নীলফামারীর ডোমার সরকারি কলেজের শিক্ষক সোলাইমান আলীকে মারধরের ঘটনায় নাজিমুল ইসলাম নামের এক ছাত্রকে আটক করেছে পুলিশ। শিক্ষক সোলাইমান আলী ডোমার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এ ঘটনায় রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) কলেজ প্রাঙ্গনে অভিযুক্ত ছাত্রদের শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন করেছে ওই কলেজের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।
লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, শনিবার দুপুরে কলেজের বিজ্ঞান ভবনের তৃতীয় তলার বারান্দায় একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী শফিকুল্লাহকে কলেজের কয়েকজন ছাত্র মারধর করছে। খবর পেয়ে ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের প্রভাষক সোলাইমান আলী ঘটনাস্থলে গিয়ে শিক্ষার্থী শফিকুল্লাহকে বাচাঁতে গেলে কলেজ ছাত্র শান্ত ইসলাম, সৈকত চৌধুরীরসহ ১৬ থেকে ১৭ জন ছাত্র শিক্ষক সোলাইমান আলীর উপর হামলা চালিয়ে গুরুতর আহত করে। পরে কলেজের শিক্ষকরা তাঁকে উদ্ধার করে ডোমার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
এ ঘটনায় ওইদিন রাতেই সোলাইমান আলী বাদী হয়ে অভিযুক্ত দুই ছাত্র শান্ত ইসলাম ও সৈকত চৌধুরীসহ অজ্ঞাত ১৭ জনের নামে ডোমার থানায় মামলা দায়ের করেন। পুলিশ রাতভর অভিযান চালিয়ে নাজিমুল ইসলাম নামের এক ছাত্রকে আটক করেছে। তবে, অভিযুক্ত দুই ছাত্র শান্ত ও সৈকতকে আটক করতে পারেনি পুলিশ। এ ঘটনার পরদিন রোববার দুপুরে কলেজ মাঠে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে শিক্ষক ও সাধারণ শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন করেছে।
এ ব্যাপারে কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ রবিউল করিম দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। এর আগেও ওই দুই ছাত্র সবুজ নামের বাংলা বিভাগের এক প্রভাষকের গায়ে হাত তুলেন। এ কারণে তিনি অন্যত্র বদলি হয়ে চলে যান।