এমপিওভুক্ত সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে ভ্যাট ও আয়কর দিতে হবে - দৈনিকশিক্ষা

এমপিওভুক্ত সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে ভ্যাট ও আয়কর দিতে হবে

রাকিব উদ্দিন |

এখন থেকে এমপিওভুক্ত সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে উৎসে মূসক ও আয়কর দিতেই হবে। এ ব্যাপারে নির্দেশনা (পরিপত্র) জারি করেছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতর (মাউশি)। মাউশির পরিচালক (ফাইন্যান্স অ্যান্ড প্রকিউরমেন্ট) প্রফেসর জুলফিকার রহমান গত ৪ সেপ্টেম্বর এ সংক্রান্ত নির্দেশনা পত্র জারি করে। দৈনিক সংবাদে প্রকাশিত এক খবরে এ তথ্য জানা গেছে।

এখন এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ অর্থাৎ সারাদেশের এমপিওভুক্ত স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসা প্রধানকে অবহিত করবেন মাউশির কলেজ ও প্রশাসন পরিচালক এবং মাধ্যমিক শাখার পরিচালক।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারী সংগ্রামী ঐক্য পরিষদের প্রধান সমন্বয়কারী নজরুল ইসলাম রনি বলেন, ‘আমরা যেসব প্রতিষ্ঠান বা ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে কোন কেনাকাটা করি যেসব প্রতিষ্ঠানই ভ্যাট বা এ জাতীয় সরকারি প্রাপ্য কেটে রাখে। এখন নতুন করে আমাদের ওপর হয়রানিমূলক আর্থিক ব্যয় চাপিয়ে দেয়া ঠিক হবে না।’

শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে দেয়া এনবিআরের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) নির্দেশনা অনুযায়ী উৎসে মূসক কর্তন ও আয়কর কর্তন হচ্ছে না। উৎসে মূসক কর্তন না করায় ২০১৩-১৪ আর্থিক সালে এমপিওভুক্ত স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসায় সরকারের ৪৪ লাখ ৮১ হাজার ৬০৭ টাকার ক্ষতি হয়েছে।

এছাড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মুদ্রণ ও ডেকোরেট কাজ, আপ্যায়ন আসবাবপত্র তৈরি ও সরবরাহ, পূর্ত ব্যয়, সাধারণ সেবার ক্ষেত্রে ভ্যাট কর্তন না করায়ও সরকারের বিপুল অংকের টাকা ক্ষতি হয়েছে।

২০১৩-১৪ অর্থবছরে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতরের চট্টগ্রাম অঞ্চলের পাঁচটি জেলার শিক্ষা অফিসের ৯৫টি এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নিরীক্ষাকালে রেকর্ডপত্র পর্যালোচনায় দেখা গেছে, এসব প্রতিষ্ঠানের (৯৫টি) বিভিন্ন খাতে ব্যয়িত টাকার ওপর উৎসে আয়কর কর্তন না করায় সরকারের নয় লাখ ৭১ হাজার ৩১২ টাকার রাজস্ব ক্ষতি হয়েছে।

এনবিআরের ২০১৩ সালের ৬ জুন জারি করা এক সাধারণ আদেশে বলা হয়েছে, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের মুদ্রণ ও ডেকোরেট কাজের ওপর ১৫ শতাংশ, আপ্যায়নের ওপর ৬ শতাংশ, আসবাবপত্র তৈরি ও সরবরাহের ক্ষেত্রে ৯ শতাংশ, পূর্ত/উন্নয়ন ব্যয়ের ক্ষেত্রে ৫.৫ শতাংশ, সাধারণ ক্রয়/যোগানদার সেবার ক্ষেত্রে ৪ শতাংশ হারে ভ্যাট (মূল্য সংযোজন কর) কর্তনের বিধান থাকলেও আলোচ্য ক্ষেত্রে তা অনুসরণ করা হয়নি।

আয়কর অধ্যাদেশ-১৯৮৪ এর ৫২ এর মাধ্যমে ঠিকাদারী চুক্তির মাধ্যমে সরবরাহ গ্রহণ এবং বিধি ১৬ এর মোতাবেক নির্ধারিত হারে উৎসে আয়কর কর্তন ও সরকারি কোষাগারে জমাযোগ্য।

