কুলাউড়া শহরের মাগুরা পল্লীতে হরসুন্দর তালুকদার ও মা মন্জু তালুকদারের দুই সন্তানের মধ্যে হীরক তালুকদার বাপ্পী। সংসারের টানাপড়েনের কারণে শৈশব থেকে হীরকের পড়াশুনা বাধাগ্রস্ত হয়। তারপরও বাংলাদেশ উন্মুুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের এসএসসি প্রোগ্রামে ভর্তি হয়। ২০১৩ সালে এসএসসি পাস করে সে এইচএসসি’র ফি সংগ্রহ করে স্থানীয় ইয়াকুব-তাজুল মহিলা ডিগ্রি কলেজ সাব-সেন্টারে ২০১৩ সালে ১ম বর্ষে ভর্তি হয় (শিক্ষার্থী আইডি নং ১৩-০-১১-৬১১-০২৯)। নির্ধারিত সময়ে ১ম বর্ষের পরীক্ষায় সকল বিষয়ে পাস করে সে। তারপর থেকে তার শিক্ষাজীবনে নেমে আসে অন্ধকার।
২০১৪ সালে যথারীতি ২য় বর্ষের পরীক্ষা দেয় কিন্তু উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় তার ফলাফল প্রকাশ করেনি। পরীক্ষার ফলাফল জানতে না পেরে সে বিভিন্ন জনের কাছ থেকে সাহায্য নিয়ে ফি সংগ্রহ করে ২০১৫ সালে পুনরায় এইচএসসি ২য় বর্ষের পরীক্ষা দেয়। সেই পরীক্ষার ফলাফল বিশ্ববিদ্যালয় প্রকাশ করেনি। ফলাফল জানার জন্য সে যথাসময়ে অভিযোগ দায়ের করে। ফলাফলের আশায় থেকে থেকে হতাশ হীরক ২০১৭ সালের ২৯ মে সে যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশের জন্য পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক বরাবরে অভিযোগ দায়ের করে। এই অভিযোগ দায়েরের একমাসের অধিক সময় অতিবাহিত হলেও গত ৯ জুলাই পর্যন্ত হীরক তার বহুল প্রতীক্ষিত ফলাফল জানতে পারেনি। সে জানতে চায় এভাবে আর কতবার তাকে পরীক্ষা দিতে হবে?
এই ব্যাপারে সাবসেন্টার কুলাউড়া ইয়াকুব-তাজুল মহিলা ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, হীরক ছাড়াও এই সেন্টারের বেশ কয়েকটি শিক্ষার্থীর ফলাফল অপ্রকাশিত রয়েছে।
এই ব্যাপারে উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ডঃ আশাদুজ্জামান উকিলের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি দায়সারা গোছের উত্তর দেন। তিনি বলেন, তাকে পুনরায় পরীক্ষা দিতে বলেন।