শিক্ষামন্ত্রীর সেই এপিএস এবার রাজশাহীতে - দৈনিকশিক্ষা

শিক্ষামন্ত্রীর সেই এপিএস এবার রাজশাহীতে

নিজস্ব প্রতিবেদক |

শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদের আলোচিত সেই সাবেক এপিএসকে এবার রাজশাহী সরকারি কলেজে বদলি করা হয়েছে। প্রজাতন্ত্রের কর্মচারি হয়েও তিনি শিক্ষা প্রশাসনের দণ্ডমুন্ডের কর্তা হয়েছিলেন। আজ বৃহস্পতিবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জারি করা এক আদেশে সাবেক সেই এপিএসএর বদলির খবর জানা গেছে। মাসুদা গংদের সঙ্গে মিলেমিশে ঢাকা শিক্ষাবোর্ডের মান-সম্মান ভূলুন্ঠিত করার অভিযোগ তার বিরুদ্ধে।

একাধিক তদন্ত সংস্থার প্রতিবেদন মতে,  ঢাকা শিক্ষাবোর্ড তথা গোটা শিক্ষা প্রশাসনে দুর্নীতিকে প্রতিষ্ঠানিক রুপ দেয়ার অন্যতম প্রধান নায়ক এই সাবেক এপিএস। ২০১৫ খ্রিস্টাব্দে সরকারের উচ্চ পর্যায় থেকে নির্দেশনা ছিলো এপিএসকে ওএসডি করে বিভাগীয় মামলা দায়ের করার। কিন্তু মন্ত্রীর এপিএস পদ থেকে ঢাকা শিক্ষাবোর্ডের উপ-কলেজ পরিদর্শক পদে বদলি করা হয় তাকে। শিক্ষা বোর্ডে বসেই সরকারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধরণের উসকানিদাতা জামাত-বিএনপিপন্থী শিক্ষা ক্যাডার কর্মকর্তাদের পৃষ্ঠপোাষকতা,  বদলি বাণিজ্য, ক্যামরিয়ানসহ কয়েকটি বিতর্কিত প্রতিষ্ঠানকে পছন্দমতো পাবলিক পরীক্ষার কেন্দ্র দেয়া, কোটি কোটি টাকার অহেতুক কেনাকাটাসহ বিভিন্ন অভিযোগ তার বিরুদ্ধে। সরকারের কয়েকটি তদন্ত সংস্থার প্রতিবেদনে শিক্ষামন্ত্রীর সাবেক এপিএস সম্পর্কে  এমন মন্তব্য ও মূল্যায়ন করা হয়েছে। দুর্নীতিতে তার সহযোগী বোর্ডের সচিব শাহেদুল খবির ও মাসুদা বেগম।

২০০৯ খ্রিস্টাব্দের ৬ জানুয়ারি প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পান নুরুল ইসলাম নাহিদ। ২০০৯ খ্রিস্টাব্দে সেপ্টেম্বর মাসে গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব নাহিদের হাত থেকে কেড়ে নিয়ে চট্টগ্রামের সাংসদ ডা: মো: আফছারুল আমীনকে দেয়া হয়।

মন্ত্রী হয়েই বি সি এস সাধারণ  শিক্ষা ক্যাডারের সংস্কৃত বিষয়ের প্রভাষক মন্মথকে এপিএস নিয়োগ দেন মন্ত্রী। তার আগে অন্তত ২০ বছর নাহিদের বাসায় যাতায়াত ছিলো মন্মথের। এপিএস নিয়োগ পেয়ে গোটা শিক্ষা প্রশাসনে টাকার বিনিময়ে পদায়ন বাণিজ্য শুরু করেন মন্মথ, যা কমবেশি অদ্যাবধি অব্যাহত রয়েছে।বেছে বেছে জামাত-শিবিরপন্থীদের শিক্ষা প্রশাসনের বড় বড় পদে বসানোয় নেপথ্য ভূমিকা পালন করার অভিযোগ তার বিরুদ্ধে।  মোল্লা জালাল নামের একজন কর্মকর্তার মাধ্যমে বর্তমানে বদলি বাণিজ্য করছেন মন্মথ। জালালকে মন্ত্রীর পিএস বানানো হয় মন্মথের পরামর্শেই। এমন কথা শিক্ষা প্রশাসনে সবার মুখে মুখে।

১৯৯৫ খ্রিস্টাব্দে শিক্ষা ক্যাডারের প্রভাষক হিসেবে সরকারি চাকরিতে যোগ দেন মন্মথ। এরপর দুর্নীতির দূর্গ-খ্যাত ডিআইএতে চাকরি করেন কয়েকবছর। ২০০৯ খ্রিস্টাব্দের জানুয়ারি মাসে মন্ত্রীর এপিএস হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার পর অবৈধভাবে দুটি পদোন্নতি নিয়ে নেয়ার অভিযোগ তার বিরুদ্ধে।

অভিযোগের বিষয়ে মতামত জানতে চেয়েও পাওয়া যায়নি মন্মথকে।

 

শিক্ষায় বরাদ্দ বেড়েছে, আরো বাড়বে: শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী - dainik shiksha শিক্ষায় বরাদ্দ বেড়েছে, আরো বাড়বে: শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সমাবর্তনের অজুহাতে সনদ আটকে রাখা যাবে না - dainik shiksha সমাবর্তনের অজুহাতে সনদ আটকে রাখা যাবে না হিটস্ট্রোকে স্কুলছাত্রীর মৃত্যু - dainik shiksha হিটস্ট্রোকে স্কুলছাত্রীর মৃত্যু চুয়েটে আন্দোলন স্থগিত, সড়কে যান চলাচল শুরু - dainik shiksha চুয়েটে আন্দোলন স্থগিত, সড়কে যান চলাচল শুরু প্রাথমিকের প্রশ্ন ফাঁসে অল্পদিনে কয়েকশ কোটি টাকা আয় - dainik shiksha প্রাথমিকের প্রশ্ন ফাঁসে অল্পদিনে কয়েকশ কোটি টাকা আয় রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম সংবিধানবিরোধী নয়: হাইকোর্ট - dainik shiksha রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম সংবিধানবিরোধী নয়: হাইকোর্ট কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0065999031066895