সদ্য সরকারিকৃত ২৯৬ কলেজে সমন্বিত পদ সৃজনের সিদ্ধান্ত - দৈনিকশিক্ষা

সদ্য সরকারিকৃত ২৯৬ কলেজে সমন্বিত পদ সৃজনের সিদ্ধান্ত

নিজস্ব প্রতিবেদক |

সদ্য সরকারিকৃত ২৯৬টি কলেজের শিক্ষক-কর্মচারীদের জন্য কেন্দ্রীয়ভাবে সমন্বিত পদ সৃজন ও এডহক নিয়োগদানের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। দ্রুততম সময়ের মধ্যে সরকারি সুযোগ-সুবিধা দিতে নতুন পদ্ধতিতে সংশ্লিষ্ট কলেজের প্যাটার্ন অনুযায়ী আত্তীকরণ বিধি ২০১৮ এর আওতায় নতুন সরকারিকৃত কলেজগুলোতে পদক্ষেপ নেয়া হবে। ২০০০ বিধি অনুযায়ী পদ সৃজন, এডহক নিয়োগ ও চাকরি নিয়মিতকরণে প্রতিটি কলেজের জন্য আলাদাভাবে নিয়োগ দেয়া হতো। 

রোববার (১৪ অক্টোবর) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো: সোহরাব হোসইনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আন্তঃমন্ত্রণালয়ের সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। পরবর্তীতে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। প্রথমে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর থেকে পদ সৃজনের প্রস্তাব পাঠানো হবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে। শিক্ষা থেকে জনপ্রশাসন ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের জন্য পাঠানো হবে। সভায় উপস্থিত একাধিক কর্মকর্তা দৈনিক শিক্ষাকে এ খবর নিশ্চিত করেছে। 

বৈঠকে উপস্থিত একজন কর্মকর্তা দৈনিক শিক্ষাকে বলেন, ধরুন নতুন সরকারিকৃত ২৯৮ কলেজে রাষ্ট্রবিজ্ঞানের প্রভাষকের পদ দরকার হবে ছয়শত। এই ছয়শত পদ একসঙ্গে সৃজন হবে। এক আদেশে। একইভাবে সহকারি অধ্যাপকেরও পদ সৃষ্টি হবে সমন্বিতভাবে। 

নতুন  এ পদ্ধতিকে স্বাগত জানিয়েছেন সদ্য সরকারিকৃত কলেজের একাধিক শিক্ষক। তাদের মতে একসঙ্গে সবগুলো কলেজের পদ সৃজন ও এডহক নিয়োগ হলে সব বাচঁবে। নানা জটিলতায় সময়ক্ষেপন হয়েৃ সরকারিকরণের সুবিধা ছাড়াই শিক্ষকদের অবসরে যেতে হবে না। 

মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (কলেজ) ড. মোল্লা জালাল উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, ‘সদ্য সরকারিকৃত কলেজগুলোতে এখন শিক্ষকের পদ সৃজন করতে হবে। কিন্তু পুরনো নিয়মে এতগুলো কলেজের শিক্ষক-কর্মচারীর চাকরি আত্তীকরণ করতে হলে দীর্ঘ সময় লেগে যাবে। এ কারণে আমরা নতুন একটি প্রস্তাব নিয়ে কাজ শুরু করেছি। কীভাবে দ্রুত সময়ের মধ্যে তাদের চাকরি নিয়মিতকরণ করা যায়- সে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আরও কয়েকটি মিটিং করে চূড়ান্ত সিন্ধান্ত নেয়া হবে।’ 

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, আগে সরকারি করা কলেজের পদ সৃষ্টির প্রস্তাব শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে আলাদা আলাদাভাবে জনপ্রশাসন, অর্থ বিভাগের ব্যয় ব্যবস্থাপনা, বাস্তবায়ন এবং প্রশাসনিক উন্নয়ন সংক্রান্ত সচিব কমিটির সভায় পাঠানো হয়। চারটি দফতরে একটি কলেজের পদ সৃজনের প্রক্রিয়া শেষ করতে প্রায় সাত থেকে আট মাস সময় লেগে যায়। যে কারণে প্রস্তাবিত নতুন পদ্ধতিতে পদ সৃজনের উদ্যোগ নিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও মাউশির কর্মকর্তাদের মতে, সম্প্রতি সরকারিকৃত ২৯৮ কলেজের পদ সৃজনের ক্ষেত্রে আগের প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হলে সবগুলো কলেজের পদসৃষ্টি করতে চার থেকে পাঁচ বছর সময় লেগে যাবে।

