এমনিভাবে জাতীয়করণ বেসরকারি শিক্ষক সমাজ প্রত্যাশা করেনি - দৈনিকশিক্ষা

এমনিভাবে জাতীয়করণ বেসরকারি শিক্ষক সমাজ প্রত্যাশা করেনি

বিশ্বজিৎ রায় |

শিক্ষক সমাজ জাতির বিবেক। সমাজের  বিবেক। দেশকে এগিয়ে  নিয়ে যাওয়ার জন্য তারা নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছে। শিক্ষা ক্ষেএে ৯৭ শতাংশ অবদান তারা রাখছে।  আজ সেই বিবেক ক্ষত বিক্ষত। বিবেক যদি ক্ষত বিক্ষত হয় তাহলে জাতির জন্যে কি অবশিষ্ট থাকল। গত কয়েক দিন ধরে জাতীয়করণ নিয়ে যা ঘটল বা ঘটছে তা খুব লজ্জা জনক। আমরা  শিক্ষক সমাজ আজ  চিন্তিত, উৎকন্ঠিত ও বিষ্মিত।

গত ২৮ নভেম্বর ২০১৬ খ্রিস্টাব্দে ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া কলেজ জাতীয়করণকে কেন্দ্র করে যে ঘটনা ঘটল তা যে কোন সমাজের বর্বরতাকে হারমানায়। শিক্ষক সমাজ যে রাষ্ট্রের একটি অবহেলিত শ্রেণি তার একটি উৎকৃষ্ট প্রমান এটি। ৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি নিয়ে এখন কারো মাথা ব্যাথা নেই, নেই টাইম স্কেল  নিয়ে। খোড়া উৎসব ভাতা নিয়ে কেউ ভাবে না। যে কোন সময়ের চেয়ে বর্তমান সময়ে শিক্ষকরা নিগৃহীত হচ্ছে বেশি। কোথাও  কানধরে ওঠ বস করানো হচ্ছে, কোথাও লাঞ্চিত করা হচ্ছে, আবার কোথাও পিপার স্প্রে করা হচ্ছে আবার কোথাও ধাওয়া করা হচ্ছে। আমরা শিক্ষক সমাজ যখন শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে দিক নির্দেশনা দেই তখন শিক্ষার্থীরা মন্ত্রমুগ্ধের মত শোনে। আজ শিক্ষকের উপর বর্বোরচিত হামলাও দেখে শিক্ষার্থীরা বুঝছে সমাজের সেই সম্মানিত ব্যক্তির অবস্থান। আবার মূল্যায়নটাও হচ্ছে সেভাবে।

প্রাচীন আমলের কবি শাহ মুহম্মদ সগীর তার  কবিতায় লিখেছিলেন “প্রথম প্রণাম কর মা- বাবার পায়ে, দি¦তীয়ে প্রণাম  কর শিক্ষাগুরুর  পায়ে”। দিল্লীর বাদশা তার পুত্রের জন্যে একজন শিক্ষক নিযুক্ত করেছিলেন। তিনি একদিন দেখলেন যে শিক্ষক পা হাত দিয়ে পরিষ্কার করছেন আর বাদশাহ পুত্র পানি ঢেলে দিচ্ছে। তখন তিনি শিক্ষক কে ডাকলেন। শিক্ষক ভয়ে ভয়ে বাদশাহের কাছে গেলেন। শিক্ষক ভেবে নিলেন যে আজ তার সাজা অবসম্ভাবী। কিন্তু তা হল না। বরং বাদশাহ বললেন ” আপনি  কেন  নিজ হাতে নিজের পা পরিষ্কার করতে গেলেন, আমার পুত্র কেন আপনার পা পরিষ্কার করল না। আপনি তাকে কী শিক্ষা দিলেন”। বাদশাহের কথায় শিক্ষকের মর্যাদা রক্ষা পেল। শিক্ষক সমহিমায় উদভাসিত হলো।

