শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীদের আত্তীকরণের দাবি - Dainikshiksha

শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীদের আত্তীকরণের দাবি

নিজস্ব প্রতিবেদক |

জাতীয়কৃত ৪২ কলেজে বৈধভাবে নিয়োগপ্রাপ্ত এমপিও, নন-এমপিও তিন শতাধিক শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীকে আত্তীকরণের দাবি  জানানো হয়েছে। ২০০১ খ্রিস্টাব্দে ১৮টি মহিলা কলেজে যেভাবে ২০০০ বিধি সংশোধনপূর্বক শতাধিক শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীকে আত্তীকরণ করা হয়েছে, ৪২ কলেজের ক্ষেত্রেও ঠিক একইভাবে আত্তীকরণের দাবি করেন তারা।

সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে সংবাদ সম্মেলন করে এ দাবি তোলে ‘আত্তীকরণ বঞ্চিত শিক্ষক ও শিক্ষা-কর্মী জাতীয় ঐক্য’। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংগঠনের সদস্য সচিব হারুন সিদ্দিকী সাপলু।

তিনি বলেন, আত্তীকরণ বিধিমালা-১৯৮১ ও ১৯৯৮ এর বিধিমতে আমরা যোগ্যতা যাচাইপূর্বক নিয়োগপ্রাপ্ত হয়েছি। বর্তমান বিধিটি শিক্ষকদের বৈষম্য করা ও হয়রানি করার জ্বলন্ত দৃষ্টান্ত। বিধির ২(গ) উপধারাটি শিক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংস করার সুক্ষ্ম পরিকল্পনা। যেখানে চাকরিকালে ৫০ শতাংশ ধরে আত্তীকৃত হওয়ার বিধান রয়েছে। বহু অভিজ্ঞতাসম্পন্ন অধ্যক্ষ, উপাধ্যক্ষ, সহকারী অধ্যাপকদের পিএসসির নিয়োগকৃত সর্বশেষ ব্যাচের জুনিয়র ক্যাডার কর্মকর্তার নিচে অনুশাসন জারি শিক্ষকদের মর্যাদা ও মানবিক অধিকার বিনষ্ট করা ছাড়া কিছুই নয়।

‘আরও মর্মান্তিক সিদ্ধান্ত হলো এই কালো আইন প্রয়োগ করে বহু অভিজ্ঞ প্রভাষকদের, যারা ২০-২৫-২৮ বছর ধরে পাঠদান করে যাচ্ছেন, যাদের অনেকেরই চাকরি শেষের পথে, সেই অভিজ্ঞ শিক্ষকদের পাসকোর্সের শিক্ষক কিংবা অনার্সে তৃতীয় শ্রেণি থাকার অজুহাতে আত্তীকরণ থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। চাকরির শেষ জীবনে এসে মানোন্নয়নের নামে সনদ অর্জন করে যোগ্যতার প্রমাণ দেওয়া আমাদের জন্য অপমানের। ২০-২৫ বছর আগে উপজেলাগুলোতে বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ ছিল না, তখনকার বিধি অনুযায়ী চাকরিকালীন যোগ্যতাই ছিল মূল।’ হারুন সিদ্দিকী ২০০৯ সাল থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত জাতীয়করণকৃত ৪২ কলেজের তিন শতাধিক শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীর যোগ্যতা প্রমাণের নামে হয়রানি অবসানের দাবি জানান।

শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীদের এ দাবির সঙ্গে সংহতি জানিয়ে সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন কলাম লেখক সৈয়দ আবুল মকসুদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও মানবাধিকার সংগঠক ড. মেসবাহ কামাল, ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক

শিক্ষায় বরাদ্দ বেড়েছে, আরো বাড়বে: শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী - dainik shiksha শিক্ষায় বরাদ্দ বেড়েছে, আরো বাড়বে: শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সমাবর্তনের অজুহাতে সনদ আটকে রাখা যাবে না - dainik shiksha সমাবর্তনের অজুহাতে সনদ আটকে রাখা যাবে না হিটস্ট্রোকে স্কুলছাত্রীর মৃত্যু - dainik shiksha হিটস্ট্রোকে স্কুলছাত্রীর মৃত্যু চুয়েটে আন্দোলন স্থগিত, সড়কে যান চলাচল শুরু - dainik shiksha চুয়েটে আন্দোলন স্থগিত, সড়কে যান চলাচল শুরু প্রাথমিকের প্রশ্ন ফাঁসে অল্পদিনে কয়েকশ কোটি টাকা আয় - dainik shiksha প্রাথমিকের প্রশ্ন ফাঁসে অল্পদিনে কয়েকশ কোটি টাকা আয় রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম সংবিধানবিরোধী নয়: হাইকোর্ট - dainik shiksha রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম সংবিধানবিরোধী নয়: হাইকোর্ট কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0062720775604248