এক কলেজেই জাল সনদধারী আট শিক্ষকের চাকরি! - দৈনিকশিক্ষা

এক কলেজেই জাল সনদধারী আট শিক্ষকের চাকরি!

নিজস্ব প্রতিবেদক |

একটি কলেজেই চাকরি করছেন জাল সনদধারী আটজন শিক্ষক। জাল সনদধারী শিক্ষকের এই রেকর্ড করেছে রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার সরকারি শাহ আব্দুর রউফ কলেজ। কলেজটির বেসরকারি আমলে জালিয়াতি করে নিয়োগ পাওয়া এ আট প্রভাষক সরকারিকরণের প্রক্রিয়ায় ধরা পড়েছেন। তাদের শিক্ষক নিবন্ধন সনদ জাল প্রমাণিত হয়েছে জানিয়ে যাচাই প্রতিবেদন দিয়েছে এনটিআরসিএ। একই সাথে জাল সনদধারী এ আট শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা করতে কলেজ কর্তৃপক্ষকে বলা হয়েছে।

সরকারি শাহ আব্দুর রউফ কলেজে কর্মরত জাল সনদধারী এ আট শিক্ষক হলেন, সমাজবিজ্ঞানের প্রভাষক সুরাইয়া বেগম, ব্যবস্থাপনার প্রভাষক মো. জিল্লুর রহমান, প্রভাষক হুরুন্নাহার খাতুন, রাষ্ট্রবিজ্ঞানের প্রভাষক হাসিনা আকতার, একই বিষয়ে প্রভাষক শহীদ বদরুদ্দোজা, ইতিহাসের প্রভাষক ফারহানা খাতুন, আয়েশা প্রধান দিপ্তি ও কেয়া শারমিন। জাল সনদধারী এ আট শিক্ষক কলেজের বেসরকারি আমলে নিয়োগ পেয়েছিলেন।

জানা গেছে, ২০১৬ খ্রিষ্টাব্দের আগস্ট জুলাই মাসে সরকারি হওয়া ১৯৯টি কলেজের সাথে সরকারি হয় রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার শাহ আব্দুর রউফ কলেজ। সম্প্রতি এ আট শিক্ষকের আত্তীকরণের কাজ চলছিল। এরই অংশ হিসেবে এসব শিক্ষকের নিবন্ধন সনদযাচাইয়ের জন্য এনটিআরসিএতে পাঠানো হয়। সনদগুলো যাচাই করে আটজন শিক্ষকের সনদই জাল বলে প্রমাণ পেয়েছে এনটিআরসিএ।

সহকারী পরিচালক ফিরোজ আহমেদ স্বাক্ষরিত প্রতিবেদনে বলা হয়, সমাজবিজ্ঞানের প্রভাষক সুরাইয়া বেগমের শিক্ষক নিবন্ধন সনদটি সঠিক নয়। সনদটির প্রকৃত মালিক রুজিনা আক্তার নামের এক প্রার্থী। 

ব্যবস্থাপনার প্রভাষক মো. জিল্লুর রহমানের সনদটি সঠিক নয়। এমনকি তিনি যেই রোল নম্বর ব্যবহার করে জাল সনদটি তৈরি করেছেন তা প্রভাষক পদের নয়, একটি কারিগরি বিষয়ের সহকারী শিক্ষক পদের। ৮ম নিবন্ধন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ বলে জাল সনদটি তৈরি করা হলেও ফলাফলের তালিকায় কোন রেকর্ড নেই।

প্রভাষক হুরুন্নাহার খাতুনের সনদটি সঠিক নয়। ১০ম নিবন্ধন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ বলে জাল সনদটি তৈরি করা হলেও ফলাফলের তালিকায় কোন অস্তিত্ব নেই। এমনকি যে রোল নাম্বার ব্যবহার করে জাল সনদটি তৈরি করা হয়েছে তা প্রভাষক পদের নয়।

প্রতিবেদনে আরও জানানো হয়, রাষ্ট্রবিজ্ঞানের প্রভাষক হাসিনা আকতারের সনদপত্র জাল। এর প্রকৃত মালিক জাহাঙ্গীর আলম নামের এক প্রার্থী। একই বিষয়ের প্রভাষক শহীদ বদরুদ্দোজার সনদটি সঠিক নয়। ৩য় শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ দাবি করে সনদটি জাল করা হলেও ফলাফলে কোনো অস্তিত্বই নেই।

এদিকে কলেজের ইতিহাস বিষয়ের তিন প্রভাষক ফারহানা খাতুন, আয়েশা প্রধান দিপ্তি ও কেয়া শারমিনের সনদগুলোও জাল বলে প্রমাণিত হয়েছে। ৯ম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ দাবি করে সনদগুলো জাল করা হলেও ফলাফলে কোনো অস্তিত্ব পায়নি এনটিআরসিএ। 

গত ২৪ সেপ্টেম্বর সনদগুলো জাল প্রমাণিত হয়েছে জানিয়ে যাচাই প্রতিবেদন কলেজ কতৃপক্ষকে পাঠিয়েছে এনটিআরসিএ। একই সাথে জাল সনদধারী এ আট শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে কলেজ কর্তৃপক্ষকে। যাচাই প্রতিবেদনের একটি কপি পীরগঞ্জ থানার ওসিকেও পাঠানো হয়েছে। 
 

শিক্ষার সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক শিক্ষার ইউটিউব চ্যানেলের সাথেই থাকুন। ভিডিওগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে সয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।
দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।

শিক্ষায় বরাদ্দ বেড়েছে, আরো বাড়বে: শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী - dainik shiksha শিক্ষায় বরাদ্দ বেড়েছে, আরো বাড়বে: শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সমাবর্তনের অজুহাতে সনদ আটকে রাখা যাবে না - dainik shiksha সমাবর্তনের অজুহাতে সনদ আটকে রাখা যাবে না হিটস্ট্রোকে স্কুলছাত্রীর মৃত্যু - dainik shiksha হিটস্ট্রোকে স্কুলছাত্রীর মৃত্যু চুয়েটে আন্দোলন স্থগিত, সড়কে যান চলাচল শুরু - dainik shiksha চুয়েটে আন্দোলন স্থগিত, সড়কে যান চলাচল শুরু প্রাথমিকের প্রশ্ন ফাঁসে অল্পদিনে কয়েকশ কোটি টাকা আয় - dainik shiksha প্রাথমিকের প্রশ্ন ফাঁসে অল্পদিনে কয়েকশ কোটি টাকা আয় রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম সংবিধানবিরোধী নয়: হাইকোর্ট - dainik shiksha রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম সংবিধানবিরোধী নয়: হাইকোর্ট কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0071818828582764