বাংলাদেশ বংশোদভুত ব্রিটিশ স্কুল শিক্ষক জুহেল মিয়া বলেছেন, তার সঙ্গে অপরাধীর মতো আচরণ করা হয়েছে। কী অপরাধে তাকে যুক্তরাষ্ট্রগামী বিমানের উঠতে দেয়া হয়নি তার কারণও তাকে জানানো হয়নি। তিনি বলেন, কর্মকর্তাদের আচরণে আমি এতটা দু:খ পেয়েছি যে দুই রাত ঘুমাতে পারিনি। গত ১৬ ফেব্রুয়ারি আইসল?্যান্ডের রাজধানী রিকিয়াভিকে তাকে নিউ ইয়র্কহগামী বিমান থেকে নামিয়ে দেয়া হয়। তিনি যুক্তরাজ্যের নাগরিক হলেও বাবা-মা বাংলাদেশি। খবর বিবিসি ও দ্য গার্ডিয়ানের।
জুহেল মিয়া যুক্তরাজ্যের সাউথ ওয়েলসের একটি স্কুলের গণিতের শিক্ষক। স্কুলের একটি অনুষ্ঠানে অংশ নিতে তাকে নিউ ইয়র্ক যাওয়ার কথা ছিল। জুহেল জানিয়েছেন, সবাইকে বিমানে উঠতে দিলেও তাকে উঠতে বাধা দেয় নিরাপত্তা কর্মীরা, যদিও তার বৈধ ভিসা ছিল। এই সময় তার সঙ্গে অন্যান্য শিক্ষকরা হতাশা প্রকাশ করেন। ২৫ বছর বয়সী জুহেল মিয়া জানান, তারা তার সঙ্গে এমনভাবে আচরণ করেছিল যেন সে একজন অপরাধী। অন্য সবাই তার দিকে তাকিয়েছিলেন। জুহেল আরো জানান, ‘আমি নিজেও প্রথমে বুঝতে পারিনি আমার সঙ্গে কী হচ্ছে। এই আচরণের কারণে আমি দুই দিন দুই রাত ঘুমাতে এবং খেতে পারিনি। অথচ তারা আমাকে পাঁচ মিনিট ধরে তল্লাশি করে কিছুই পায়নি।
তারপরও আমাকে বিমানে উঠতে দেয়া হয়নি’। জুহেল জানিয়েছেন, বিমানবন্দর থেকে তাকে একটি হোটেলে নিয়ে যাওয়া হয় যা খুবই নোংরা ছিল। আইসল্যান্ডের ফাস্ট মিনিস্টার কারেন জোনস ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী বরিস জনসনের কাছে চিঠি লিখে অতি দ্রুত এই ঘটনার ব্যাখা দাবি করেছেন। এছাড়া জুহেলের নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান নিয়েত পোর্ট ট্যালবটও লন্ডনে মার্কিন দূতাবাসের কাছে ব্যাখা দাবি করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প গত ১০ ফেব্রুয়ারি সাতটি মুসলিম দেশের নাগরিকদের তার দেশে ঢোকায় নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। দেশগুলো হচ্ছে ইরান, ইরাক, সিরিয়া, ইয়েমেন, সুদান, সোমালিয়া ও লিবিয়া। তুমুল বিক্ষোভের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আদালত প্রেসিডেন্টের ওই নির্বাহী আদেশ স্থগিত করে।