ফুলবাড়িয়া কলেজকে পাশ কাটিয়ে বেগম ফজিলাতুন্নেচ্ছা কলেজকে জাতীয়করণের জের ধরে মূলত ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া কলেজের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা গত ৩০ দিন  আন্দোলন করে আসছিল। গত ২৮ নভেম্বর ছিল শেষদিন। এদিন পুলিশের সাথে ছাত্র-শিক্ষকের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়; এতে দুজন নিহত হয়। তার মধ্যে একজন শিক্ষক ও অন্য জন পথচারী।  আহত হয় বেশ কয়েকজনের মত। কলেজের প্রবীন শিক্ষক অধ্যাপক আবুল কালাম আযাদ যে মারা গেলেন তার দায়ভার কে নেবে? আমরা আজ বাকরুদ্ধ। ভাষা হারিয়ে যাচ্ছে সমবেদনা জানানোর। তিনি কি রেখে গেলেন যা দিয়ে তার সংসারটি সুন্দর করে পরিচালনা করতে পারবেন। সারা জীবন যিনি জ্ঞানের আলো ছড়ালেন তার পরিবারের ভবিষৎ কী? আবুল কালাম আজাদ স্যারের জীবনের কী মূল্য হলো। তার জীবন একজন অফিস সহায়কের চেয়েও তুচ্ছ কারণ একজন সরকারি অফিস সহায়কের যদি অবসরে যায় তাহলে সে অবসরে থেকেও তার অবসর জীবন পরিচালনার জন্য তার কিন্তু চিন্তা করতে হয় না। তার কোনো অবলম্বন থাকুক আর না থাকুক সে পেনসিয়ান পেয়ে তার পরবর্তী সময় টুকু সুন্দর করে পরিচালনা করতে পারবেন বা তার মৃত্যুবরণ করার পরেও তার স্ত্রী এ সুযোগ সুবিধা পেয়ে থাকেন। কিন্তু যিনি সমাজে জ্ঞানের আলো ছড়াতে নিরলস পরিশ্রম করে গেলেন তিনি এত বড় সরকারি কর্মকর্তা তৈরি করছেন তার জীবনে তিনি কি পাচ্ছেন? তার পরিবার কি পাচ্ছে ভেবে দেখেছেন কেউ? পাচ্ছে লাঞ্চনা গঞ্চণা আর অবহেলা শেষে বীণা চিকিৎসায় মৃত্যু। আর মৃত্যুর পর তার পরিবার হচ্ছে অবহেলিত।

আবুল কালাম আজাদ স্যারের মৃত্যুতে তার সন্তান তাদের আব্বুকে হারালো। প্রিয় শিক্ষার্থী তার প্রিয় শিক্ষককে হারালো। জাতি মেধা শূন্য হল। এমন ধরনের জাতীয়করণ শিক্ষক সমাজ প্রত্যাশা করে না। শিক্ষক সমাজ প্রত্যাশা করেছিল একত্রে জাতীয়করণ। সরকার একটি পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছিল। সে পরিকল্পনা স্বার্থন্বেসী মহলের জন্য বুমেরাং হয়ে যাচ্ছে। জাতীয়করণ নিয়ে এই সংকট শুধু ফুলবাড়িয়া কলেজকে  নিয়ে নয় বরং নিয়োগবিধি ছাড়া এক সঙ্গে দেশের তিন শতাধিক বেসরকারি কলেজ জাতীয়করণ করতে গিয়ে এই বিশৃঙ্খল অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। ঘোষিত মানদ- না থাকায় ভালো ও পুরোনো কলেজ বাদ দিয়ে যেনতেন বেশ কিছু কলেজ জাতীয়করণের  জন্য তালিকাভুক্ত হওয়ায় বিভিন্ন স্থানে আন্দোলন হচ্ছে। পাবনায় সুজানগরে গত সোমবার একটি কলেজকে জাতীয়করণের দাবিতে হরতালও পালন  করছে  শিক্ষক শিক্ষার্থীরা।  কুমিল্লার চান্দিমা কলেজকে  জাতীয়করণ নিয়েও এমন টি হচ্ছে । খুলনা জেলার ডুমুরিয়া উপজেলার প্রাণ কেন্দ্রে অবস্থিত  ডুমুরিয়া কলেজকে পাশ কাটিয়ে ডুমুরিয়া উপজেলা থেকে ১৫ কিলোমিটার দূরে শাহাপুর মধুগ্রাম কলেজকে সরকারি করায় সেখানে শিক্ষক শিক্ষিকা ও ছাত্র-ছাত্রীবৃন্দ বিভিন্ন কর্মসূচী পালন করেছে। সাম্প্রতিক শিক্ষা মন্ত্রানালয় সিলেট জেলার গোয়ালাবাজার আদর্শ মহিলা ডিগ্রি কলেজকে জাতীয়করণ ঘোষনা দেয়। তাকে আন্যায় ও অযৌক্তিক আখ্যা দিয়ে একই উপজেলার তাজপুর ডিগ্রী কলেজের শিক্ষক-শিক্ষাথী ও অভিভাবক বৃন্দ বিক্ষোভ মিছিল করে। আমরা শিক্ষক সমাজ এমনটি প্রত্যাশা করে নি। আমরা চেয়েছিলাম সমগ্র বে-সরকারী স্কুল,কলেজ ও মাদ্রাসা একত্রে জাতীয়করণ।

