কওমি মাদরাসার পর এবার বিশেষ বিবেচনায় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য প্রাকটিক্যাল ক্লাস ও পরীক্ষার সুযোগ দিয়েছে সরকার। বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনকে (ইউজিসি) ম্যানেজ করে পরীক্ষা নেয়ার অনুমতি বাগিয়ে নিয়েছে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় মালিকরা। যেসব শিক্ষার্থী অনার্স ও মাস্টার্সের ফাইনাল সেমিস্টারে রয়েছেন শুধু তারাই এ সুযোগ পাবেন। কঠোর স্বাস্থ্যবিধি মেনে এটি কার্যকর করা হবে। এক্ষেত্রে ক্লাস ও পরীক্ষার সময় দুজন শিক্ষার্থীর মাঝে অন্তত ছয় ফুট দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। তবে, কমিশনের দেয়া এসব শর্ত মানা হয়েছে কি-না তা দেখার নিশ্চয়তা নেই।
মঙ্গলবার (২৭ অক্টোবর) ইউজিসির ভার্চুয়াল সভায় পরীক্ষার অনুমতি দেয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়।
সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সর্বোচ্চ ১০ জন শিক্ষার্থী ল্যাব ক্লাস ও পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবেন। একদিনে শুধু একটি ক্লাস নেয়া যাবে।
বৈঠকে অংশগ্রহণকারী এক সদস্য জানান, বিশ্ববিদ্যালয় খোলা হচ্ছে না। শুধু এসব শিক্ষার্থীর কথা বিবেচনায় রেখে আমাদের এমন সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, যে সব শিক্ষার্থী তাদের ফাইনাল সেমিস্টারে রয়েছেন তারা ব্যক্তিগতভাবে প্রাকটিক্যাল ক্লাস ও পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ পাবেন। বেশ কয়েকটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছুটি নভেম্বর পর্যন্ত বাড়ানোর সম্ভাবনা রয়েছে।
করোনার শুরু থেকেই বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের কতিপয় মালিক নানা কৌশলে তাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি, ক্লাস শুরু ইত্যাদি বিষয় বাগিয়ে নিয়েছেন। এতে টাকাওয়ালা মালিকরা কতিপয় প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মাধ্যমের কতিপয় চিহ্নিত সাংবাদিককে ব্যবহার করেছেন।