বাংলাদেশ কওমি মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের (বেফাক) মহাসচিব মাওলানা আবদুল জাব্বার জাহানাবাদী আর নেই (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
শুক্রবার (১৮ নভেম্বর) সকাল ১০টা ১০ মিনিটে ঢাকার মগবাজারের হলি ফ্যামিলি হাসপাতালে তিনি ইন্তেকাল করেন।
মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৯ বছর। মাওলানা আব্দুল জাব্বার বেশ কিছুদিন ধরে কিডনি সমস্যা, হার্ট ও শ্বাসকষ্টসহ নানা রোগে ভুগছিলেন। বৃহস্পতিবার সকালে তার স্বাস্থ্যের অবস্থা মারাত্মক অবনতি ঘটে। এরপর থেকে তিনি চিকিৎসকের নিবিড় পর্যবেক্ষণে ছিলেন।
তার মৃত্যুর সংবাদে স্বজন-পরিবার, ভক্তকূল ও আলেম-উলামাদের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
মাওলানা আবদুল জাব্বার জাহানাবাদী ১৯৩৭ সালের আগস্টে বাগেরহাট জেলার কচুয়া থানাধীন সহবত কাঠি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবার নাম শেখ নাসিমুদ্দীন। পাঁচ ভাইয়ের মধ্যে মাওলানা আবদুল জাব্বার দ্বিতীয়। মাওলানা আবদুল জাব্বারের একজন বোনও আছেন।
তিন মেয়ের জনক আবদুল জাব্বার ঢাকার বড় কাটারা মাদরাসাসহ একাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষা জীবন শেষ করেন। কর্মজীবনে তিনি গৌরবময় অধ্যায় রচনা করেছেন বেফাকুল মাদারিসিলি আরাবিয়ায় বিভিন্ন দায়িত্ব পালনের মধ্য দিয়ে। সর্বশেষ তিনি ত্রিশ বছরের বেশি সময় ধরে কওমি মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডে মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশের মহাসচিবের দায়িত্ব পালন করেছেন।
তিনি অনেক মাদরাসা প্রতিষ্ঠা ও পরিচালনার সঙ্গে জড়িত। বিভিন্ন ইসলামি সংগঠন ও আন্দোলনে তার ভূমিকা অসামান্য। লেখক হিসেবেও তার বেশ সুনাম রয়েছে। তার লিখিত গ্রন্থের উল্লেখযোগ্য কয়েকটি হলো, ১. ইসলাম ও আধুনিক প্রযুক্তি ২. মাদরাসা শিক্ষার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র ৩. ভারত উপমহাদেশে মুসলিম শাসন ও তাদের গৌরবময় ইতিহাস ৪. ইসলামে নারীর অধিকার ও পাশ্চাত্যের অধিকার বঞ্চিতা লাঞ্ছিতা নারী।