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যুদ্ধ বিদ্ধস্ত  দুর্বল অর্থনীতিগ্রস্থ দেশে এক সাথে ৩৭ হাজার প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কে জাতীয় করণ করে দেশে প্রাথমিক শিক্ষার ভিত মজবুত করেছিলেন। মাধ্যমিক শিক্ষা ব্যবস্থাকেও জাতীয় করণ করারও প্রত্যয় ব্যক্ত করেছিলেন। কিন্তু ৭৫ এর ঘটনার পর ক্ষমতার পালা বদলে যেটা সম্ভব হয় নাই। আমরা আশান্বিত হই তখনই  যখন দেখি জাতির জনকের সুযোগ্য কন্যাও জাতির জনকের পথ ধরে হাটছেন। তিনি ২২ হাজার রেজিষ্ট্রার প্রাথমিক কে জাতীয়করণ করে নজির স্থাপন করেছেন। জাতীর জনকের পর এত বড় ধরনের জাতীয়করণ বাংলার ইতিহাসে  প্রথম। গত ৩০ নভেম্বর ২০১৫ তারিখে এনআই খান সহোদয়ের বিদায়ী সাক্ষাৎকারে তিনি যখন বেসরকারি প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণের বিষয় তুলে ছিলেন তখন প্রধানমন্ত্রী সমুদয় ব্যয় জানতে চেয়েছিলেন । তখন সাবেক শিক্ষা সচিব মহোদয় বলেছিলেন এক হাজার কোটি টাকা প্রয়োজন হতে পারে। জাতীয় বেতন গেজেট প্রকাশের পর বিভিন্ন পত্র পত্রিকার যখন দেখেছিলেন প্রতিষ্ঠানের আয় রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দিতে হবে তখন শিক্ষক সমাজ ভেবেছিলেন দেশ স্কুল কলেজ মাদ্রাসার জাতীয় করণের দিকে এগোচ্ছে। কিন্তু এন আই খান মহোদয়ের বিদায়ের পর বিষয়টি  আর এগোয়নি। আমরা যারা বেসরকারি পর্যায়ে শিক্ষকতা করি তারা সবাই চাই প্রতিষ্ঠানে আয় রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমার মাধ্যমে বেসরকারি প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ হউক। প্রতিষ্ঠান সম্পূর্ণ ভাবে সরকারী নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠিত হউক। প্রভাশালীদের চাপে কি প্রধান শিক্ষক কি সহকারি শিক্ষক সবার শ্রেণি পাঠদান কাঙ্খিত রূপলাভ করেনা।

বেসরকারি শিক্ষক সমাজ ২০১৬ জুলাই হতে বাড়ি ভাড়া ১ হাজার টাকা ও চিকিৎসা ভাতা ৫’শ টাকা পাচ্ছে। প্রতিষ্ঠানের আয় রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা করলে জাতীয় করণ করবার জন্য আয় বেশী অর্থের প্রয়োজন হবে না। দেশে অনেক প্রতিষ্ঠান আছে যেটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে ট্রাষ্ট্রের মাধ্যমে  প্রাপ্ত অর্থ সম্পদ নিয়ে গড়ে উঠেছে, অনেক প্রতিষ্ঠান আছে যাদের আছে নিজস্ব জমি পুকুর লেক, আয় বর্ধক মৎস্য খামার, আছে মার্কেট, আছে ফল ফলাদির বাগান, আছে দোকান, আছে নিজস্ব মার্কেট, আছে নিজস্ব রিজার্ভ ফান্ড ও সাধারণ তহবিল। এ সমস্ত সম্পদ থেকে অর্জিত আয় থেকে  সকল বে-সরকারি  শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে জাতীয় করণ সম্ভব। জাতীয় করণ এখন জাতীয় দাবীতে পরিণত হয়েছে। মরহুম অধ্যাপক আবুল কালাম আযাদ স্যার তার জীবদশায় স্বপ্ন দেখেছিলেন সমগ্র শিক্ষা ব্যবস্থার জাতীয়করণ। তার বিদেহী আত্মার শান্তি পাবে যখন সমগ্র বে-সরকারী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয় করণ হবে।

