অবশেষে নবম শ্রেণির নতুন পাঠ্যসূচি নির্ধারণ করা হয়েছে।
বুধবার (২২ মার্চ) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত ন্যাশনাল কারিকুলাম কো-অর্ডিনেশন কমিটি (এনসিসিসি)) সভায় পাঠ্যসূচি অনুমোদন করা হয়।
গত বছরের পাঠ্যতালিকায় থাকা বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেনের নিরীহ বাঙালি, রবীন্দ্র নাথ ঠাকুরের দেনা-পাওনা, সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায়ের পালামৌ, ভারতচন্দ্র রায়গুনাকরের আমার সন্তান, রবীন্দ্র নাথ ঠাকুরের প্রাণ, যতীন্দ্র মোহন বাগচীর অন্ধ বধূ, ফররুখ আহমেদের বৃষ্টি বাদ পড়েছে। এর মধ্যে প্রথম তিনটি প্রবন্ধ-গল্প এবং পরের চারটি কবিতা।
এগুলোর পরিবর্তে এসেছে মুহম্মদ শহীদুল্লাহর পল্লী সাহিত্য, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সুভা, সৈয়দ মুজতবা আলীর প্রবাস বন্ধু, হুমায়ূন আহমেদের নিয়তি, আবদুল হাকিমের বঙ্গবাণী, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জুতা আবিষ্কার, সুকান্ত ভট্টাচার্যের রানার এবং সিকান্দার আবু জাফরের আশা। এর মধ্যে প্রথম চারটি প্রবন্ধ-গল্প-আত্মকথা এবং পরের চারটি কবিতা। নবম শ্রেণীর বাংলা প্রথমপত্রে মোট ৩১টি গদ্য ও ৩২টি পদ্য রয়েছে। এর মধ্যে মোট ১৫টি কবিতা, ৭টি প্রবন্ধ-আত্মকথা, ৫টি গল্প এবং ৩টি উপন্যাস-নাটক পাঠ্য হিসেবে পড়তে হবে। পরে চূড়ান্তভাবে এসএসসি-দাখিল পরীক্ষায় এ পাঠ্যসূচির ওপর করা প্রশ্নপত্রে পরীক্ষায় অংশ নেয় শিক্ষার্থীরা।
এনসিসিসির সভায় সভাপতিত্ব করেন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. সোহরাব হোসাইন। এতে এনসিসিসির প্রায় সব সদস্য উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে উপস্থিত একটি বোর্ডের সদস্য নাম প্রকাশ না করে বলেন, প্রতি তিন বছর পরপর বাংলার পাঠ্যসূচিতে পরিবর্তন আনা হয়। ২০১৩ সালে নবম-দশম শ্রেণীর পাঠ্য এসব পরিবর্তন করা হয়। জাতীয় পাঠ্যক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) যেভাবে উপস্থাপন করেছে, এনসিসিসি সেভাবে পাস করে দিয়েছে।