সাময়িক সনদ দিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের চাকরির মেয়াদ বাড়ানো যাবে না - Dainikshiksha

সাময়িক সনদ দিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের চাকরির মেয়াদ বাড়ানো যাবে না

নিজস্ব প্রতিবেদক |

Govt-logoএখন থেকে সাময়িক সনদ বা মুচলেকা দিয়ে মুক্তিযোদ্ধা সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের চাকরির মেয়াদ এক বছর বাড়ানো যাবে না।

তবে একজন গণকর্মচারী প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা কি না, তা অনুসন্ধান করে দ্রুততার সঙ্গে চূড়ান্ত প্রত্যয়নপত্র দিতে হবে। এই দায়িত্ব ওই কর্মচারীর চাকরি নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের।

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় এই অনুশাসন জারি করেছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল রোববার থেকে মুক্তিযোদ্ধা কর্মকর্তাদের সাময়িক সনদ দেওয়া স্থগিত করেছে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়।

মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে মুক্তিযোদ্ধা কর্মকর্তা-কর্মচারীদের চাকরির বয়স বাড়ানোর একটি সারসংক্ষেপ পাঠানো হয় প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে। প্রধানমন্ত্রী তা অনুমোদন না করে সাময়িক সনদের বিষয়ে এই অনুশাসন দিয়ে তা ফেরত পাঠান। এরপর আবেদনকারী কর্মকর্তাদের চিঠি দিয়ে জানানো হয়, মুক্তিযোদ্ধা কর্মকর্তা-কর্মচারীদের চাকরির মেয়াদ এক বছর বাড়াতে ‘সাময়িক সনদ বা মুচলেকা গ্রহণযোগ্য নয়’।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে একজন অতিরিক্ত সচিব, একজন যুগ্ম সচিব ও একজন উপসচিবের চাকরির বয়স এক বছর বাড়াতে ‘মুক্তিযোদ্ধা কর্মকর্তা’ হিসেবে প্রত্যয়নের জন্য সব কাগজপত্র মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ে পাঠায়। মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় জানায়, এই কর্মকর্তাদের কাগজপত্র সঠিক আছে। মন্ত্রণালয় তাঁদের সাময়িক প্রত্যয়নপত্র দেয় এবং বলে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় মুচলেকা নিয়ে তাঁদের চাকরির মেয়াদ এক বছর বাড়াতে পারবে।

এরপর চাকরির মেয়াদ বাড়ানোর প্রস্তাব অনুমোদনের জন্য জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় তিন কর্মকর্তার নথি প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে পাঠায়। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় তা ফেরত পাঠিয়ে অনুশাসন জারি করে। এখন এই কর্মকর্তাদের মুক্তিযোদ্ধার সনদ বা চূড়ান্ত প্রত্যয়নপত্র দেওয়ার জন্য মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়কে চিঠি দিয়েছে জনপ্রশাসন।

কর্মকর্তাদের প্রত্যয়নের ক্ষেত্রে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে যে সাময়িক সনদ দেওয়া হয় তাতে বলা আছে, জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের (জামুকা) গেজেট যাচাই-বাছাই শেষে বিরূপ তথ্য পাওয়া না গেলে চূড়ান্ত সনদ দেওয়া হবে। অর্থাৎ বিরূপ তথ্য থাকলে সাময়িক সনদ বাতিল করা হবে।

জানতে চাইলে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এ চিঠির পর আমরা সাময়িক প্রত্যয়ন দেওয়া স্থগিত করেছি।’ তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। আমরা জানিয়েছি, চূড়ান্ত সনদ দিতে কেন দেরি হয়, কেন সাময়িক সনদ দেওয়া হয়। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় মুক্তিযোদ্ধা কর্মকর্তা-কর্মচারীদের চাকরির মেয়াদ এক বছর বাড়াতে “সাময়িক সনদ বা মুচলেকা গ্রহণযোগ্য নয়” বলে জানিয়েছে।’

মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সূত্র বলেছে, ২০১৩ সালে সরকার গেজেট নোটিফিকেশনের মাধ্যমে মুক্তিযোদ্ধা কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সরকারি চাকরির বয়সসীমা ৬০ বছর নির্ধারণ করে। তখন বলা হয়েছিল, কর্মরত মুক্তিযোদ্ধা কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বর্ধিত সময়ের চাকরির ক্ষেত্রে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় ও জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল (জামুকা) যৌথভাবে তাঁদের সত্যায়ন করবে।

জনপ্রশাসন ও মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, মুক্তিযোদ্ধার সাময়িক সনদ নিয়ে যেসব কর্মকর্তা-কর্মচারী অতিরিক্ত এক বছর চাকরি করছেন, পরে যাচাই-বাছাইয়ে তাঁদের সাময়িক সনদ বাতিল হলে জটিলতা তৈরি হবে। অতিরিক্ত সময়ের চাকরির জন্য সরকারি কোষাগার থেকে নেওয়া বেতন-ভাতা ফেরত আনার এবং ওই এক বছরে তাঁদের নেওয়া সিদ্ধান্তের কী হবে, সে বিষয়ে কোনো নির্দেশনাও নেই। একইভাবে সাময়িক সনদে অতিরিক্ত সময়ে চাকরি অব্যাহত রাখা হবে কি না, বিষয়টি স্পষ্ট করে এখনই পদক্ষেপ নেওয়া দরকার।

সাবেক সেনাপ্রধান ও সেক্টর কমান্ডারস ফোরামের সহসভাপতি লে. জে. (অব.) হারুন-অর-রশিদ বলেন, যাঁরা সাময়িক সনদ নিচ্ছেন তাঁরা এত দিনেও কেন চূড়ান্ত সনদ পাননি বা নেননি তা খতিয়ে দেখা উচিত। ৪৪ বছর পর এসে এখন কেন চূড়ান্ত সনদ নিতে হবে।

মুক্তিযোদ্ধার সাময়িক সনদ নিয়ে শিক্ষা ক্যাডারের ড. মো. সিরাজুল হকসহ অনেকেই অতিরিক্ত এক বছর চাকরি করেছেন।

শিক্ষায় বরাদ্দ বেড়েছে, আরো বাড়বে: শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী - dainik shiksha শিক্ষায় বরাদ্দ বেড়েছে, আরো বাড়বে: শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সমাবর্তনের অজুহাতে সনদ আটকে রাখা যাবে না - dainik shiksha সমাবর্তনের অজুহাতে সনদ আটকে রাখা যাবে না হিটস্ট্রোকে স্কুলছাত্রীর মৃত্যু - dainik shiksha হিটস্ট্রোকে স্কুলছাত্রীর মৃত্যু চুয়েটে আন্দোলন স্থগিত, সড়কে যান চলাচল শুরু - dainik shiksha চুয়েটে আন্দোলন স্থগিত, সড়কে যান চলাচল শুরু প্রাথমিকের প্রশ্ন ফাঁসে অল্পদিনে কয়েকশ কোটি টাকা আয় - dainik shiksha প্রাথমিকের প্রশ্ন ফাঁসে অল্পদিনে কয়েকশ কোটি টাকা আয় রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম সংবিধানবিরোধী নয়: হাইকোর্ট - dainik shiksha রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম সংবিধানবিরোধী নয়: হাইকোর্ট কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0068340301513672