সভা সূত্রে জানা যায়, প্রস্তাবিত নতুন পদ্ধতিতে সরকারিকৃত স্ব স্ব কলেজের প্যাটার্ন অনুযায়ী সব কলেজের পদ সৃষ্টির প্রস্তাব একত্রে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে পাঠাতে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে প্রস্তাব উত্থাপন করা হবে। শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠানো হবে। জনপ্রশাসন হতে পদ সৃষ্টির অনুমোদনের পর অর্থ বিভাগের ব্যয় ব্যবস্থাপনা, বাস্তবায়ন অনুবিভাগ এবং প্রশাসনিক উন্নয়ন সংক্রান্ত সচিব কমিটির অনুমোদনের পর প্রশাসনিক মন্ত্রণালয় (শিক্ষা মন্ত্রণালয়) নীতিমালা অনুযায়ী তাদের যোগ্যতা থাকা সাপেক্ষে নিয়োগ প্রদান করবে। এক্ষেত্রে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে সৃষ্ট পদের সঙ্গে সরকারিকৃত কলেজে কর্মরত শিক্ষক-কর্মচারীদের কোনো সংশ্লিষ্টতা থাকবে না। পদগুলো প্রতিষ্ঠানের অনুক‚লে সৃষ্টি হবে। এ প্রক্রিয়ায় পদ সৃজনের প্রস্তাব একবারই জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, অর্থ বিভাগ এবং প্রশাসনিক উন্নয়ন সংক্রান্ত সচিব কমিটির সভায় পাঠানো হবে। ফলে কম সময়ে শিক্ষক-কর্মচারীদের চাকরি আত্তীকরণ প্রক্রিয়া শেষ করার যুক্তি তুলে ধরেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা। 

মহাপরিচালকের রুটিন দায়িত্বে থাকা পরিচালক (কলেজ ও প্রশাসন) প্রফেসর মোহাম্মদ শামছুল হুদা বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে দ্রুত সময়ের মধ্যে সরকারিকৃত কলেজ শিক্ষক-কর্মচারীদের পদ সৃষ্টির মাধ্যমে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে চাই। পাশাপাশি আমাদের শিক্ষকরাও যাতে খুব কম সময়ে হাসিমুখে তাদের পরিবারে যেতে পারে। এ কারণে সকল কলেজের পদ একত্রে সৃজনের প্রস্তাব করা হয়েছে।’

 

স্কুল-কলেজ খুলছে রোববার, ক্লাস চলবে শনিবারও - dainik shiksha স্কুল-কলেজ খুলছে রোববার, ক্লাস চলবে শনিবারও নারীদের আইসিটিতে দক্ষ হতে হবে: শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী - dainik shiksha নারীদের আইসিটিতে দক্ষ হতে হবে: শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ডিগ্রি তৃতীয় শিক্ষকদের এমপিওভুক্তির সভা ৩০ এপ্রিল - dainik shiksha ডিগ্রি তৃতীয় শিক্ষকদের এমপিওভুক্তির সভা ৩০ এপ্রিল সনদের কাগজ কীভাবে পায় কারবারিরা, তদন্তে নেমেছে ডিবি - dainik shiksha সনদের কাগজ কীভাবে পায় কারবারিরা, তদন্তে নেমেছে ডিবি কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে বুয়েটে সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়লো হিজবুত তাহরীরের লিফলেট বিতরণ - dainik shiksha বুয়েটে সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়লো হিজবুত তাহরীরের লিফলেট বিতরণ সাংবাদিকদের ঘুষ বিষয়ক ভাইরাল ভিডিও, ইরাব কোনো বিবৃতি দেয়নি - dainik shiksha সাংবাদিকদের ঘুষ বিষয়ক ভাইরাল ভিডিও, ইরাব কোনো বিবৃতি দেয়নি ফাঁসপ্রশ্নে প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ, নজরদারিতে যারা - dainik shiksha ফাঁসপ্রশ্নে প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ, নজরদারিতে যারা এইচএসসির ফল জালিয়াতির অডিয়ো ফাঁস - dainik shiksha এইচএসসির ফল জালিয়াতির অডিয়ো ফাঁস please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0077130794525146