বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা ও শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগের নির্দেশনা দেয়া হলেও হল ত্যাগ করেনি শিক্ষার্থীরা। আন্দোলনের চতুর্থ দিনে শুক্রবার (২৯ মার্চ) বিকালে শহীদ মিনারে অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হয়। সন্ধ্যায় উপাচার্য ড. এসএম ইমামুল হককে অপসারণের দাবিতে মশাল মিছিল করা হয়েছে ক্যাম্পাসে।
আন্দোলনরত ছাত্র লোকমান হোসেন জানান, স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ে নানা আয়োজন করা হলেও শিক্ষার্থীদের এই সম্পর্কে কোনো কিছু জানানো হয়নি। এরই পরিপ্রেক্ষিতে আন্দোলনের সূচনা হয়। তবে পরে উপাচার্য সব শিক্ষার্থীকে রাজাকারের বাচ্চা বলে গালি দেয়ায় এই আন্দোলন আরও বেগবান হয়।
তিনি বলেন, আমাদের আন্দোলনে ভয় পেয়ে উপাচার্য বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেন। পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগের নির্দেশনাও দেয়া হয়। কিন্তু আমাদের ১১ দফা দাবি ও উপাচার্যকে অপসারণ না করা পর্যন্ত হলে অবস্থান নিয়ে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। যতদিন পর্যন্ত আমাদের দাবি মেনে নেয়া না হবে ততদিন আন্দোলন চলবে বলে জানান আন্দোলনরত এই ছাত্র।
এদিকে বৃহস্পতিবার বিকাল ৫টার মধ্যে হল ত্যাগের নির্দেশের পর বিশ্ববিদ্যালয়ের শেখ হাসিনা হল থেকে কিছু ছাত্র হল ত্যাগ করলেও বেশিরভাগ ছাত্রী এখনো হলে অবস্থান করছেন।
উল্লেখ্য, ২৬ মার্চ থেকে টানা চারদিন ভিসি বিরোধী এই আন্দোলন চলমান রয়েছে।