রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্রিকেট খেলাকে কেন্দ্র করে দুই বিভাগের সংঘর্ষে তিন শিক্ষক ও ৮ শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন।
রোববার (৩১ ডিসেম্বর) বিকেল ৩টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টেডিয়ামে খেলা শেষে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন-বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশবিদ্যা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মিজানুর রহমান, সহকারী অধ্যাপক আব্দুল্যাহ আল মারুফ, প্রভাষক জিহাদ আহমেদ, শিক্ষার্থী আলমগীর, শান্ত, কিবরিয়া, তারেক ও আশিকুর রহমান, ফিন্যান্স বিভাগের শিক্ষার্থী মেহেদি হাসান, মারুফ ও রিফাত।
ক্যাম্পাস সূত্রে জানা যায়, রোববার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশবিদ্যা বিভাগ এবং ফিন্যান্স বিভাগের মধ্যে আন্তঃবিভাগ টুর্নামেন্টের সেমিফাইনাল খেলা চলছিল। খেলায় ভূগোল ও পরিবেশবিদ্যা বিভাগ জিতে যাওয়ায় বিভাগের শিক্ষার্থীরা আনন্দ উল্লাস করছিল। এ সময় দুই দলের খেলোয়াড়রা একে অপরকে তিরস্কারমূলক কথাবার্তা বলে। পরে শিক্ষকরা মাঠ থেকে বের হয়ে এলে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সহ সভাপতি ও ফিন্যান্স বিভাগের রিফাতসহ কয়েকজন ভূগোল বিভাগের শিক্ষার্থীদের মারধর শুরু করলে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়।
তাদের বাধা দিতে গেলে ওই তিন শিক্ষকও আঘাত পান। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে পরিস্থিতি শান্ত হয়। আহতদের বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসাকেন্দ্র ও রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
ভূগোল ও পরিবেশবিদ্যা বিভাগের কয়েকজন শিক্ষার্থী বাংলানিউজকে বলেন, খেলা চলাকালীন আমাদের সঙ্গে ফিন্যান্স বিভাগের শিক্ষার্থীদের একটু ঝামেলা হয়। খেলা শেষ করে শান্তভাবে আমরা মাঠ থেকে বের হয়ে আসছিলাম। এ সময় ফিন্যান্স বিভাগের রিফাতসহ কয়েকজন ‘তোদের কিসের এত আনন্দ’ বলে আমাদের মারধর শুরু করে। এ সময় শিক্ষকরা তাদের বাধা দিতে গেলে তাদেরও মারধর করে ফিন্যান্স বিভাগের শিক্ষার্থীরা।
তবে মারধরের বিষয় অস্বীকার করে রিফাত বলেন, খেলা শেষে ভূগোল বিভাগের শিক্ষার্থীরা আমাদের তিরস্কার করে কথা বলতে থাকে। তাদের সঙ্গে কথা বলতে গেলে উল্টো তারাই আমাদের বিভাগের তিন শিক্ষার্থীকে মারধর করে।
আহত ভূগোল ও পরিবেশবিদ্যা বিভাগের শিক্ষক মিজানুর রহমান বলেন, খেলা নিয়ে এ ধরনের ঘটনা একেবারেই অনাকাক্ষিত। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের থেকে এ ধরনের কিছু আশা করা যায় না।
ভূগোল ও পরিবেশবিদ্যা বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক এম মিজানুর রহমান বলেন, খেলা নিয়ে একটু ঝামেলা হয়েছিলো। আমাদের তিন শিক্ষক আর পাঁচ শিক্ষার্থীকে মারধর করা হয়েছে শুনেছি। আমি মিটিংয়ে আছি। পরে এ ব্যাপারে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
ফিন্যান্স বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আশিকুল ইসলাম বলেন, আমাদের তিন শিক্ষার্থীকে বেধড়ক মারধর করা হয়েছে। ওরা হাসপাতালে আছে। আমরা প্রশাসনকে এ ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ দেবো।
জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক লুৎফর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, বিষয়টি শুনেছি। খোঁজ-খবর নেওয়া হচ্ছে। পরবর্তীতে আলোচনা করে এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।