২৬ শে এপ্রিলের মধ্যে এমপিওভুক্তির দাবী না মানলে ৭ই মে থেকে ননএমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীরা কর্মবিরতি শুরু করবেন।
আজ বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে ননএমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নেতৃবৃন্দ এ কর্মসূচির ঘোষণা দেন।
কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে প্রতিদিন এক ঘন্টা করে কর্মবিরতি, জেলায় জেলায় মানবন্ধন, ঢাকায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানবন্ধন ইত্যাদি।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সভাপতি অধ্যক্ষ মিলন কুমার ঘোষ ও সাধারণ সম্পাদক মো. আনোয়ার হোসেন।
তারা এসময় বাংলাদেশের একাডেমিক স্বীকৃতিপ্রাপ্ত ৫ হাজার ২৪২টি স্বীকৃতিপ্রাপ্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে এমপিওভুক্তির যোক্তিক দাবী জানান। তারা বলেন, বাংলাদেশের লাখ লাখ শিক্ষক বেতন না পেয়ে শিক্ষকতা করছেন। তারা মানবেতর জীবন যাপন করছেন। বুক ভরা আশা নিয়ে আমরা বাংলাদেশের নন-এমপিও শিক্ষকরা তাকিয়ে আছি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিকে। আমাদের একটাই দাবী নন-এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করা। তাই প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমাদের আবেদন নন-এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো এমপিওভুক্ত করে শিক্ষক সমাজকে বাঁচান।
নন-এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষক-কর্মচারি পরিষদের উদ্যোগে আয়োজিত এ সংবাদ সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ও বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও শিক্ষক-কর্মচারি কল্যাণ ট্রাস্ট্রের সদস্য সচিব অধ্যক্ষ শাহজাহান আলম সাজু।
তিনি তার বক্তব্যে বলেন, স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম বাজেটে বঙ্গবন্ধু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ করার প্রস্তাব পাশ করান। তিনি একযোগে অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ করেন। বঙ্গবন্ধুর দেখানো পথে তার কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একসাথে ২৬ হাজার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ করে এক নজীর স্থাপন করেছেন। আপনারা ধৈর্য ধরুন। এই সরকারকে হুমকি দেখিয়ে কোনো দাবী আদায় সম্ভব নয়। যে সরকার না চাইতেই এতগুলো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ করতে পারেন তার সাথে আলোচনা করলে আশা করা যায় এ সমস্যাও সমাধান করা সম্ভব।
এসময় তিনি এ সংগঠনের কিছু নেতার প্রতি অভিযোগ করে বলেন, এতগুলো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত না হওয়াতে আপনাদেরও দোষ আছে। আপনাদের সংগঠনের অনেক নেতা আছেন যারা এমপিও করার নামে কোটি কোটি টাকার বাণিজ্য করেছেন। তার প্রমাণপত্র সব আমাদের কাছে আছে।