কোমলমতি শিক্ষার্থীদের দিয়ে শিক্ষামন্ত্রীর গাড়ীর গতিরোধ ও বিক্ষোভ করানোর দায়ে সংশ্লিষ্ট প্রধান শিক্ষকের এমপিও স্থগিতসহ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ।খুলনা থেকে যশোর ফেরার পথে গতকাল ১৩ সেপ্টেম্বর মন্ত্রীর গাড়ীর গতিরোধ করা হয়। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এবং আঞ্চলিক পরিচালককে যশোর সদরের রুপদিয়া ওয়েলফেয়ার স্কুলের প্রধান শিক্ষক মো: জহুরুল ইসলামের এমপিও স্থগিতের নির্দেশ দেন মন্ত্রী।
প্রধান শিক্ষক তার নিজ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের উসকে দিয়ে মন্ত্রীর গাড়ীর গতিরোধ ও বিক্ষোভ করান। শিক্ষার্থীদের দাবি তারা যেন নিজ প্রতিষ্ঠানেই পাবলিক পরীক্ষা দিতে পারে। নিয়ামানুযায়ী সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানে পাবলিক পরীক্ষা দিতে পারেনা। তাদেরকে নিকটস্থ সুবিধাজনক অন্য প্রতিষ্ঠানে যেতে হয় কিন্তু শিক্ষাবোর্ডকে ম্যানেজ করে দীর্ঘদিন যাবত নিজ প্রতিষ্ঠানেই পরীক্ষা দিয়ে আসছিলো এ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। এতে নকলসহ নানাবিধা অবৈধ সুবিধা পেত শিক্ষার্থীরা। উপরন্তু প্রধান শিক্ষক জহুরুল একই ক্যাম্পাসে অবস্থিত রুপদিয়া শহীদ স্মৃতি স্কুলের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নানাভাবে অত্যাচার ও অনিয়ম করে আসছিলো।
জানা যায়, অতিষ্ঠ হয়ে রুপদিয়া শহীদ স্মৃতি স্কুলের শিক্ষকরা সম্প্রতি যশোর শিক্ষাবোর্ডে আবেদন করেন পাবলিক পরীক্ষার কেন্দ্রটি যেন অন্যত্র সরানো হয়। আবেদন পেয়ে বোর্ড কর্তৃপক্ষ তর্কিত কেন্দ্রটি বাতিল করে পাশ্ববর্তী জঙ্গলবাঁধাল হাইস্কুলে নতুন কেন্দ্র নির্বাচন করা হয়। এতে রুপদিয়া শহীদ স্মৃতিসহ আশোপাশের সব স্কুল খুশী হলেও সিন্ধান্তটি মানতে পারেনি প্রধান শিক্ষক জহুরুল। তিনি বোর্ডের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করান।
গতকাল শিক্ষামন্ত্রী খুলনা শহরে একটি অনুষ্ঠান শেষ করে যশোর ফেরেন। খবর পেয়ে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের দিয়ে শিক্ষামন্ত্রীর গাড়ির গতিরোধ করে কেন্দ্র ফিরে পাওয়ার দাবিতে বিক্ষোভ করান প্রধান শিক্ষক।
অভিযুক্ত জহিরুলেরর মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
১৪ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় যশোর বিমানবন্দরে জহুরুলের পক্ষে তদবির করতে যান যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মীর জহিরুল ইসলাম। তদবিরের ভাষায় সুন্দর ছিলো না বলে উপস্থিত অনেকে দৈনিকশিক্ষাডটকমকে জানান। এক পর্যায়ে শিক্ষা শিক্ষাসচিব নির্দেশ দেন যশোর বোর্ড চেয়ারম্যানকে। বিষয়টি ফলো আপ করতে বলেন।