কুমিল্লা মডার্ণ হাই স্কুলের শিক্ষক নির্যাতন ও বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির দুর্ণীতির প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে বিদ্যালয়টির প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা। শনিবার (২৮ মে) টাউন হল প্রাঙ্গনে এ মানববন্ধন কর্মসূচী পালিত হয়।
মানববন্ধন শেষে শিক্ষার্থীরা পূবালী চত্ত্বরে এক সমাবেশের আয়োজন করে। সমাবেশে কুমিল্লা মডার্ণ হাই স্কুলের বিগত বছরগুলোর প্রায় ১০০০ শিক্ষার্থী অংশ গ্রহণ করে।
এসময় ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের আর্ন্তজাতিক সম্পর্ক বিষয়ে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থী মো. শিহাব হোসেন বলেন, এই বিদ্যালয়টি আমাদের প্রাণের বিদ্যালয়। বিদ্যালয়টিকে ঘিরে আমাদের অনেক স্মৃতি জড়িয়ে আছে। বিদ্যালয়টিতে অধ্যয়নের সময় কর্তৃপক্ষ আমাদেরকে বিভিন্নভাবে হয়রানি করে নানা অজুহাতে বিপুল পরিমান অর্থ হাতিয়ে নিয়েছে এবং আমাদের অভিভাবকদের সাথে দুর্ব্যবহার করেছে। তখন বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মুখের দিকে তাকিয়ে আমরা চুপ ছিলাম। কিন্তু এখন আমাদের প্রাণ প্রিয় শিক্ষকরা আজ রাস্তায়। যারা আমাদেরকে সুশিক্ষায় শিক্ষিত করেছেন তাদেরকে আজ রাস্তায় দেখে আমরা আর ঘরে বসে থাকতে পারিনি।
তিনি আরো বলেন, জানতে পেরেছি এমপি নির্বাচনের সময় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি জোরপূর্বক প্রত্যেক শিক্ষকের কাছ থেকে ২০ হাজার থেকে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা নিয়েছে। অনেক শিক্ষককে হুমকী ও মামলা দিয়ে বিদ্যালয় থেকে তাড়িয়ে দেয় হয়েছে। এদের মধ্যে অন্যতম হলেন প্রাক্তন ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা কোহিনূর বেগম ও বিদ্যালয়ের অত্যন্ত সন্মানিত প্রধান মাওলানা মফিজুর রহমান নিজামী। তারা শুধু মামলা দিয়েই খান্ত হয়নি শিক্ষকদের শারিরীকভাবেও লাঞ্ছিত করেছে। তাদের মধ্যে অন্যতম হলেন বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক জাহাঙ্গীর আলম টিপু ও গণিত বিষয়ের সিনিয়র শিক্ষক জীবন চন্দ্র দেবনাথ। তাদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে মফিজুর রহমান নিজামী ও জীবন চন্দ্র দেবনাথ আজ বাড়ীছাড়া। আমরা আমাদের প্রাণপ্রিয় শিক্ষকদের প্রাপ্য সন্মান দিয়ে বিদ্যালয়ে ফিরিয়ে নিতে চাই।
কুমিল্লা মেডিকেল কলেজের ৪র্থ বর্ষের শিক্ষার্থী দীপংকর তালুকদার বলেন, যেখানে অভিভাবক, শিক্ষক, শিক্ষার্থী সকলেই নির্যাতিত হয়। এমন একটি বিদ্যালয়ের আমরা অধ্যয়ন করেছি তা বলতেও আমাদের লজ্জা হয়। এটি কোন বিদ্যালয় হতে পারে না। বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এটিকে টাকা বানানোর কারখানায় পরিণত করেছে।সভায় বক্তারা হুঁশিয়ারী দিয়ে বলেন, আগামী ১৫ দিনের মধ্যে সমস্যার সমাধান না হলে ভবিষ্যতে আরো কঠোর কর্মসূচী দিতে আমরা বাধ্য হব। এ বিষয়ে তাঁরা মাননীয় শিক্ষা মন্ত্রী ও প্রধান মন্ত্রীর সু-দৃষ্টি কামনা করেন।