আমাদের অর্জন কম নয়। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে দেশের অবস্থান খুব উজ্জল। শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশের ভূমিকা প্রশংসানীয়। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা জাতিসংঘের “চ্যাপিয়ান অব দি আর্থ” সম্মানে ভূষিত হয়েছেন। “ হ্যাপি প্লানেট ইনডেক্স ২০১৬”এর পরিবেশ বান্ধব ও সুখী দেশের তালিকায় ১৪০টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান অষ্টম।  প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে গত ২৫ বছরে বাংলাদেশ মানব উন্নয়নে উলে¬খযোগ্য অগ্রগতি দেখিয়েছে। পহেলা বৈশাখের মঙ্গল শোভাযাত্রা ইউনেসকো কতৃক স্বীকৃতি পেয়েছে। এশিয়ায় নারী ক্ষমতায়নে বাংলাদেশ প্রথম।আমাদের রিজার্ভের পরিমাণ ৩২ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার এবং মাথাপিছু আয় ১ হাজার ৪৬৫ ডলার। খুব তাড়াতাড়ি আমরা MDG ও  SDG অর্জন করতে যাচ্ছি।

আজ যারা দেশের উচ্চ পর্যায়ে নীতি নির্ধারনী কাজে রত তারাও এই কারিগর হতে হাতে খড়ি নিয়েছেন। তারাও কি তাদের এই কারিগর নিয়ে ভাবছেন। বেসরকারী শিক্ষক সমাজ যখন দাবী করে তখন শুধু  অর্থ সংকটের কথা তুলে ধরা হয়। কিন্তু সরকারের এমন অনেক প্রকল্প আছে যেখানে অযথাা অর্থ ব্যায় হয় কিন্তু আউটপুট  কিছু আসে না। কিন্তু শিক্ষক সমাজ সদা ব্যাপৃত দেশ সেবায়। শিক্ষার্থী  গড়ার কাজে। শ্রেণি পাঠদান ছাড়া সরকারের তাদের উপর অর্পিত দ্বায়িত্ব যথাযত ভাবে পালন করে তা অবশ্য প্রশংসার দাবিদার। বেসরকারী শিক্ষকদের পেশায় যারা নিযুক্ত তারা সরকারের বিধি বিধান মেনে এ পেশায় এসেছে। ২০১১ খ্রিস্টাব্দে সারা দেশ মধ্য আয়ের দেশে পরিণত হতে যাচ্ছে। সে লক্ষে সরকার কাজও করছে। শিক্ষায় বিনিয়োগ করলে সরকারে অপচয় হবে না বরং দেশ উপকৃত হবে কারণ দেশের ৯৭ শতাংশ শিক্ষা ব্যাবস্থা বেসরকারী ভাবে পরিচালিত। আবার ১ জুলাই ২০১৫ খ্রিস্টাব্দ থেকে বেসরকারী শিক্ষক কর্মচারীরা অষ্টম জাতীয় পে স্কেল ভুক্ত হয়েছেন। গণতন্ত্রের মানষকণ্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা  শিক্ষকদের  বহু দিনের জাতীয় করণের লালিত এ দাবী পূরণ করে ইতিহাসে চিরভাস্মর হয়ে থাকবেন এ প্রত্যাশা সকল শিক্ষক সমাজের।

বিশ্বজিৎ রায়: শিক্ষক, মৃজাপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় তালা, সাতক্ষীরা।

স্কুল-কলেজ খুলছে রোববার, ক্লাস চলবে শনিবারও - dainik shiksha স্কুল-কলেজ খুলছে রোববার, ক্লাস চলবে শনিবারও নারীদের আইসিটিতে দক্ষ হতে হবে: শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী - dainik shiksha নারীদের আইসিটিতে দক্ষ হতে হবে: শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ডিগ্রি তৃতীয় শিক্ষকদের এমপিওভুক্তির সভা ৩০ এপ্রিল - dainik shiksha ডিগ্রি তৃতীয় শিক্ষকদের এমপিওভুক্তির সভা ৩০ এপ্রিল সনদের কাগজ কীভাবে পায় কারবারিরা, তদন্তে নেমেছে ডিবি - dainik shiksha সনদের কাগজ কীভাবে পায় কারবারিরা, তদন্তে নেমেছে ডিবি কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে বুয়েটে সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়লো হিজবুত তাহরীরের লিফলেট বিতরণ - dainik shiksha বুয়েটে সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়লো হিজবুত তাহরীরের লিফলেট বিতরণ সাংবাদিকদের ঘুষ বিষয়ক ভাইরাল ভিডিও, ইরাব কোনো বিবৃতি দেয়নি - dainik shiksha সাংবাদিকদের ঘুষ বিষয়ক ভাইরাল ভিডিও, ইরাব কোনো বিবৃতি দেয়নি ফাঁসপ্রশ্নে প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ, নজরদারিতে যারা - dainik shiksha ফাঁসপ্রশ্নে প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ, নজরদারিতে যারা এইচএসসির ফল জালিয়াতির অডিয়ো ফাঁস - dainik shiksha এইচএসসির ফল জালিয়াতির অডিয়ো ফাঁস please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0072121620178223