এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা ব্যতীত দেশের সকল স্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ইতিমধ্যে জুন মাসের বেতন ও ঈদ-উল-ফিতর এর উৎসব ভাতা পেয়ে গেছেন। এমপিওভুক্ত স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসায় পাঁচ লক্ষাধিক শিক্ষক-কর্মচারী কর্মরত। এ বিশাল অংকের শিক্ষক সমাজের বেতন/ভাতা প্রদানের কথা কি শিক্ষাবান্ধব সরকারের মনে থাকে না? তাঁরা ঈদ করুক এটা কি সরকার চায় না?
এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের উৎসব ভাতা (ঈদ-উল-ফিতর) এর চেক ছাড় হয়েছে ২৭ জুন আর উত্তোলনের শেষ তারিখ দেওয়া হয়েছে ৩০ জুন। এ তিনদিনের মধ্যে দেশের অধিকাংশ স্থানেই উৎসব ভাতা পৌঁছবে না, পৌঁছলেও ব্যাংক থেকে ঈদের পূর্বে তা প্রদান করা হবে না। আমার বিশ্বাস শতকরা ৯০ ভাগ শিক্ষক-কর্মচারী উৎসব ভাতা ঈদের পূর্বে উত্তোলন করতে পারবেন না। কারণ ১ জুলাই থেকে ৯ জুলাই পর্যন্ত ঈদের ছুটি। কর্তৃপক্ষ কী জানতেন না কত তারিখ চেক হস্তান্তর করলে শিক্ষক-কর্মচারীদের হাতে ঈদের পূর্বে উৎসব ভাতা পৌঁছানো সম্ভব?
ঈদের পূর্বে জুন মাসের বেতন নেই, উৎসব ভাতা নেই তাহলে শিক্ষক-কর্মচারীদের ঈদ কীভাবে হবে? না কি কিছু সংখ্যক আমলা সরকারের ভাবমুর্তি নষ্ট করার জন্য পরিকল্পিতভাবেই এ কাজটি করেছেন। মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী মহোদয় কী বিষয়টি অবগত নন? দেশের পাঁচ লক্ষাধিক এমপিওভু্ক্ত শিক্ষক-কর্মচারীর বেতন ও উৎসব ভাতা ঈদের পূর্বে দিতে না পারা মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী মহোদয়ের ব্যর্থতা নয় কি?শিক্ষক-কর্মচারীদের ঈদের পূর্বে বেতন-ভাতা প্রদানে ব্যর্থতা, সময়মত মাসিক বেতন প্রদান না করা, যে কোন আদেশে শিক্ষকদের ব্যাপারে স্পষ্ট কোন নির্দেশনা না থাকা ইত্যাদি কারণে শিক্ষক-কর্মচারীদের ক্ষোভ দানা বাধতে শুরু করেছে। এ ধরনের ক্ষোভ শিক্ষার মানোন্নয়নে যথেষ্ট প্রভাব পড়ে। তাই এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষন করছি।
লেখকঃ প্রধান শিক্ষক, হযরত শাহজালাল (রঃ) উচ্চ বিদ্যালয়, দক্ষিণ সুরমা, সিলেট ।