রকাশ করতে পারবে না।’

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে—উপজেলায় ৫১টি মাধ্যমিক স্কুল ও মাদ্রাসা এবং কিন্ডারগার্টেনসহ ১২১টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। বেশির ভাগ প্রতিষ্ঠানেই অবাধে চলছে এ ধরনের বাণিজ্য। একেকটি প্রতিষ্ঠানে শ্রেণি অনুযায়ী শিক্ষকরা নিষিদ্ধ গাইড ও ব্যাকরণ বই যাচাই-বাছাই না করে শিক্ষার্থীদের কিনতে নির্দেশনা দিচ্ছে। শিক্ষার্থীরা ভালোমন্দ না বুঝে শিক্ষকদের নির্দেশে কিনছে এসব বই।

রায়পুর পৌর এলাকার তিন-চারজন পুস্তক ব্যবসায়ীর সঙ্গে কথা বলে শিক্ষকদের সঙ্গে বেশকিছু প্রকাশনা সংস্থার কমিশন-বাণিজ্য সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া গেছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে তারা বলেন, ‘উপজেলায় সাত থেকে আটটি প্রকাশনা সংস্থা নোট ও গাইড বই সরবরাহ করে থাকে। এসব সংস্থার বেশির ভাগই আলাদাভাবে বিভিন্ন বিদ্যালয়ের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ।’

ওইসব পুস্তক ব্যবসায়ীরা আরো বলেন, ‘আগে নোট-গাইড বিক্রি করে ব্যবসায়ীদের ভালো লাভ হতো। অভিভাবক-শিক্ষার্থীরাও বেশ কম দামে বই কেনার সুযোগ পেত। অথচ এখন কিছু অসাধু শিক্ষকের ওইসব প্রকাশনা সংস্থার মোটা অঙ্কের কমিশনে চুক্তি হওয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা।’

নাম প্রকাশ না করার শর্তে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বেশ কিছু শিক্ষার্থী বলে, ‘স্কুল থেকে স্যারেরা ইংরেজি ও বাংলা ব্যাকরণে গাইড বই কিনতে বলেছেন। না কিনলে ক্লাসে বেত্রাঘাতের শিকার হতে হয়। তাই গাইড কিনতে বাধ্য হচ্ছি।’

নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক প্রধান শিক্ষক বলেন, ‘অভিযোগ অস্বীকার করার কোনো উপায় নেই। অনেকেই অস্বীকার করে সাধু পুরুষ সাজেন।’

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শিল্পী রানী রায় বলেন, ‘মাসিক সমন্বয় সভায় নোট ও গাইড বইয়ের ব্যপারে শিক্ষকদের সতর্ক করা হবে।’

স্কুল-কলেজ খুলছে রোববার, ক্লাস চলবে শনিবারও - dainik shiksha স্কুল-কলেজ খুলছে রোববার, ক্লাস চলবে শনিবারও নারীদের আইসিটিতে দক্ষ হতে হবে: শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী - dainik shiksha নারীদের আইসিটিতে দক্ষ হতে হবে: শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ডিগ্রি তৃতীয় শিক্ষকদের এমপিওভুক্তির সভা ৩০ এপ্রিল - dainik shiksha ডিগ্রি তৃতীয় শিক্ষকদের এমপিওভুক্তির সভা ৩০ এপ্রিল সনদের কাগজ কীভাবে পায় কারবারিরা, তদন্তে নেমেছে ডিবি - dainik shiksha সনদের কাগজ কীভাবে পায় কারবারিরা, তদন্তে নেমেছে ডিবি কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে বুয়েটে সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়লো হিজবুত তাহরীরের লিফলেট বিতরণ - dainik shiksha বুয়েটে সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়লো হিজবুত তাহরীরের লিফলেট বিতরণ সাংবাদিকদের ঘুষ বিষয়ক ভাইরাল ভিডিও, ইরাব কোনো বিবৃতি দেয়নি - dainik shiksha সাংবাদিকদের ঘুষ বিষয়ক ভাইরাল ভিডিও, ইরাব কোনো বিবৃতি দেয়নি ফাঁসপ্রশ্নে প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ, নজরদারিতে যারা - dainik shiksha ফাঁসপ্রশ্নে প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ, নজরদারিতে যারা এইচএসসির ফল জালিয়াতির অডিয়ো ফাঁস - dainik shiksha এইচএসসির ফল জালিয়াতির অডিয়ো ফাঁস please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0077769756317139