এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারিদের এপ্রিল মাসের বেতনের চেক ছাড় করতে কয়েকদিন দেরি হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষা অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা ।
দৈনিকশিক্ষার এক প্রশ্নের জবাবে শিক্ষা কর্মকর্তারা বুধবার বিকেলে জানান, ইএমআইএস সেলের প্রধান জামিলুর রহমানসহ অন্যরা এখনও ৬ মাসের বকেয়া হিসেব শেষ করতে পারেননি। এপ্রিল মাসের বেতন-বিল প্রস্তুতই হয়নি। বিল মন্ত্রণালয়ে পাঠাতে, সই আনতে ও ব্যাংকে চেক পাঠাতে সপ্তাহখানেক দেরি হতে পারে। তবে, এপ্রিলের বেতনে সঙ্গেই ৬ মাসের বকেয়া পাবেন তা নিশ্চিত।এদিকে লাখ লাখ শিক্ষক-কর্মচারি তাকিয়ে রয়েছে তাদের প্রিয় দৈনিকশিক্ষার দিকে, কখন বকেয়া টাকা ব্যাংকে পাঠানোর খবর প্রকাশ হয়।
দেরির খবর শুনে কয়েকজন শিক্ষক নেতা তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় বলেছেন, শিক্ষা অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা সবাই সরকারি কলেজ ও স্কুলের শিক্ষক। বেসরকারি শিক্ষকদের জন্য তাদের দরদ ও কমিটমেন্ট নেই। নিজেদের বেতন প্রতিমাসের ১ তারিখেই পেয়ে যান।
শিক্ষক নেতা নজরুল ইসলাম রনি বলেন, ‘এ অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য বেসরকারি শিক্ষক ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জন্য আলাদা শিক্ষা অধিদপ্তর স্থাপন অথবা মহাপরিচালক, পরিচালক, এমপিও কর্মকর্তা পদে নটরডেম, হলিক্রস, রেসিডেন্সিয়াল মডেল, ভিকারুন নিসা ইত্যাদি প্রতিষ্ঠানের অ্ধ্যক্ষদের নিয়োগ দিতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘দেশের শতকরা ৯৭ ভাগ প্রতিষ্ঠান বেসরকারি। পাবলিক পরীক্ষার ফলাফলে সরকারি স্কুল ও কলেজ তলানীতে পড়ে থাকে। সরকারি কলেজ থেকে হঠাৎ এমপিওর দায়িত্ব প্রাপ্ত শিক্ষকরা কিছুই বোঝেন না। দুই-তিন বছর পার হয়ে যাওয়ার পরও তারা কী যে বোঝেন না তা-ই না বুঝে হঠাৎ আবার কোনো সরকারি কলেজে পদায়ন নিয়ে চলে যান।’
সম্প্রতি শিক্ষা অধিদপ্তরের বেসরকারি মাদ্রাসা শাখার সহকারি পরিচালক নাসির হোসেন, বেসরকারি কলেজ শাখার নুরে আল সিদ্দিকী এর জ্বলজ্বলে উদাহরণ।
তিনি বলেন, ‘টাকা কামানোর পর তারা গোপণে দুূরের কলেজে পদায়ন নিয়ে কেটে পড়েছেন।’ আর ভোগান্তিতে রেখে গেছেন হাজার হাজার এমপিওপ্রত্যাশীদের’।