এ ব্যাপারে প্রফেসর জুলফিকার রহমানের পত্রে বলা হয়েছে, ‘স্থানীয় ও রাজস্ব অডিট অধিদফতর কর্তৃক ২০১৩-১৪ ও ২০১৪-১৫ অর্থবছরের নিরীক্ষা কার্য সম্পাদনপূর্বক বেসরকারি এমপিওভুক্ত স্কুল/মাদ্রাসা/কলেজসমূহের ভ্যাট বিভিন্ন ব্যয়ের ক্ষেত্রে ও উৎসে আয়কর কর্তন করা হয়নি মর্মে অডিট আপত্তি উত্থাপন করে।

এই অডিট আপত্তির পরিপ্রেক্ষিতে মাউশি’র আওতাধীন এমপিওভুক্ত স্কুল/মাদ্রাসা/কলেজসমূহে অর্থ ব্যয়ের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য মূসক কর্তন ও বিভিন্ন খাতে ব্যয়িত টাকার ওপর উৎসে আয়কর এনবিআরের নির্দেশনা অনুযায়ী কর্তন করার নির্দেশনা প্রদান করে পত্র জারি করতে অনুরোধ করা হলো।

মহাপরিচালকের অনুমোদনক্রমে এ পত্র জারি করা হলো।’মাউশির অধীনে দেশে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে ২৮ হাজার ৩৮৩টি। এসব প্রতিষ্ঠানে এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারী আছেন প্রায় চার লাখ ৭০ হাজার।

আর কারিগরি শিক্ষা অধিদফতরের অধীনে এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে প্রায় দেড় হাজার। এছাড়াও মাউশি’র অধীনে সারাদেশে দেশে নন-এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠান রয়েছে প্রায় দশ হাজার। তবে সরকারি হাই স্কুল ও কলেজগুলো এনবিআরের নিয়মানুযায়ী উৎসে মূসক ও আয়কর কর্তন করছে।

এখন থেকে এমপিওভুক্ত সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে উৎসে মূসক ও আয়কর দিতেই হবে। এ ব্যাপারে নির্দেশনা (পরিপত্র) জারি করেছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতর (মাউশি)। মাউশির পরিচালক (ফাইন্যান্স অ্যান্ড প্রকিউরমেন্ট) প্রফেসর জুলফিকার রহমান গত ৪ সেপ্টেম্বর এ সংক্রান্ত নির্দেশনা পত্র জারি করে।

এখন এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ অর্থাৎ সারাদেশের এমপিওভুক্ত স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসা প্রধানকে অবহিত করবেন মাউশির কলেজ ও প্রশাসন পরিচালক এবং মাধ্যমিক শাখার পরিচালক।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারী সংগ্রামী ঐক্য পরিষদের প্রধান সমন্বয়কারী নজরুল ইসলাম রনি বলেন, ‘আমরা যেসব প্রতিষ্ঠান বা ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে কোন কেনাকাটা করি যেসব প্রতিষ্ঠানই ভ্যাট বা এ জাতীয় সরকারি প্রাপ্য কেটে রাখে।

এখন নতুন করে আমাদের ওপর হয়রানিমূলক আর্থিক ব্যয় চাপিয়ে দেয়া ঠিক হবে না।’
শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে দেয়া এনবিআরের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) নির্দেশনা অনুযায়ী উৎসে মূসক কর্তন ও আয়কর কর্তন হচ্ছে না।

উৎসে মূসক কর্তন না করায় ২০১৩-১৪ আর্থিক সালে এমপিওভুক্ত স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসায় সরকারের ৪৪ লাখ ৮১ হাজার ৬০৭ টাকার ক্ষতি হয়েছে।এছাড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মুদ্রণ ও ডেকোরেট কাজ, আপ্যায়ন আসবাবপত্র তৈরি ও সরবরাহ, পূর্ত ব্যয়, সাধারণ সেবার ক্ষেত্রে ভ্যাট কর্তন না করায়ও সরকারের বিপুল অংকের টাকা ক্ষতি হয়েছে।

২০১৩-১৪ অর্থবছরে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতরের চট্টগ্রাম অঞ্চলের পাঁচটি জেলার শিক্ষা অফিসের ৯৫টি এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নিরীক্ষাকালে রেকর্ডপত্র পর্যালোচনায় দেখা গেছে, এসব প্রতিষ্ঠানের (৯৫টি) বিভিন্ন খাতে ব্যয়িত টাকার ওপর উৎসে আয়কর কর্তন না করায় সরকারের নয় লাখ ৭১ হাজার ৩১২ টাকার রাজস্ব ক্ষতি হয়েছে।

এনবিআরের ২০১৩ সালের ৬ জুন জারি করা এক সাধারণ আদেশে বলা হয়েছে, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের মুদ্রণ ও ডেকোরেট কাজের ওপর ১৫ শতাংশ, আপ্যায়নের ওপর ৬ শতাংশ, আসবাবপত্র তৈরি ও সরবরাহের ক্ষেত্রে ৯ শতাংশ, পূর্ত/উন্নয়ন ব্যয়ের ক্ষেত্রে ৫.৫ শতাংশ, সাধারণ ক্রয়/যোগানদার সেবার ক্ষেত্রে ৪ শতাংশ হারে ভ্যাট (মূল্য সংযোজন কর) কর্তনের বিধান থাকলেও আলোচ্য ক্ষেত্রে তা অনুসরণ করা হয়নি।

আয়কর অধ্যাদেশ-১৯৮৪ এর ৫২ এর মাধ্যমে ঠিকাদারী চুক্তির মাধ্যমে সরবরাহ গ্রহণ এবং বিধি ১৬ এর মোতাবেক নির্ধারিত হারে উৎসে আয়কর কর্তন ও সরকারি কোষাগারে জমাযোগ্য।

এ ব্যাপারে প্রফেসর জুলফিকার রহমানের পত্রে বলা হয়েছে, ‘স্থানীয় ও রাজস্ব অডিট অধিদফতর কর্তৃক ২০১৩-১৪ ও ২০১৪-১৫ অর্থবছরের নিরীক্ষা কার্য সম্পাদনপূর্বক বেসরকারি এমপিওভুক্ত স্কুল/মাদ্রাসা/কলেজসমূহের ভ্যাট বিভিন্ন ব্যয়ের ক্ষেত্রে ও উৎসে আয়কর কর্তন করা হয়নি মর্মে অডিট আপত্তি উত্থাপন করে।

এই অডিট আপত্তির পরিপ্রেক্ষিতে মাউশি’র আওতাধীন এমপিওভুক্ত স্কুল/মাদ্রাসা/কলেজসমূহে অর্থ ব্যয়ের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য মূসক কর্তন ও বিভিন্ন খাতে ব্যয়িত টাকার ওপর উৎসে আয়কর এনবিআরের নির্দেশনা অনুযায়ী কর্তন করার নির্দেশনা প্রদান করে পত্র জারি করতে অনুরোধ করা হলো।

মহাপরিচালকের অনুমোদনক্রমে এ পত্র জারি করা হলো।’মাউশির অধীনে দেশে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে ২৮ হাজার ৩৮৩টি। এসব প্রতিষ্ঠানে এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারী আছেন প্রায় চার লাখ ৭০ হাজার।

আর কারিগরি শিক্ষা অধিদফতরের অধীনে এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে প্রায় দেড় হাজার। এছাড়াও মাউশি’র অধীনে সারাদেশে দেশে নন-এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠান রয়েছে প্রায় দশ হাজার। তবে সরকারি হাই স্কুল ও কলেজগুলো এনবিআরের নিয়মানুযায়ী উৎসে মূসক ও আয়কর কর্তন করছে।

খবরের সূত্র: দৈনিক সংবাদ, ৩ অক্টোবর, ২০১৬

শিক্ষায় বরাদ্দ বেড়েছে, আরো বাড়বে: শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী - dainik shiksha শিক্ষায় বরাদ্দ বেড়েছে, আরো বাড়বে: শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সমাবর্তনের অজুহাতে সনদ আটকে রাখা যাবে না - dainik shiksha সমাবর্তনের অজুহাতে সনদ আটকে রাখা যাবে না হিটস্ট্রোকে স্কুলছাত্রীর মৃত্যু - dainik shiksha হিটস্ট্রোকে স্কুলছাত্রীর মৃত্যু চুয়েটে আন্দোলন স্থগিত, সড়কে যান চলাচল শুরু - dainik shiksha চুয়েটে আন্দোলন স্থগিত, সড়কে যান চলাচল শুরু প্রাথমিকের প্রশ্ন ফাঁসে অল্পদিনে কয়েকশ কোটি টাকা আয় - dainik shiksha প্রাথমিকের প্রশ্ন ফাঁসে অল্পদিনে কয়েকশ কোটি টাকা আয় রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম সংবিধানবিরোধী নয়: হাইকোর্ট - dainik shiksha রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম সংবিধানবিরোধী নয়: হাইকোর্ট কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0076508522033691